অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে (বিসিজি) অতি-আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি, জাহাজ ও হেলিকপ্টার দিয়ে সাজিয়ে একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না। কোস্ট গার্ড বাহিনীতে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। ’
আজ ১০ মার্চ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে ‘২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং কোস্ট গার্ড দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোস্টগার্ডের অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ছয়টি স্টেশন ও আউটপোস্ট এবং তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট ও দ্রতুগতিসম্পন্ন বোট।
পাশাপাশি সমুদ্র নির্ভর পেশায় নিয়োজিত জনসাধারণের ও নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও ৪টি ওপিভি, ২টি মেরিটাইম ভার্সন হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি যা কোস্ট গার্ডকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর যোগাযোগ এবং অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি দুটি হেলিকপ্টার উইংসহ এভিয়েশন উইং গঠনের নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছি, যা সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডে ৪টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেলসহ বিভিন্ন আকারের ১৬টি জাহাজ ও ১৩৮টি বোট কোস্ট গার্ড বহরে সংযোজিত হয়েছে। গভীর সমুদ্রে কোস্ট গার্ড-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১’ এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য আজ কোস্ট গার্ডের নবসংযোজিত ভিস্যাটনেট সিস্টেম ও ঢাকা জোন, পূর্ব জোন এবং দক্ষিণ জোনের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি প্রতিস্থাপক জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ১৯৯৫ সালে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২৯ বছরে আজ একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের আনীত বিলের কারণেই ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ একটি আধা-সামরিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন জোনের জন্য ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন নতুন জলযান সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ড-এর স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন আকারের জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্ট গার্ড-এর জোনসমূহে কর্মরত সদস্যগণের বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস তৈরির মাধ্যমে কোস্ট গার্ড-এর জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তিনি নিজেই ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ নামে কমিশন করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর জন্য ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল, ফ্লোটিং ক্রেন, ট্যাগ বোট এবং বিভিন্ন ধরনের হাইস্পিড বোট তৈরি করা হয়েছে। এ বাহিনীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ ও সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্তি এ বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ বাহিনীর অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ইব্রাহিম হোসেন নামে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তার নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম হোসেন নেহালপুর গ্রামের শাকিব হোসেনের ছেলে।
দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম জানান, ইব্রাহিম সকালে তার বাড়ির উঠানে খেলা খেলছিল। এসময় উঠানে থাকা বিদ্যুৎচালিত পানির মোটরে হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় শিশু ইব্রাহিম। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষকদের দাবির মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ছুটি ১৬ দিন বাড়িয়ে ৭৬ দিন করা হয়েছে। সংশোধিত এ ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
গত কয়েক দিন আগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছিল। এর কয়েকদিন পর ৬০ দিন ছুটি রেখে প্রাথমিকের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির বৈষম্য থাকায় তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংশোধিত ছুটির তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
সংশোধিত তালিকায় দেখা যায়, পবিত্র রমজানসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ইস্টার সানডে, জুমাতুল বিদা, হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, বৈষবি, চৈত্র সংক্রান্তি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ দিন বন্ধ থাকবে। আগে যা ছিল ২১ দিন।
গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৩ থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিন, আগে যা ছিল ৭ দিন।
দুর্গাপূজা, ফাতেহা ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ৯ থেকে ১৭ অক্টোবর ৭ দিন, আগে যা ছিল ৫ দিন।
শীতকালীন অবকাশ ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন) উপলক্ষে ১২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ১১ দিন, আগে যা ছিল ১০ দিন।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া মোট ৭৬ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চাঁদ দেখার ওপর ধর্মীয় উৎসবের ছুটি নির্ভর করবে। জাতীয় দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় বিদ্যালয় পর্যায়ে পালন করতে হবে। প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত ছুটি থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদনক্রমে ভোগ করতে হবে।
বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সূচি অনুযায়ী, এক সিফটের বিদ্যালয় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা; দুই শিফটের বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা (প্রথম শিফট সকাল ৯টা থেকে সোয়া ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফট ১২টা থেকে সোয়া ৪টা)।
মূল্যায়নের সময়সূচি- প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন ৫ থেকে ১৪ মে; দ্বিতীয় প্রান্তিকের মূল্যায়ন ১৮ থেকে ২৮ আগস্ট এবং তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন ২ থেকে ১১ ডিসেম্বর।
চলারপথে রিপোট
প্রেমের টানে এবার জয়পুরহাটে এসেছেন আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৪১) নামে ফিলিপাইনের এক নারী। জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আব্দুল্লাহ হেল আমানের (৪২) সঙ্গে ফেসবুকে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার তিনি আমানের ভাড়া বাসায় আসেন। এরপর দুপুরে তারা বিয়ে করেন।
আব্দুল্লাহ হেল আমানের গ্রামের বাড়ি ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়িতে। তিনি ক্ষেতলাল পৌরসভার থানা বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সেখানে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। আনা মারিয়া ভেলাস্কো ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা শহরের বাসিন্দা। বিদেশি নববধূকে দেখতে এলাকার অনেকে আমানের বাড়িতে ভিড় করছেন।
আমানের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফিলিপাইনের নারী আনা মারিয়া ভেলাস্কোর সঙ্গে আমানের দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আনা মারিয়া ভেলাস্কো চাকরির সুবাদে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাস করেন। সেখান থেকে শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়ি যোগে রোববার সকালে আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার ভাড়া বাসায় পৌঁছান। পরে দুপুরে দুজনে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় ওই নারীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়।
ফিলিপাইনের নারী আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমানকে বিয়ের জন্য স্বেচ্ছায় এখানে এসেছি। আমরা বিয়ে করেছি। তার পরিবার আমাকে মেনে নিয়েছে।
আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে খ্রিস্টান ধর্মের। কিন্তু তিন বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সে সৌদি আরবে চাকরি করতো। সেখান থেকে ভালোবাসার টানে আমাকে বিয়েহের উদ্দেশ্যে এখানে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি।
ক্ষেতলাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আনা মারিয়া ভেলাস্কো ফিলিপাইনের নাগরিক। তিনি চাকরির সুবাদে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাস করেন। সেখান থেকে আব্দুল্লাহ হেল আমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের টানে তিনি এখানে স্বেচ্ছায় এসে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছে। অবৈধ ও প্রতারণামূলক নির্বাচনের আয়োজনের অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রাকিবুদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনার ও সচিবদের বিরুদ্ধে আসামি হয়েছে। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ তিন মেয়াদে থাকা সংসদ সদস্যদেরকেও আসামি করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি করেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, গত তিন নির্বাচনে বিরোধী দলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।
এসব নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ‘অবৈধভাবে’ সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় তাদেরকেও মামলার আসামি করা হয়েছে বলে জানান কফিল উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় চল্লিশা এলাকায় হাবিবুর রহমান নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চল্লিশা স্টেশনের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার চল্লিশা লাইট গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
এ ব্যাপারে জি আর পি পুলিশের এস আই সুরঞ্জন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তারা গৌরিপুর স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন। তিনি চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করে কথা বলেছেন। রেলে কাটা পড়লে যথাযথ আইন অনুযায়ী লিখিত দিয়ে নিতে হয়। পরে সে অনুযায়ী লাশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম জানান, বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কানে কম শুনতেন। তার লাশ যাতে ময়নাতদন্ত না করে সেজন্য আবেদন দেয়া হয়েছে।