চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশেষ অভিযানে আলোচিত মোরছালিন ভূঁইয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে। তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থানা পুলিশ এ তথ্য জানায়।
আখাউড়া থানার ওসি মো.নূরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে দুপুরে ধরখার হাইওয়ে রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল্লাহকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ডেকে নিয়ে মোরছালিন ভূঁইয়াকে (২৬) হত্যা করা হয়। পরদিন রবিবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর তালাবদ্ধ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোরছালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর আব্দুল্লাহসহ অন্য আসামিরা গা-ঢাকা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মধ্যরাতে ঘন কুয়াশা, কনকনে ঠান্ডা। আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে শীতে কাঁপছে অসহায় দুস্থ মানুষ। নিজ হাতে এসব শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বর জড়িয়ে দিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার। হঠাৎ কম্বল পেয়ে হতবাক হয়ে এসব অসহায় মানুষ। তাদের চোখে মুখে দেখা আনন্দ অশ্রু। সোমবার রাতে ইউএনও রাবেয়া আক্তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কম্বল হাতে ছুটে যান আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন, খড়মপুর মাজার এলাকা, আজমপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে। এসব স্থানে ভাসমান অসহায় নারী-পুরুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি। শীতার্ত মানুষের গায়ে নিজ হাতে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি।
এছাড়াও রাস্তা-ঘাটে ভাসমান মানুষের হাতে কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল পেয়ে একটু উষ্ণতার ছোঁয়া পায় শীতে কষ্ট করা অসহায় ছিন্নমূল মানুষ।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুই শতাধিক দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়েছে। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছেন তাদেরকে একটু উষ্ণতা দেওয়ার জন্য সরকারি এসব কম্বল দেওয়া হয়।
কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তাপস চক্রবর্তী প্রমুখ। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার বলেন, যাদের একেবারে কিছু নেই শীতে কষ্ট পাচ্ছেন তাদেরকে আমরা কম্বল দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫ মিঃ থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভারের ত্রæটি মেরামত শেষে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে যাদের ভারতের বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ১২টা) দেশড় থেকে ২’শ জন যাত্রী ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্ট করেন বেশি। এসময় তারা যাত্রী ছাউনী ও গাছ তলায় বসে সময় কাটান।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানায় আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদেরকে অনুরোধ করে বলে আমরা যেন কোন যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারাও শূন্য রেখায় আসে। আমরাও শূণ্য রেখায় যাই।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা আমাদেরকে বলেন, যে সকল যাত্রীর ভারতের আভ্যন্তরিন বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে ভারতে পাঠাতে বলে। আমরা যাদের টিকেট আছে তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম আরও বলেন, বেলা সোয়া দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। এরপর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮’শ যাত্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করে। সেখান থেকে অনেকেই চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বিমান যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মো. জুনায়েদ মোস্তফা (১০) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ১৪ জুন শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের পুকুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত মো. জুনায়েদ মোস্তফা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা ফুলবাড়িয়া গ্রামের মিয়া বাড়ির জলিল মিয়ার ছেলে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মৃত জুনায়েদ মোস্তফার পরিবার কলেজ পাড়া এলাকায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করতো।
আখাউড়ায় প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী ও মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকা থেকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-৬০) সদস্যরা এই ভারতীয় পণ্য ও মদ জব্দ করে। এদিন দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকায় সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৬০) টহল দলের অভিযানের সময় ৬৪৮ পিস ভারতীয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ডিসপ্লে, দুই লাখ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ট্যাবলেট, ২৪টি হুইস্কি মদের বোতল এবং ২৪টি বিয়ারের বোতল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি তিন লাখ টাকা।
এ সময় বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া থেকে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও গরু চুরিসহ ১৯ মামলার পলাতক আসামি খোকন মিয়া (৪৪)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় সে মাজারে ঘুমাচ্ছিল।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার খড়মপুর কেল্লা শহীদ (র.) মাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ।
আসামি খোকন সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের মৃত আব্দুল হাশিমের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বনিক জানান, খোকন মিয়া পুলিশের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত আসামি। সে মাদক, গরু চুরি, হত্যা, অস্ত্রসহ ১৯ টি মামলার পলাতক ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি। গত কোরবানির ঈদের আগেও সে একটি খামার থেকে চারটি গরু চুরি করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়ায় মাজারে গাঁজা সেবন করে ঘুমাচ্ছিল খোকন। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার খোকনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।