অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ১০ মার্চের ফাইনালের আগে আজ ৮ মার্চ শুক্রবার গ্রুপের শেষ আনুষ্ঠানিক ম্যাচ ছিল বাংলাদেশ-ভুটানের। নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে ভুটানকে হারিয়েছে।
এক ম্যাচ আগে ফাইনাল নিশ্চিত হলেও একাদশে কোনো পরিবর্তন না এনেই ভুটানের বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। ১৩ মিনিটে এগিয়ে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ফাতিমা আক্তারের লম্বা ক্রস ধরতে সুরভী আকন্দ প্রীতি অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়ে যান। ড্রপ খেয়ে ওপরে ওঠা বল হেডে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।
৩৩তম মিনিটে বাংলাদেশকে দ্বিগুণ লিড এনে দেওয়া দুর্দান্ত গোলটি করেন ফাতেমা। বক্সের বেশ বাইরে থেকে এই মিডফিল্ডারের নেওয়া ফ্রি-কিক বল জালে জড়ায়। পরের মিনিটেই কর্নার থেকে ব্যবধান আরো বাড়ান ক্রাউচিং মারমা। ফাতিমার কর্নারে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা মারমা হেড দিয়ে জাল খুঁজে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ান সাথী মুন্ডা। বাঁ-প্রান্ত থেকে বদলি খেলোয়াড় মৌমিতা খাতুনের ক্রস থেকে সুরভীর পা ছুঁয়ে বল যায় পোস্টের মুখে অরক্ষিত সাথীর পায়ে। সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বড় করেন এই বাংলাদেশি উইঙ্গার। ৬৯ মিনিটে ব্যবধানটা আরো বড় করেন থুইনুই মারমা। ৭৭ মিনিটে সুরভী আকন্দ প্রীতি একাই বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে দলের হয়ে ষষ্ঠ গোল করেন। আর তাতেই নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের বড় জয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পি সোনু নিগম সম্প্রতি পুনেতে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় হঠাৎ মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসুস্থতার খবর তিনি নিজেই জানান।
প্রথমে বিষয়টিতে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও পরে আর গান গাইতে পারছিলেন না যন্ত্রণায়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে কনসার্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। যে পিঠের ব্যাথায় একেবারে কাতর, তা তার শেয়ার করা ভিডিওতেই স্পষ্ট। চিকিৎসার জন্য গাড়িতে তোলার সময় ব্যাথায় কেঁদে ফেলেন। এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘ব্যাক পেইন’ কতোটা গুরুতর ছিল, সেই যন্ত্রণার মুহূর্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিন আমার কাছে। মনে হচ্ছে যেন মেরুদণ্ডে সুঁচ ফোটানো হচ্ছে।’ তারপরই যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা গেছে তাকে।
বিছানায় বিশ্রাম নিতে নিতে গায়ক বলেন, ‘স্টেজে পারফর্ম করার সময় আমি প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি। যাইহোক, আমি কোনোভাবে সামলে উঠতে পেরেছি এবং আমার অনুষ্ঠান সেরেছি। আমি খুশি যে, আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল।’
অসুস্থতার সময় সোনু নিগমকে তার টিমের সদস্যরা সাহায্য করেছেন। নিজের পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না তিনি। সোনুর এই অবস্থা দেখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভক্তরা। সুস্থ হওয়ার জন্য করছেন প্রার্থনা।
শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণ করা কর্তব্য বলেই মনে করেন সোনু। তাই ব্যাথা নিয়েও তিনি ভক্তদের জন্য সেরাটা দিতে পেরে খুশি। পুনেতে পারফর্ম করার আগে সোনু আরো একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, শিল্পী মাটিতে শুয়ে রেওয়াজ করছেন। ব্যাথা নিয়েও তার গানের চর্চায় কোনও কমতি নেই। শিল্পীকে ভক্তরাও প্রশংসায় ভরিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাঞ্জি জাম্পিং প্ল্যাটফরম থেকে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্টের মতে, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
মারা যাওয়া ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বয়স ৬০-৬৯ বছরের মধ্যে।
তিনি প্ল্যাটফরম থেকে আট মিটার নিচে কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি গেয়ংগি প্রদেশের স্টারফিল্ড আনসেং মলে অবস্থিত প্ল্যাটফরম থেকে বাঞ্জি জাম্প করার চেষ্টা করেছিলেন।
গেয়ংগি নামবু প্রদেশের পুলিশের ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ ক্যারাবিনারের কারণে বাঞ্জি কর্ডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ এখনো ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না সেদিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
দুর্ঘটনার সময় ওই নারী নিরাপত্তার সরঞ্জামে সজ্জিত ছিলেন। তবে একটি ক্যারাবিনার (একধরনের সুরক্ষা হুক) সুরক্ষিত ছিল না। তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বেঁচে ফেরেননি। পড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঞ্জি জাম্প প্ল্যাটফরমের একটি থেকে লাফ দিয়ে এক জাপানি পর্যটক মারা যান। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়। ৫৬ বছর বয়সী ওই পর্যটক ম্যাকাও পৌরসভার ম্যাকাও টাওয়ারের ৭৬৪ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৩০ ফুট উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পের সময় এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল। সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণী সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক শামীম মাদবরের।
সেখানে থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিয়েতে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে জাঁকজমকে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রেমযুগলের।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে ইন্দোনেশীয় তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানান তিনি। ভীনদেশি তরুণীকে বিয়ের বিষয়টি প্রথমে শামীমের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে অনলাইনে ওই তরুণীরর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীমের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিয়ের হয় শামীম-ইহফার।
শামীম মাদবরের আত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় হলেও কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়েটা খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসেন। ’
এদিকে ইন্দোনেশীয় তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশীরা বলেন, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়েকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে।
শামীমের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কয়েকদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমে গড়ায় সম্পর্ক। আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।
ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, আমারই ফল্ট (ভুল) ছিল। কারো ষড়যন্ত্রের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দেন।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার ছোট একটা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা ছিল, যেটা আমার নলেজে ছিল না। বাচ্চা বাইরে পড়াশুনা করে সেই জন্য দেশের বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করে ইসিতে এসেছি।
কতো টাকা বকেয়া ছিল-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব কম টাকা, বলার মতো না। যে অভিযোগটা এসেছে এটা আসলেই আমার ফল্ট ছিল। কারোর ষড়যন্ত্র দেখছি না। এটি আমি খেয়াল করি নাই। তবে আশা করছি আমার মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাবো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।