অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে (বিসিজি) অতি-আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি, জাহাজ ও হেলিকপ্টার দিয়ে সাজিয়ে একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না। কোস্ট গার্ড বাহিনীতে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। ’
আজ ১০ মার্চ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে ‘২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং কোস্ট গার্ড দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোস্টগার্ডের অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ছয়টি স্টেশন ও আউটপোস্ট এবং তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট ও দ্রতুগতিসম্পন্ন বোট।
পাশাপাশি সমুদ্র নির্ভর পেশায় নিয়োজিত জনসাধারণের ও নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও ৪টি ওপিভি, ২টি মেরিটাইম ভার্সন হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি যা কোস্ট গার্ডকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর যোগাযোগ এবং অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি দুটি হেলিকপ্টার উইংসহ এভিয়েশন উইং গঠনের নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছি, যা সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডে ৪টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেলসহ বিভিন্ন আকারের ১৬টি জাহাজ ও ১৩৮টি বোট কোস্ট গার্ড বহরে সংযোজিত হয়েছে। গভীর সমুদ্রে কোস্ট গার্ড-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১’ এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য আজ কোস্ট গার্ডের নবসংযোজিত ভিস্যাটনেট সিস্টেম ও ঢাকা জোন, পূর্ব জোন এবং দক্ষিণ জোনের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি প্রতিস্থাপক জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ১৯৯৫ সালে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২৯ বছরে আজ একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের আনীত বিলের কারণেই ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ একটি আধা-সামরিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন জোনের জন্য ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন নতুন জলযান সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ড-এর স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন আকারের জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্ট গার্ড-এর জোনসমূহে কর্মরত সদস্যগণের বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস তৈরির মাধ্যমে কোস্ট গার্ড-এর জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তিনি নিজেই ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ নামে কমিশন করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর জন্য ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল, ফ্লোটিং ক্রেন, ট্যাগ বোট এবং বিভিন্ন ধরনের হাইস্পিড বোট তৈরি করা হয়েছে। এ বাহিনীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ ও সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্তি এ বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ বাহিনীর অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি। বাকি দুটি আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
প্রার্থীরা হলো :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মোঃ শাহজাহান আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ মোঃ নাঈমুজ্জামান ভুইয়াঁ, পঞ্চগড়-২ মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ মোঃ ইমদাদুল হক, দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-২ খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান, দিনাজপুর-৬ মোঃ শিবলী সাদিক, নীলফামারী-১ মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ মোঃ গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ মোঃ জাকির হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-১ মোঃ মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ মোঃ মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ মোঃ রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-২ আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর-৪ টিপু মুনশি, রংপুর-৫ রাশেক রহমান, রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-১ মোঃ আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ মোঃ জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ মোঃ বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ মাহব্বু আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধা-৫ মাহমুদ হাসান, জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ মোঃ সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ মোঃ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ মোঃ মজিবর রহমান (মজনু), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৭ মোঃ মোস্তফা আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মুঃ জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মোঃ আব্দুল ওদুদ, নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, নওগাঁ-৪ মোঃ নাহিদ মোর্শেদ, নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), নওগাঁ-৬ মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী-৩ মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, রাজশাহী-৬ মোঃ শাহ্রিয়ার আলম, নাটোর-১ মোঃ শহিদুল ইসলাম (বকুল), নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ জুনাইদ আহ্মেদ পলক, নাটোর-৪ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ মোছাঃ জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৩ মোঃ আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মমিন মন্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-১ মোঃ শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ মোঃ মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ, পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দঃ প্রিন্স, মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, কুষ্টিয়া-১ আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-৩ মোঃ মাহবুবউল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ সেলিম আলতাফ জর্জ, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), চুয়াডাঙ্গা-২ মোঃ আলী আজগার, ঝিনাইদহ-১ মোঃ আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ঝিনাইদহ-৩ মোঃ সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ মোঃ আনোয়ারুল আজীম (আনার), যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ মোঃ তৌহিদুজজামান, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল, যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৬ শাহীন চাকলাদার, মাগুরা-১ সাকিব আল হাসান, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ বি, এম কবিরুল হক, নড়াইল-২ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দীন, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ এইচ, এম, বদিউজ্জামান সোহাগ, খুলনা-১ ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-২ সেখ সালাহউদ্দিন, খুলনা-৩ এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৫ নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ মোঃ রশীদুজ্জামান, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৩ আ, ফ, ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ এস. এম. আতাউল হক, বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা, পটুয়াখালী-১ মোঃ আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-২ আ, স, ম, ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ এস. এম শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ মোঃ মহিববুর রহমান, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আলী আজম, ভোলা-৩ নুরন্নবী চৌধুরী, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, বরিশাল-২ তালুকদার মোঃ ইউনুস, বরিশাল-৩ সরদার মোঃ খালেদ হোসেন, বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ, বরিশাল-৫ জাহিদ ফারুক, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুন, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, পিরোজপুর-১ শ. ম. রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ^াস, পিরোজপুর-৩ মোঃ আশরাফুর রহমান, টাঙ্গাইল-১ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৩ মোঃ কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ মোঃ মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ মোঃ মামুন-অর-রশিদ, টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম (টিটু), টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয়, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ মোঃ ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ মির্জা আজম, জামালপুর-৪ মোঃ মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-১ মোঃ আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ এ, ডি, এম, শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৩ নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ মোঃ আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ মোঃ মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ মোঃ হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী, ময়মনসিংহ-৮ মোঃ আব্দুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ ফাহ্মী গোলন্দাজ (বাবেল), ময়মনসিংহ-১১ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, নেত্রকোনা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-২ মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ অসীম কুমার উকিল, নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোনা-৫ আহমদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-২ আবদুল কাহার আকন্দ, কিশোরগঞ্জ-৩ মোঃ নাসিরুল ইসলাম খান, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ মোঃ আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান, মানিকগঞ্জ-১ মোঃ আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, মুন্সীগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা-২ মোঃ কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ হারুনর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাইদ খোকন, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৮ আ, ফ, ম, বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মোঃ মাইনুল হোসেন খান, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৮ মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৯ ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ বেনজীর আহমদ, গাজীপুর-১ আ, ক, ম, মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ রুমানা আলী, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন (রিমি), গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ, নরসিংদী-১ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বি খান, নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নরসিংদী-৫ রাজি উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ মোঃ জিল্লুল হাকিম, ফরিদপুর-১ মোঃ আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ শাহদাব আকবর, ফরিদপুর-৩ শামীম হক, ফরিদপুর-৪ কাজী জাফর উল্যাহ, গোপালগঞ্জ-১ মুহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া, শরীয়তপুর-১ মোঃ ইকবাল হোসেন, শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ-১ রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ মোহম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৫ মুহিবুর রহমান মানিক, সিলেট-১ এ, কে, আব্দুল মোমেন, সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ হাবিবুর রহমান, সিলেট-৪ ইমরান আহমদ, সিলেট-৫ মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-১ মোঃ শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, মৌলভীবাজার-৪ মোঃ আব্দুস শহীদ, হবিগঞ্জ-১ ডাঃ মোঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ ময়েজ উদ্দিন শরীফ, হবিগঞ্জ-৩ মোঃ আবু জাহির, হবিগঞ্জ-৪ মোঃ মাহাবুব আলী, কুমিল্লা-১ মোঃ আবদুস সবুর, কুমিল্লা-২ সেলিমা আহ্মাদ, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৪ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা-৫ আবুল হাসেম খান, কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দীন, কুমিল্লা-৭ প্রান গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, কুমিল্লা-৯ মোঃ তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১০ আহম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-১১ মোঃ মুজিবুল হক, চাঁদপুর১ সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর২ মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী, চাঁদপুর৩ ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ মুহম্মদ শফিকুর রহমান, চাঁদপুর৫ রফিকুল ইসলাম, ফেনী১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, ফেনী২ নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী৩ মোঃ আবুল বাশার, নোয়াখালী১ এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী২ মোরশেদ আলম, নোয়াখালী৩ মোঃ মামুনুর রশীদ কিরন, নোয়াখালী৪ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী৫ ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী৬ মোহাম্মদ আলী, লক্ষ্মীপুর১ আনোয়ার হোসেন খান, লক্ষ্মীপুর২ নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর৩ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, লক্ষ্মীপুর৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী, চট্টগ্রাম১ মাহাবুব উর রহমান, চট্টগ্রাম২ খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম৩ মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম৪ এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম৫ মোহাম্মদ আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম৬ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম৭ মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম৮ নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম৯ মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ মোঃ মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ এম, আবদুল লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার-১ সালাহ উদ্দীন আহমদ, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ শাহীন আক্তার, খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার, বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।
