অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারাদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।
এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে, দেশের সব মসজিদে, খতমে তারাবিহ নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চাপায় আমান উল্লাহ (৭) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গুতুরা-বড়খাপন সড়কের বড়খাপন এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত আমান উল্লাহ বড়খাপন গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে গুতুরা থেকে একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা বড়খাপন বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এদিকে আমান উল্লাহ বাড়ির পাশের ওই রাস্তায় খেলাধুলা করার সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাল উল্লাহকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াাধীন রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ডাকা হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চোরাগুপ্তা হামলা ঠেকাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ন্যূনতম চারজনের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাত্রিকালীন নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার সন্দেহভাজন বাসা বাড়ি, মেস ও হোটেলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এদিকে হরতাল চলাকালে রবিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ উল্লেখ করে কর্ডন টেপ দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে সিআইডি। এর দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। এর ফলে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদিকে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনেসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন অলি-গলিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, রোববারের হরতালে নাশকতার বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশসহ সব ইউনিটকে। একই সঙ্গে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। শনিবার মহাসমাবেশে পুলিশ হত্যা, পুলিশ আহত, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ি, মেস, হোটেলে রেড দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। রাস্তায় চেকপোস্ট আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ব্যবস্থা। কমপক্ষে চারজন পুলিশকে অস্ত্রসহ টহল দিতে বলা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশকে শক্তিশালী ভূমিকা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আগাম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন বার ও আবাসিক হোটেলগুলোর রেজিস্টার চেক করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। পুলিশ ও র্যাবের তরফ থেকে বাড়ানো হয়েছে রোবাস্ট পেট্রোল ডিউটি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় থাকা সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে ইতোমধ্যেই দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে কোনোভাবে অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে না পারে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও। পুলিশের সব সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শনিবারের মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা আরো সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সাইবার মনিটরিং থেকে শুরু করে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত আছে। রবিবারের হরতালকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। ঢাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এককথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনিবারের ঘটনার পর হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সদস্যকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। রবিবারের হরতালে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে র্যাব। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যারা মহাসমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে। র্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জড়িত দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত, শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪২ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন। অন্তত ১৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবন, প্রায় অর্ধশত গাড়ি, কাকরাইল চার্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। এরপর যাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তাদেরকে টার্গেট করতেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিতেন। দাবি করতেন টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা আবু হানিফ তুষার ওরফে হানিফ মিয়া (৩৯) নামে এসব অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও বিভিন্ন ভিডিও ও এডিট করা ছবি উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায়।
হানিফ মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কারও কাছে ৫০ কোটি, কারও কাছে ১০০ কোটি, কারও কাছে ৩০০ কোটি টাকা দাবি করতেন। আর তাদের কারও সঙ্গে দামি গাড়িতে করে দামি হোটেলে সাক্ষাৎ করতেন। ইতোমধ্যে মনোনয়ন পেতে ১০ থেকে ১১ জন তার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন বা পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে বিপুল অংকের অর্থ দাবি করা হতো। ৩০ জনের অধিক ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অধিক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আবু হানিফ দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় হিসেবে মিথ্যা পরিচয় ও সুসম্পর্কের কথা বলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেন। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রতারণা করার জন্য বিভিন্ন সময় নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতেন হানিফ।
তিনি আরো বলেন, পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপস থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য সেজে নিজ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসাতেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, আবু হানিফ এইচএসসি পাশ, কিন্তু একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন বলে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। ২০০৮ সালে মটরপার্টসের ব্যবসার সঙ্গে জড়ান। তুষার এন্টারপ্রাইজ পরিবহন নামে তার বেশ কয়েকটি বাস ও নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রাইভেট কার রয়েছে।
র্যাব জানায়, ২০১৪ সালের পর থেকে একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কার্যক্রম শুরু তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৌশলে রাজনৈতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরিচিত হতেন। পরে সুসম্পর্ক তৈরি করে ছবি তুলতেন এবং প্রতারণার কাজে এই ছবিগুলো ব্যবহার করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলাও রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেউ যেন লুটপাটের সুযোগ না পায়, তা নিশ্চিত করতে ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। রাজপথে অবস্থান নেওয়া ছাত্র–জনতার উদ্দেশে লুটপাটকারীদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম পুরো আন্দোলন সফল করার কৃতিত্ব জনসাধারণের বলে জানিয়েছেন।
আজ ৫ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয়জন সমন্বয়ক।
এসময় সমন্বয়করা জানান, অন্তবর্তীকালীন সরকারের একটি রূপরেখা গতকাল রাত ৮টায় কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় ঘোষণা করা হবে।
অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতাকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থানের আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। এই সুযোগে কেউ যেন লুটপাটের সুযোগ না পায়।’
নাহিদ ইসলাম তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য হিসেবে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে নিপীড়নমূলক যে সব ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলোর সংশোধনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষক-সুশীল সমাজসহ অন্যান্যদের অংশগ্রহণে একটি অন্তরবর্তীকালীন সরকার চান তারা। এই অন্তরবর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আজ দুপুরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসান হয়েছে।
এর আগে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে একটি অন্তরবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই অন্তরবর্তীকালীন সরকারের অধীন দেশের সব কার্যক্রম চলবে। পরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান অতি শিগগির ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন।
আন্দোলন সফল হওয়ার জন্য দেশের আপামর জনসাধারণকে কৃতিত্ব দিয়ে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আজকে যা হয়েছে তার সম্পূর্ণ ক্রেডিট বাংলাদেশের মানুষের। বাংলাদেশের আপামর জনতা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে। সে কারণেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে দরিদ্র নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ৩৮ জনের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নারীদেরকে সাবলম্বী করার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি বলেন, একটা সময় ছিল যখন পুরুষেরা কাজ করতো, আর নারীরা সংসারের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পড়াশোনা ও কর্মক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজকাল বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলেও মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতে নারীদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ সময় বদলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের নারীরা সবদিক থেকেই এগিয়ে গেছেন। যদি ঘরে ফেলে না রেখে কাজ করেন, তবে এই সেলাই মেশিনটির মাধ্যমেও আপনারা স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আর নিজে যখন স্বাবলম্বী হবেন, তখন আপনাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনারা সেই বিশ্বাস নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটান। তাহলে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে।
মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শরীফ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান রুবেল, গোপদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, কেওয়ারজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, বৈরাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।