অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে আপনি হয়তো অনেক আলোচনা শুনে থাকবেন অথবা এ নিয়ে নানান খবরাখবরও দেখে থাকবেন গণমাধ্যমে।
কিন্তু এই দিনটা আসলে কী জন্য? এর গুরুত্ব আসলে কোথায়? নারীদের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসও কী আছে? চলুন জানা যাক।
এটা কিভাবে শুরু হয়?
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুরুটা হয় শ্রমিক আন্দোলন থেকে, যা একসময় জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত বাৎসরিক দিবস হয়ে উঠে।
আর এসব কিছুর শুরুটা হয় ১৯০৮ সালে, যখন এক সাথে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে কর্মঘন্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে। এর এক বছর পর সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা প্রথম জাতীয় নারী দিবসের ঘোষণা দেয়।
এখন এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।
তিনি তার এই চিন্তাটা জানান ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।
তবে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইটজারল্যান্ডে। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।
এই দিবসের সব কিছু আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ১৯৭৫ সালে, যখন জাতিসংঘ এটা উদযাপন করতে শুরু করে। আর প্রথমবার এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ঠিক হয় ১৯৯৬ সালে। জাতিসংঘ সেবার দিবসটি পালন করে ‘অতীতের উদযাপন, ভবিষ্যত ঘিরে পরিকল্পনা’ এই স্লোগান নিয়ে।
প্রতি বছর এখন এই দিবসে উঠে আসে নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কতোটা এগিয়েছে সেই বিষয়টা। একই সাথে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে রাজনৈতিকভাবে নানা আন্দোলন ও প্রতিবাদের আয়োজন করা হয় এ দিনটি ঘিরে।
৮ মার্চ কেন? ক্লারা জেটকিন যখন এই দিনটি প্রস্তাব করেন তখন তিনি কোনও নির্দিষ্ট তারিখের কথা বলেননি।
১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই তারিখটিও নির্দিষ্ট ছিল না, সেবার যুদ্ধের সময় রাশিয়ান নারীরা ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে এক আন্দোলন শুরু করে – টানা চার দিন ধরে চলা সেই আন্দোলনে অবশেষে সেখানে জার শাসনের অবসান ঘটে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার নারীদের ভোটের অধিকার মেনে নেয়।
যে দিন এই আন্দোলন শুরু হয় রাশিয়াতে সেদিন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী (কারণ তখন রাশিয়াতে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলা হত) ছিল ২৩শে ফেব্রুয়ারি রোববার। আর এই দিনটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ছিল ৮ই মার্চ – তারপর থেকেই এই দিনটা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বীকৃতি পায়।
এদিন বেগুনি রং কেন পরা হয়? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট বলছে এদিনের রং হল বেগুনি, সবুজ এবং সাদা।
‘বেগুনি রং ন্যায় বিচার ও মর্যাদার প্রতীক। সবুজ দিয়ে বোঝায় আশা এবং সাদা মানে পবিত্রতা, যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এই রংগুলো এসেছে ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন্স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) থেকে’ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
কোনো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কি আছে? অবশ্যই আছে, আর সেটা ১৯ নভেম্বর। কিন্তু এটা অনেক পরে, ১৯৯০ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে এবং এখনও এই দিবসটি জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি পায়নি। তবে সারা বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে এটি উদযাপিত হয়ে থাকে।
এ দিনটি পালনের লক্ষ্য থাকে, ‘পুরুষ তাদের পরিবার, সমাজ ও এই বিশ্বে যে ইতিবাচকতা আনে সেটায় নজর দেয়া।’
এর আয়োজকরা বলেন একই সাথে এ দিবসের উদ্দেশ্য হল আদর্শ রোল মডেল তুলে ধরা, পুরুষদের সুস্থতার দিকে নজর দেয়া এবং লিঙ্গ সম্পর্কে উন্নতি আনা।
নারী দিবস কিভাবে পালিত হয়ে থাকে? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি ছুটি থাকে, রাশিয়াতেও এদিন সরকারি ছুটি এবং ৮ মার্চ ঘিরে তিন বা চারদিন ধরে ফুল বিক্রি দ্বিগুণ হয়ে যায়। চীনে স্টেট কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক নারীই ৮ মার্চ অর্ধদিবস ছুটি পেয়ে থাকেন। ইতালিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে বলা হয় লা ফেস্তা দেলা দোনা, লজ্জাবতী ফুল দেওয়ার মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। এই রীতির উৎপত্তি কীভাবে তা পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় রোমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এর চল শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরো মার্চ মাসকেই নারীদের ইতিহাসের মাস হিসেবে দেখা হয়। প্রতি বছর এ সময় প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটা ইশতেহার বের করা হয় বছর জুড়ে আমেরিকান নারীদের অর্জনগুলোকে সম্মান জানাতে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য কী? এ বছর নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য হল “নারীদের উপর বিনিয়োগ করুন : দ্রুত উন্নতি আনুন”। এর মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনতে যে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে না সেই বিষয়টাতে মনোযোগ দেয়া হয়েছে।
“সংঘাত ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ৭৫ শতাংশ দেশেই জনগণের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে, যা নেতিবাচকভাবে নারীদের ও তাদের জরুরি সেবার উপর প্রভাব ফেলবে”, বলা হয়েছে এই দিবসটি ঘিরে।
জাতিসংঘের হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ লিঙ্গ সমতা আনতে হলে এখন থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে বিশ্ব জুড়ে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ সহায়তা দিয়ে থাকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতন মোকাবেলায়, এবং ০.২ শতাংশেরও কম খরচ করা হয় এই নির্যাতন প্রতিরোধে।
তবে অন্যান্য কিছু প্রতিপাদ্যও আছে। নারী দিবসের ওয়েবসাইট বেছে নিয়েছে “অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহ” এই প্রতিপাদ্য, আয়োজকদের লক্ষ্য “সকল বাধা ভেঙে ফেলা, প্রচলিত ভুল ধ্যান ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা এবং এমন পরিবেশ তৈরি যেখানে সমস্ত নারী সম্মান ও মর্যাদা পায়।”
আমাদের কেন এই দিনটি দরকার? গত বছর আফগানিস্তান, ইরান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশের নারীরা যুদ্ধ, সহিংসতা বা নীতি পরিবর্তনের কারণে তাদের অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছে।
সবশেষ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যের নারীরা ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা গাজায় নারী ও শিশুদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘন, এমন কী ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ-সহ পেয়েছেন।
একই সঙ্গে ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসের দ্বারা ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা এবং নারীদের অঙ্গ কর্তনের প্রমাণও পেয়েছে বিবিসি।
এই সংঘাতে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেটার ফল ভোগ করতে হচ্ছে নারীদের। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের এক পরিসংখ্যান আগামী মাসের মধ্যেই গাজায় অন্তত ৫৫০০ জন নারী সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন কোনও রকম ন্যূনতম চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই।
