চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮ কেজি গাঁজা ও এক হাজার পিস ইয়াবাসহ এক দম্পতিকে আটক করেছেন গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। ১০ মার্চ রবিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পূর্ব কুট্টাপাড়া ব্যাগ ফ্যাক্টরির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় একটি মোটরসাইকেল।
আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বাবুল শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম শেখ (৩৩) ও তার স্ত্রী সাথী আক্তার (২৭)। তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে বসবাস করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাদক উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঢাকা অভিমুখে একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন এক ব্যক্তি। তার পেছনে এক নারী ব্যাগ নিয়ে বসা ছিলেন। তারা নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন। পরে তল্লাশিকালে তাদের ব্যাগে এবং শরীরে অভিনব কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৮ কেজি গাঁজা ও এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদেরকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক স্বামী-স্ত্রী জানান তারা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বিজয়নগর থেকে এসব মাদক এনে পাচার করছিলেন। এ ঘটনায় রাতে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে ধর্ষণ, অপহরণ, মাদক উদ্ধার, মানব পাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নরহত্যাসহ যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তার কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সে তার নানার বাড়ী নোয়াগাঁও (রাজু খার বাড়ী) হতে প্রতিদিন মাদ্র্রাসায় আসা যাওয়া করত। আসামী কৃষ্ণ কর্মকার নোয়াগাঁও গ্রামের জনৈক শাহিন এর ফার্মেসিতে কাজ করত। ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তার মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে আসামী কৃষ্ণ কর্মকার তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করতঃ প্রেমের প্রস্তাব দিত। ভিকটিম আসামী কৃষ্ণ কর্মকারের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বাড়িতে তার পিতাকে ঘটনা জানালে তার পিতা আসামী কৃষ্ণ কর্মকারকে সাবধান করে। তারপরেও আসামী কৃষ্ণ কর্মকার ভিকটিমের সাথে কথা বলে নানাভাবে প্রলোভন দেয় এবং আসামীর কথা না শুনলে সে ভিকটিমকে সমাজে কলঙ্কিত করার হুমকি দেয়। আসামী কৃষ্ণ কর্মকারের ভয়ে ভিকটিম ঘটনার আগের দিন নোয়াগাঁও হতে তার নিজ বাড়িতে চলে আসে। ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে গত ১৬ মার্চ ভোর অনুমান ৫টায় কৃষ্ণ কর্মকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ও প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ ফারুক মিয়া (৪০) বাদী হয়ে গত ৩০ মার্চ সরাইল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৭/৫৮, তারিখ-৩০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৭, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)। আলোচিত এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরণকারী কৃষ্ণ কর্মকারকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গত ৩১ মার্চ ৮টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট থানাধীন বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরণকারী কৃষ্ণ কর্মকার (২৬), পিতা- চিত্ত কর্মকার, সাং- ধিতকুরা (কর্মকার পাড়া), থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে, গ্রেফতারকৃত আসামী ও ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার মামলা নং-১৭/৫৮ তারিখ-৩০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৭, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডাকাতি করাকালে দূর্ধূষ তিন সড়ক ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো- সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের বাবলু, মাসুদ আহমেদ শিপন (২২) ও আনোয়ার হোসেন আনার (৩৭)।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত গভীররাতে এস আই নুরুন্নবী সংগীয় ফোর্স সড়কের ফায়ার সার্ভিসে সামনে অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ মাসুদ ও আনোয়ার নামের দুই ডাকাতকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
মাসুদ কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নাথপাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে। আনোয়ার একই ইউনিয়নের লস্কর পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি রামদা সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত আনোয়ারের কাছ থেকে সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে ইফাজ উদ্দিন আহমেদের ডাকাতি হওয়া ১২ শত টাকা ও একটি মানিব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুই ডাকাতের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে ডাকাত বাবলুকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরাইল ও পার্শ্ববর্তী থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। ডাকাত মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দাঙ্গা-ফ্যাসাদরোধে বিভিন্ন ধরনের ৯৯টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১২টি পল, ৮টি চল, ৪টি বর্শা, ৩৪টি বাঁশের কঞ্চি (মাথা সুচালো) ও ৪১টি লাঠি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, উপজেলায় মাঝে মধ্যে ছোট-খাটো ঝগড়া হয়। অনেক সময় সামান্য মারামারির ঘটনা দাঙ্গায় রূপ নেয়।
দাঙ্গা-ফ্যাসাদে কোন মানুষ যাতে হতাহত না হয়, উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি যাতে ভালো থাকে সেজন্য পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের ৯৯ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনস্বার্থে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় চার কেজি গাঁজাসহ মো. বিশাল ভূঁইয়া (২৩) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল ৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে সরাইল থানাধীন বিশ্বরোড মোড়ের পশ্চিম পাশে সাফকো সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক বিশাল ভূঁইয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আবুদাবাত গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশিস কুমার স্যানাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিশাল ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চার কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।