চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ মার্চ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়ার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার মেয়র নায়ার কবীর, ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম শফিকুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
মহড়ায় দুর্যোগকালীন সময়ে করনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। মহড়া চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মহড়া বাস্তবিক ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে আসবে। মহড়ায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
টানা কয়েকদিন থেকে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বইছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষজন। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে রিক্সা চালকরা রিকশা চালাচ্ছেন। তাদের রিকশা চালাতে যেন কষ্ট একটু হলেও লাঘব হয় এজন্য গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করেছেন মানবিক ছাত্রনেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
শোভন বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়েছে। আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এ সময় সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ক্যাপ বিতরণের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তু বিল্লাহ, উবায়দুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন, জসিম আহমেদ রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, আজহারুল হাসান মিঠু সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ মামলার আসামিসহ ৩ ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
১০ মার্চ রবিবার ভোরে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত পিয়াস (২৩) জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার পাণ্ডু মিয়ার ছেলে, কাজীপাড়া এলাকার আবেদ মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি (২৪) ও দক্ষিন পৈরতলা এলাকার ছায়েদ মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (২৬)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, রবিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তল্লাসী করে রাম দা, ছুরি ও ব্যানার চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত, ছিনতাইকারী ও চোর। গ্রেফতার পিয়াসের বিরুদ্ধে ১০টি ও আল আমিনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা ইসলামী আন্দোলনের আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, মুসলে উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী নিজামুল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা সহ বিভিন্ন দাবিতে আগামীকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও পেশাজীবী শ্রেণীর প্রতিনিধিগণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাগেজ থেকে উদ্ধার মাথা ও দুই পা বিহীন তরুণীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি গত দুদিনেও। মরদেহটি উদ্ধারের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির পৃথক দুটি দল। মরদেহের পরিচয়, খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার এবং হত্যাকারীকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিট।
এদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মরদেহের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে ভেজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহ খণ্ডিত করতে প্রথমে দা ও পরে ধারালো মেশিন জাতীয় কিছু ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ একটি পা কাটা অংশের হাড় কিছুটা আঁকাবাঁকা আছে। তবে আরেকটি পা এবং গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা অংশের হাড় সমান, নিখুঁতভাবে কাটা।’
লাল একটি লাগেজে মাথা ও দুই পা বিহীন মরদেহটি উদ্ধারের পর থেকেই জেলাজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের আগে এক যুবককে লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই যুবককে কেউ চিনতে পারেননি।
গত শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত খণ্ডিত মরদেহটির পরিচয় মেলেনি। এর খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার করা যায়নি। লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা ছেলেটিকে খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের পুকুরপাড় থেকে একটি লাল লাগেজে মাথা-দুই পা বিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরায়ুমুখ ক্যান্সাররোধে সচেতনতামূলক সভা আজ ২৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় খ্রীষ্টিয়ান মিশন প্রাইমারী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খ্রীষ্টিয়ান মেডিকেল সেন্টার (মিশন হাসপাতালের) গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ কামরুন্নাহার।
সভায় বক্তব্য রাখেন খ্রীষ্টিয়ান মিশন প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নীলি নিরুপমা কর্মকার ও ইনসেপটা ফার্মাসিটিকেল কোম্পানী লিমিটেডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ আলতাফ হোসেন।
মতবিনিময় সভায় ডাঃ কামরুন্নাহার বলেন, আমাদের মানুষের জীবনে অনেক ধরণের ক্যান্সার হয়, যার কোন কারণ আমরা খুঁজে পাইনা। কিন্তু জরায়ু ক্যান্সার কেন হয়, আমরা সবাই জানি। জরায়ু ক্যান্সারে দেশে প্রতিদিন ২৮ জন নারী মারা যাচ্ছে। এটি নিরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। জরায়ু ক্যান্সার শতভাগ নিরাময়যোগ্য। সচেতনতাই পারে এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে। সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, এই ক্যান্সারের ভ্যাকসিন একসময় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। মাঝে এর আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন দেশেই এই টিকা উৎপাদন হচ্ছে। যার কারণে দামও অনেটাই হাতের নাগালে। তিনি সকলকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশপাশি ভ্যাকসিন গ্রহনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, ৯ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীরা দুই ডোজ এবং ০৯ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা তিন ডোজ টিকা নিলেই এই রোগ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হয়তো এটি এক সময় ইপিআই টিকার মত হয়ে যাবে।