আফগানিস্তানে মেয়েদের প্রাইমারি স্কুলের বয়সসীমা পার হলেই তারা স্কুলে নিষিদ্ধ হয়েছে তালিবানদের দ্বারা, যা মেয়েদের সমশিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
সুদানে সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘাতেরও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে সেখানকার নারীদের উপর।
জাতিসংঘ বলছে, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায়ই নারী ও মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার খবর আসছে, যেখানে তাদের জোর করে বিয়ে করানো হচ্ছে এবং মুক্তিপণের দাবি করা হচ্ছে।
১২ লাখেরও বেশি মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, যাদের মধ্যে দশ জনে নয় জনই নারী ও শিশু।
গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনির মারা যাওয়ার এক বছর হয়েছে, যিনি ইরানের হিজাব পরার কড়া নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
এরপর অনেক নারী এই নিয়মের প্রতিবাদ করেন, যার মধ্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি-সহ অনেক অধিকারকর্মী দীর্ঘ কারাগারবাস ভোগ করছেন।
তবে গত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কিন্তু স্পেনের বিশ্বকাপ শিরোপা জয় উদযাপন ঢাকা পড়ে যায় দেশটির সাবেক ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালেসের এক চুমু কান্ডে; বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খান তিনি।
হারমোসো বলেন তার অনুমতি ছাড়াই তাকে চুমু দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে আইনিভাবে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।
রুবিয়ালেস তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু তিনি কোনও অন্যায় করেছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই ঘটনা বিশ্ব জুড়ে ফুটবল মাঠে ও মাঠের বাইরে যৌনতার সংস্কৃতির আলোচনা উস্কে দেয়।
বিবিসি ১০০ নারী প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণামূলক ১০০ জন নারীর তালিকা প্রকাশ করে। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সমবায় দিবস আজ। প্রতি বছর নভেম্বরের প্রথম শনিবার দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
বরাবরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫২তম সমবায় দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’
এদিকে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ‘সমবায় শেখায় একতা, সমবায় আনে সমৃদ্ধি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মাধ্যমে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দ্বারা স্বনির্ভরতা অর্জন তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। কৃষি, মৎস্য, দুগ্ধ, পরিবহণ, গৃহায়ণ, শিল্প, বিমা, বাজারজাতকরণসহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে সমবায় পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম-সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার অন্যতম খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন ‘সমবায়’ শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান।
এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী সমবায় খাত দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সমবায়ীরা দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পরিবহণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সরকার স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী নিবিড় পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমবায়ীদের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করেছি-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। সমবায়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন করে স্মার্ট নাগরিক এবং স্মার্ট সমাজ তথা অর্থনীতিকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। এবারের জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ শুক্রবার ভুটানের ‘পাসাখা স্থলবন্দর’ পরিদর্শন করেছেন।
আজ সকালে পঞ্চগড় জেলার ‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর’ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান। প্রতিমন্ত্রী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরও পরিদর্শন করেন বলে আজ ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংয়ের গভর্ণর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা ‘পাসাখা স্থলবন্দর’ পরিদর্শনে যান। তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় তারা বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্রে খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক:
উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার থেকে আগামী ১০ মে শুক্রবার পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। গত ৬ মে সোমবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রথম ধাপে ৪১৮ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আগামীকাল ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোট দানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রথম ধাপে দেশের ৫৯টি জেলার ১৪১টি উপজেলার ১০ হাজার ৬০৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রথম ধাপে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্ল্যাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুজন সহকারী প্ল্যাটুন কমান্ডার (এপিসি)-এর নেতৃত্বে ছয়জন পুরুষ ও চারজন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিরা (তিনজন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন। তারা সবাই ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য ভোটের মাঠে মোতায়েন থাকবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মীয়মাণ ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. শাকিল খান (২০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাকিল খান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আশার কোটা গ্রামের নবির হোসেনের ছেলে।
তিনি কদমতলীর মুজাহিদনগরে থাকতেন।
সহকর্মী ইকরামুল ও মৃতের খালাতো ভাই মো. সুজন বলেন, কদমতলীর রায়েরবাগ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ ভবনের তৃতীয় তলায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালি শেষে বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মাসুম আলী বেগ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জম্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বর্তমানে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জম্ম নিবন্ধন। একটি শিশু জম্ম নেওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে জম্ম নিবন্ধন বিনা খরচে করা যায়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আল মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহনাজ পারভীন, বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলম, প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ শেখ, সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিববৃন্দ, গ্রাম পুলিশের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতিসহ দুইজন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও একজন গ্রাম পুলিশকে-কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।