চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামে চান্দি যুব কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে দুইশত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে যুবকরা।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে চান্দি যুব কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূূঁইয়া। অনুষ্ঠানে তেল, চিনি, ছোলা বুট, ডাল, মুড়ি, শরবত, আলু ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, গরীব-দুখী মানুষ যাতে রমজানে রোজা রেখে ভালোভাবে ইফতার করতে পারেন এজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধ্য অনুযায়ী ইফতার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরন কাজের কারনে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ফেলা বালি পাশের খালে পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সদর উপজেলার সুহিলপুর, বুধল ও মজলিশপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওইসব গ্রামের বাসিন্দারা। খাল ভরাট হওয়ার কারণে জমিতে উঠা পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। পানি উঠেছে বাড়ি-ঘরেও। সব কিছু মিলিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা নাই। বিশেষ করে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড থেকে সুহিলপুর পর্যন্ত সড়কের পাশের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছে।
এদিকে জলাবদ্ধতার খবর পেয়ে গত শনিবার দিনব্যাপী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভেকু দিয়ে খালে পড়া বালি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত চলে খালের বালি অপসারনের কাজ।
সুহিলপুর গ্রামের মোঃ মজিদ মিয়া বলেন, মহাসড়ক চারলেন করার কারনে রাস্তায় ফেলা বালি পাশের খালে পড়ে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের গ্রামের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন গত ১৫ দিন আগে আমি আমার তিন কানি জমিতে ধান রোপন করেছিলাম। আমার জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর-বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে আছে।
বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের সফর আলী বলেন, আড়াইশ মুরগীসহ আমার একটি খামার পানিবন্দী হয়ে আছে। খাল ভরাটের কারনে এখানকার জায়গা জমি, ঘরবাড়ি সব বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে আছে। খালের বালি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে আমাদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রায় দুইশত কানি ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
পুকুরের পাড় ভেঙ্গে কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।ফোরলেন রাস্তার কারনে খাল ভরাট করে ফেলায় পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। আমি আপাতত ভেকু এনে নালা পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, পানি নিষ্কাষনের জন্য কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশের যেসব জায়গা বালু দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে শনিবার দিনব্যাপী ভেকু দিয়ে খালের সেইসব বালু অপসারণ করে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করেছি। আজ রোববার ও বালি অপসারণ করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত পানি নেমে যাবে। মানুষের দুর্ভোগও লাঘব হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জমি ভরাট করতে গিয়ে একটি সড়কের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এতে সড়কের দুই পাশের প্রায় ১০০ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক এসব জমিতে ফসলের বীজ বা চারা রোপণ বন্ধ রেখেছেন। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কৃষকরা। ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ রামরাইল ও ঘাটিয়ারা গ্রামের ২০-২৫ জন কৃষক লিখিত আবেদন করেন।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আরমান মিয়া জানান, কালভার্ট-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে জামাল মিয়ার ছয় বিঘা জমি বছরে ৩০ হাজার টাকায় জমা নিয়ে তিনি সবজির চাষ করেন। তবে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় তিনি উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। এতে কয়েক লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানকে সমস্যাটি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ইউএনওর কাছে আবেদন দেওয়ার পর কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন। প্রশাসন কোনো প্রতিকার না করলে আরেকটি কালভার্ট ভরাটের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
রামরাইল গ্রামের কৃষক সুখলাল, মতিলাল, হীরালাল, দুলাল, নির্মল, চন্দন দেব, পরিতোষ দেব এবং ঘাটিয়ারা গ্রামের সোহাগ মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, হাবিব উল্লাহ, খবির মিয়া, আবু তাহের মিয়াও একই কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ইচ্ছা করেই কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন মালিক। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রামরাইল ও মোহাম্মদপুর গ্রামের সংযোগ সড়কের ঘাটিয়ারা গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে কালভার্টটির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হয়। পার্শ্ববর্তী বিলে গিয়ে পড়ে সেই পানি। তবে এক মাস আগে মোতালেব মিয়া বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিটি ভরাট করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় জমি ভরাটে বাধা দেওয়ার সাহস করেনি কেউ।
এ বিষয়ে মোতালেব মিয়ার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তাঁর ছেলে স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, এ কালভার্টের নিচ দিয়ে পানি যায় না। বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে মাটি ভরাট করা হয়েছে। কারও প্রয়োজন হলে পাইপ-কালভার্ট নিজ খরচে করবেন।
রামরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমার সেলিম বলেন, ইউএনওর নির্দেশে সরেজমিন গিয়ে জমির মালিককে কালভার্টের মুখের মাটি সরিয়ে মোটা পাইপ বসিয়ে দিতে বলা হয়েছে; পানি নিষ্কাশনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়শত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে “প্রধানমন্ত্রী উপহার” চাল বিতরণ করেছে জেলা পরিষদ। আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় জেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চাল বিতরণ উপলক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। তারা দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে কার্যত পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছিলো। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে মুক্ত করেছিলো। পরে আবারো ওই অপশক্তি ক্ষমতায় এসে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারে নি।
২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা এসে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বর্তমানে আবারো একটি অপশক্তি সংবিধান বহির্ভূতভাবে দেশে নির্বাচন করতে চায়। তবে বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে। তিনি আগামী নির্বাচনকে জনগনকে নিজে বিচার বিবেচনা করে ভোট দেয়ার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে ৬০০ পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মদিনে আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় ও দরিদ্র শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে জেলা যুবদল।
বিকেলে পৌর এলাকার পুনিয়াউটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে জেলা যুবদলের উদ্যোগে ৩ শতাধিক মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সদস্য জহিরুল হক খোকন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, এবিএম মমিনুল হক, আসাদুজ্জামান শাহীন, জেলা যুবদল নেতা আতিকুল হক জালাল, রাশেদুল হক, রাশেদ কবির আখন্দ, নাসির উদ্দীন, জোবায়ের আহমেদ মানিক, মোঃ শরীফ, সৈয়দ তৈমুর, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রুবেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৩৫০জন অসহায় ও দরিদ্র শীতার্তের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ ১৩ ফেব্রুয়ারিসোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লা-আল শাহীন।
সংলাপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।