এর আগে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বেশির ভাগ আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেও কৌশলগত কারণে সে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছিল না।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে আজ সকাল ১০টার পর গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই সভায় শেখ হাসিনা মনোনয়প্রত্যাশীদের বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যদি কোনো আসনে জয়ী হন, তাহলে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় প্রধান জানিয়েছেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যে কোনো নেতা বা যে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৫৬ জন এমপি দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৪৯ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের কুর্নফুলী গ্যাস লাইনের পাইপ লাইনের কর্মরত ৩ শ্রমিক লরি চাপায় নিহত হয়েছেন। এতে আরেকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পাবনা জেলার সুজানগর থানার সৌখেতু পাড়ার আবুল কালামের ছেলে মো. আলম (৫০), একই থানার রায়পুর এলাকার মালেক বেপারির ছেলে মো. শফিক (৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আন্দিদিল এলাকার হুমায়ন কবিরের ছেলে মাসুদ মিয়া ( ৩৫)। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. মাজেদ (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীর পাইপ লাইনে কর্মরত শ্রমিক মো. সোহেল রানা জানান, তারা সবাই নাস্তা করে কাজে জাইতেছিলো। নিহতরা মহাসড়কে তাদের থেকে কিছুদূরে ছিলো। পেছন থেকে একটি লরি গাড়ি এসে ধাক্কা দিলে সড়কে তাদের ৩ জনের মৃত্যু হয়। আরেকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়ির চালক গুমে ছিলো। না হলে এমন দূর্ঘটনা হতো না বলে তিনি জানান।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, আমরা লরি গাড়িটি আটক করেছে। নিহতদের লাশ থানা আছে। আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ। এছাড়া মৃত্যুজনিত কারণে একই দিন কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই দুই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ।
আনিছুর রহমান বলেন, এবারও ৫ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এপ্রিলে প্রথম ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ‘ক্রেডেনশিয়াল হলে ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৩’ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, পৃথিবীর সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। প্রতিটি ধর্মেই অনেক ভালো বিষয় আছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সব সময় যা উৎকৃষ্ট তা গ্রহণ এবং যা নিকৃষ্ট তা বর্জন করারও উপদেশ দেন। ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই ধর্ম, অকল্যাণের জন্য নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্যই ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।’
শুধু নিজে বা পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা না করে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।
মহামতি বুদ্ধকে মানবতা ও মুক্তির পথিক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ। এই অঞ্চল তথা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদেরকে মহামতি বুদ্ধের শিক্ষাকে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারসহ হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য।’
মো. সাহাবুদ্দিন একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে গৌতম বুদ্ধের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি সবাইকে সৎ ও সুন্দর জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ হওয়া, ভালো কাজে অন্যকে অনুপ্রাণিত করা এবং নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে রাষ্ট্রপতি এবং তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা আজ বিকাল চারটা থেকে করে প্রায় ঘণ্টাখানেক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মীয় গান ও মিউজিকের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপসংঘরাজ শ্রীমৎ ধর্মপ্রিয় মহাথের, ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এবং ট্রাস্ট সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি মিশনের প্রধান এবং আট শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথিসহ প্রায় সহস্রাধিক লোক অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি, গাছপালা, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। এদিকে বিরিশিরি সড়কের ঘোড়াইত নামক স্থানে চলন্ত অটোরিক্সায় গাছ পড়ে গুরুতর আহত আদম আলী ফকির (৫০) নামের এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ ২ জুন শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত আদম আলী ফকির উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বন্দসাংসা গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে।
এর আগে ১ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। এতে অর্ধশতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
জানা গেছে, হঠাৎ করে ঝড়ে দুর্গাপুর পৌর শহরের দশাল গ্রামের রুবিনা বেগম, আবু রায়হান, হক মিয়া, এমদাদুলসহ আরো অনেকেরই বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও তুমুল বৃষ্টিতে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কলাসহ বিভিন্ন ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বেগে বয়ে চলা বাতাসে উড়ে গেছে সদর ইউনিয়নের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাল।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পৌর শহরের দশাল এলাকার হক মিয়ার স্ত্রী দোলনা বেগম বলেন, ‘আমার একটি মাত্র টিনের ঘর। হঠাৎ করেই ঝড় চলে আসে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো ঘর ভেঙে গেছে।
পোলাপাইনগুলারে নিয়ে এই ঝড়ের মধ্যেই অন্য বাড়িতে গিয়ে উঠছি। স্বামী ঢাকায় কাজ করেন। ৪ সন্তান নিয়ে এই ঘরেই থাকতাম।’
একই এলাকার আবু রায়হান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড রোদ আজো রোদ থাকলেও হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের শুরুতেই প্রথমে আমার ঘরের বারান্দা উড়িয়ে নিয়ে যায় এরপর মুহূর্তেই ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঘরের ভিতরে থাকা সবাইরে নিয়ে অন্যস্থানে আশ্রয় নিতে পেরেছিলাম তাই কারো ক্ষতি হয় নাই।’
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মানির হোসাইন মানিক বলেন, ‘ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে গিয়ে আমি সবার খোঁজ নিচ্ছি।’
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে অনেক ঘরবাড়ি ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ‘ঝড়ে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।