চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মোঃ মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে শহরের পুরাতন কোর্ট রোড, জেলা রোড, কুমারশীল মোড়, কে দাস মোড়, ডাঃ ফরিদুল হুদা রোড (নিউ সিনেমা হল রোড)সহ বিভিন্ন ফুটপাতের অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে ফুটপাতে থাকা চায়ের দোকান, ফলের দোকান, অস্থায়ী পিঠার দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় ফুটপাতে মোটর সাইকেল পার্কিং করে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করার দায়ে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলকে জব্দ করা হয়। পরে পৌর সভার গাড়িতে করে এসব মোটর সাইকেল থানায় নেয়া হয়।
অভিযান সর্ম্পকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে শহরবাসির ভোগান্তি লাঘবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ফুটপাত দখল করে অবৈধ মোটর সাইকেল পার্কিং করার দায়ে ৪টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবেশে গাঁজা পাচারের সময় দুই নারীকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজালার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক লাবনী বেগম (৩৭) ঢাকার পল্লবী (১২/ডি কুর্মিটোলা ক্যাম্প) এলাকার মো. আবুল হোসেনের স্ত্রী ও একই এলাকার মো. হাসান মিয়ার স্ত্রী হেনা বেগম (২৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ডে বোরখা পরিহিত দুই মহিলা যাত্রীকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে বোরখার ভেতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে মিয়াজুল হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আজ ১৪ মে বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিমের বাড়ির গোষ্ঠীর মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। নিহত মিয়াজুল চান্দের গোষ্ঠীর তোতা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ছলিমের বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়িতে বসে গত সোমবার রাতে কয়েকজনকে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। এ সময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দিলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে সোমবার রাতেই দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভপক্ষের ১০/১২টি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।
এরই জেরে আজ বুধবার বিকেলে ফের সংঘর্ষ জড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। এ সময় টেটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ১০/১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুরো গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি গ্রামের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে চান্দের বাড়ি মিয়াজুল নামে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, গোষ্ঠীগত বিরোধ ও দ্বন্দ্বের জের ধরে চান্দের বাড়ির গোষ্ঠী ও ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষে আহত একজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকতেই পারে। যারা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে চায় তারা করতে পারে। কিন্তু যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে সেগুলোকে বন্ধ করার কথা উঠেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিলো দেশদ্রোহীতামূলক এবং তারা এই ভূমিকা থেকে কখনো সরে আসেনি। এখনো তাদের ভূমিকা দেশদ্রোহীতামূলক।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী একমাত্র দল যেদল থেকে সবচেয়ে বেশী যুদ্ধাপরাধীদের সাজা হয়েছে। তাই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা যথার্থ।
এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদফতরের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির। আলোচনা সভা শেষে সফল মৎস্য চাষীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে তিতাস নদীর কুরুলিয়া খালে ভিন্ন প্রজাতির মাছ অবমুক্ত করেন মন্ত্রী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি, টেলিভিশন জার্লালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের ষ্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির অকাল মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল ও সাধারন সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা জামীর মৃত্যুতে ৫ দিনের শোক কর্মসুচি ঘোষণা করেনএবং কালো ব্যাচ ধারন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনী এলাকায় সভা করার দায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী জামাল রানাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জামাল রানা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) এর প্রার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামাল রানা আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের মিতালী ফুটবল খেলার মাঠে নামেন।
এ সময় তার কর্মী- সমর্থকেরা জড়ো হয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং গলায় ফুলের মালা পড়ান। পরে তিনি কোড্ডা রেললাইন এলাকায় নিজের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন ও বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কোড্ডা এলাকায় ভূইয়া বাড়িতে এলাকার লোকজনের সাথে সভা করেন। সভায় এলাকায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জামাল রানা সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে দল বদল করে বিএনএম থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।
জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধির ৮ (গ) ধারায় যানবাহান ব্যবহার সংক্রান্ত বাঁধা নিষেধে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার কার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোন আকাশযান ব্যবহার করা যাইবে না তবে দলীয় প্রধানের যাতায়াতের জন্য উহা ব্যবহার করিতে পারিবে কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হইতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোন প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করিতে পারিবে না।
এ ব্যাপারে বিএনএমের প্রার্থী জামাল রানা বলেন, আমার ভাই আলমগীর গত মঙ্গলবার ইতালী থেকে দেশে আসে। তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে এলাকায় আসি। আমার ভাই হেলিকপ্টারে ভাড়া করেছে।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করায় ওই প্রার্থীকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই প্রার্থী আর আচরণবিধি লঙ্ঘণ করবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।