চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় পুলিশের অভিযানে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অ্যাম্বুল্যান্সসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার বাগমারা এলাকার কোরবান আলীর ছেলে শহিদ (৫৭), চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার মাইজের বাড়ি এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে মো. হাবিব (২০), একই জেলার কচুয়া উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মাদরাসা এলাকার আলী এক্কাবর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন (২৮), ময়মনসিংহ জেলার মাঠখোলা বাজার এলাকার রফিক হাসান ওরফে রবির ছেলে মো. জনি মিয়া (২১)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অ্যাম্বুল্যান্সে ৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৪ বোতল বিয়ার, ৪ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৪ কেজি গাঁজাসহ তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৬ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১১টায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাগরতলা গ্রাম ও দুপুরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রাম ও বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা গ্রামে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার সাগরতলা গ্রামের কাউছার মিয়া (১৯), যশোর জেলার সদর উপজেলার নলিতাদহ গ্রামের ইলিয়াস হোসেন (৩৫) ও নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের মোঃ আশিক (২৩)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাগরতলা গ্রামের ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ বোতল বিয়ার এবং ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব মাদকদ্রব্য ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে স্টীলের আলমারী ও রান্নাঘরের মাটির নিচে লুকানো ছিলো।
অপর দিকে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কসবা-নয়নপুর সড়কের লক্ষীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা আটক করা হয়। পরে অটোরিকসায় তল্লাশী চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একইদিন বিকেলে উপজেলার কৈখলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২টি বস্তায় ভর্তি ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় কসবা থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, তারা হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২ জুলাই রবিবার দুপুরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- মাইজখার গ্রামের রাজু ভুঁইয়ার মেয়ে মাইশা আক্তার (৮) ও তার ভাগনে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দইখলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জুবায়ের হোসেন (১১)।
নিহতদের পরিবার জানায়, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজু ভুঁইয়ার ভাগনে জোবায়ের মায়ের সঙ্গে মাইজখার গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। দুপুরে রাজু ভুঁইয়ার বাড়ির পেছনে সাঁতার কাটতে গভীর পুকুরে নামে মাইশা ও জুবায়ের। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পানিতে তলিয়ে যায় দুই শিশু। বাড়ির লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে পুকুরে নেমে খোঁজাখুজি করতে থাকে। একপর্যায়ে পানির নীচ থেকে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিক শর্মা দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, উপজেলার মাইজখার গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুরের পানিতে ডুবে আদিবা আক্তার নামের ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি সৈয়দাবাদ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশু আদিবা সৈয়দাবাদ গ্রামের আলমগীর মিয়ার মেয়ে।
নিহত শিশুর চাচা জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে আদিবার মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় সবার অজান্তে শিশু আদিবা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। একপর্যায়ে ঘরের পেছনে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজনের খাওয়া শেষ হলে আদিবাকে না দেখে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে মা-বাবা কান্নাকাটি শুরু করেন।
পরে পুরো মহল্লায় খুঁজেও না পেয়ে বিকেলে লোকজন দেখতে পান পুকুরে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে শিশু আদিবা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আলম খান বেদন পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।