চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি মো আতিকুল ইসলামের মহাপ্রয়াণে তিনদিনের শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোক মিছিল ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১ টায় তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে শোক মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি শিপনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, বিশিষ্ট কবি আবদুর রহিম,উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, কবি পরিষদ সভাপতি শৌমিক সাত্তার,সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মুহম্মদ ইদ্রিস,তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস, যুবলীগ নেতা আলী আজম, সাকিল মিয়া, সংস্কৃতি সংগঠক সোহেল রানা ভূঞা,মাহবুব আলম উজ্জ্বল, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর, আবৃত্তিশিল্পী ফাহিমা সুলতানা, কবি শাওন চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম থেকে তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে আটক হন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের ওই সংসদ সদস্য। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেয়।
ওই মামলায় রাতেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় ফজলে করিম কারাগারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যান। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানেই তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিমকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার স্টেডিয়াম থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের ১০দিন পর ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জের সদস্যরা। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ভাটামাথা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
ভিটটিম সদর উপজেলার একটি স্কুলের ছাত্রী। তার বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। দুপুরে উদ্ধারকরা স্কুল ছাত্রীকে র্যাবের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হস্তান্তর করার পর পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। শুক্রবার বিকেলে র্যাব সিপিসি-১-হবিগঞ্জ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা র্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগে করে জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টার সময় তার কন্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে অটোরিক্সা দিয়ে শহরের কাউতলী যাওয়ার পর কাউতলী গ্রামের গলিপথে যাওয়ার পর বোরহান উদ্দিনসহ তার অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়ে দেখিয়ে তার কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তিনি এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযানে ও ছায়া তদন্ত শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১-হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তিনি একজন লেবাসধারি ইমাম। তিনি সদর উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে নানাভাবে ফুসলানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। তাকে ফুসলাতে না পেরে পরবর্তীতে সহযোগীদের নিয়ে তাকে অপহরণ করেন।
গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন প্রকৃতপক্ষে একজন অপহরণকারী ও ধর্ষক। এর আগেও সে ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ- একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা চলমান রয়েছে। (মামলা নং- নাঃ শিঃ ২৪৪/১৯ ইং ও আখাউড়া থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১/০২/২০১৯ইং জিআর-৩৭/১৯)। ওই মামলায় সে দীর্ঘ ১১ মাস হাজতবাস করে জামিনে মুক্ত পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো একই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন বলেন, শুক্রবার দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা স্কুল ছাত্রী ও গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও বোরহান উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলায় প্রতিপাদ্য মধ্যে দিয়ে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় অনুর্ধ্ব-১৬ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত সিক্সার্স ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্যে রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সামছুর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা আখতার।
আনিছুল হক রিপনের উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত কোচ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রিকেট কোচিং একাডেমীর কোচ মোঃ শামীম ভূইয়া, ক্রিকেট আম্পায়ার মোঃ আজিম, মোঃ বাবু, মোঃ কামাল, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন, বিশিষ্ট ফুটবলার ইয়াকুব।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে দেশ ও পৃথিবীর সাথে নিজেকেও বদলাতে হবে তাহলেই আমাদের সফলতা আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজ থেকে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে এবং মাদকের মতো বিভিন্ন কুফল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে যখন গড়ে তুলতে পারবো তখনই আমরা দেশ এবং পৃথিবী বদলাতে পারবো। তারুণ্যে উৎসবের এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ১১টি দল অংশ গ্রহণ করেন। দিনব্যাপী খেলা শেষে বিজয়ী এবং রানার্স আপদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস হচ্ছে দাসত্ব ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ইতিহাস।’ তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনও অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেয়নি এবং ২০২৪ সালে স্বাধীনতার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে।
আজ ১৭ মে শনিবার জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমরা দিল্লির দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়েছি, ওয়াশিংটনের গোলামীর জন্য নয়। বাংলাদেশ মানবতাবাদী দেশ। যখনই প্রয়োজন, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং আমাদের সংগ্রাম কখনও অন্য দেশের স্বার্থের পক্ষে নয়।
ড. ইউনূস সাহেব, একসময় আপনি আদালতপাড়ায় ঘুরে বেড়াতেন, সেই জায়গা আমাদেরও চেনা। আমাদের ইসলামি নেতাদের বিরোদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা, গুম, খুন-এসব প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এই জনতা ক্ষমা করবে না।
এ সময় তিনি ২০১৩ সালের জুলাই গণহত্যা, শাপলা চত্বর গণহত্যাসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক অটুট ইতিহাস তৈরি করেছে। ২০২৪ সালে আমাদের সংগ্রাম নতুন এক দিগন্ত খুলবে, যেখানে দেশের স্বাধীনতা দ্বিতীয়বার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মহাসচিব মাওলানা বেলাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা আহসানুল্লাহ আমির, কেন্দ্রীয় সচিব মাওলানা আব্দুল আজিজ এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ।
এ সমাবেশে বক্তারা সরকারের নীতি ও কার্যক্রমের সমালোচনা করে তাদের দাবি জানান যে, বাংলাদেশ যেন কোনো ধরনের বিদেশি আধিপত্য বা দাসত্বের কবলে না পড়ে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। অনুষ্ঠিতব্য দ্বিবার্ষিক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কমিটিসহ নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই পক্ষের নেতাদের সাথে আলোচনা করে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান। এর আগে আজ দুপুরে এক সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা সম্মেলনে যাবেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তাঁরা দুজনই জেলা বিএনপির ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে সভাপতি পদে চারজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তিনজন দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরে শহরের আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হাফিজুর রহমান ও জহিরুল হকের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, আজ বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। পরে তারেক রহমানের সাথে স্কাইপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বৈঠক হয়। সেখানে জেলার কমিটি ও নেতৃত্বের নানা অসংগতি তুলে ধরেন মুশফিকুর রহমান। ওই সভা শেষে ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান রাতে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ভাইয়ের সঙ্গে একটু আগে আমার কথা হয়েছে। সম্মেলনের ১৮ জানুয়ারির তারিখ পরিবর্তন হবে। সম্মেলনের নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। আপাতত ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা আগামী ২০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানানো হবে।’