অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে একটি তিনতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ে নয় জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুলতানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি বহুতল পুরানো ভবন ধসে একজন শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
জেলাটির জরুরি কর্মকর্তা ডাঃ কলিমুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে এবং ১০ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে।
’ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ আশেপাশের বাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও তাদের তিন মেয়েসহ একই পরিবারের সাত সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভবনটি ধসে পরার পর জরুরি কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করেন। রেসকিউ ১১২২-এর আটটি গাড়ি এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
নয়টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ভবন ধসে পড়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানহীন উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
সাধারনত খরচ কমাতে নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলো উপেক্ষা করা হয় সেখানে। ২০২০ সালের জুনে দেশটির বৃহত্তম শহর করাচিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ধসে ২২ জন নিহত হয়েছিল। সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া, সামা টিভি
অনলাইন ডেস্ক :
স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অংশ। ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামে এই জনপদকে তখন ‘বোঝা’ মনে করতো তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী।
সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।
বাংলাদেশের এ অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে ‘লজ্জা’ পান বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সেদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ২৪ এপ্রিল বুধবার এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। খবর ডন অনলাইনের।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে। কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম…তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে)। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।
অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়েও কথা বলেন। এছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’র জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শেহবাজ।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ।
বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন শেহবাজ শরিফ।
অনলাইন ডেস্ক :
নিউ ইয়র্কের সার্জনরা জানিয়েছেন, বিশ্বে প্রথমবারের জন্য তারা একজন মানুষের সম্পূর্ণ চক্ষু প্রতিস্থাপন করেছেন। তবে অ্যারন জেমস (৪৬) নামের সেই ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত না।
সার্জনরা কয়েক বছর ধরে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করছেন। বিশেষজ্ঞরা এই অগ্রগতিকে লাখ লাখ মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন অঙ্গরাজ্য আরকানসাসে একজন উচ্চ ভোল্টেজ বিদ্যুতের লাইনকর্মী হিসেবে কাজ করতেন জেমস। তিনি একটি উচ্চ ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। ২০২১ সালে ভুলবশত সাত হাজার ২০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে তিনি তার মুখের অধিকাংশ অংশ হারিয়ে ফেলেন। ২১ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে তার মুখের অর্ধেক প্রতিস্থাপন করা হয়।
এই বছরের ২৭ মে জেমসের চক্ষু প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি তার মুখের আংশিক প্রতিস্থাপন করা হয়। বিরল এ অস্ত্রোপচারে ১৪০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার জড়িত ছিলেন। জটিল অস্ত্রোপচারটি করেছেন এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের সার্জনরা। তারা বৃহস্পতিবার বলেছেন, জেমস দ্বৈত প্রতিস্থাপনের পর সুস্থ হয়ে উঠছেন।
দান করা চোখটি লক্ষণীয়ভাবে সুস্থ দেখাচ্ছে। তার ডান চোখ এখনো কাজ করে।
দলের অন্যতম প্রধান সার্জন ডা. এডুয়ার্ডো রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘নিছক সত্য যে আমরা একটি মুখের সঙ্গে প্রথমবার সফলভাবে পুরো চক্ষু প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেছি। এটি একটি অসাধারণ কৃতিত্ব। অনেকের কাছে মনে হয়েছিল, এটি সম্ভব না। কিন্তু আমরা একটি বড় পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়েছি এবং দৃষ্টি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী অধ্যায়ের পথ তৈরি করেছি।’
ডা. রদ্রিগেজ এবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা দাবি করছি না যে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি। কিন্তু আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে আমরা এক ধাপ এগিয়েছি।’
চিকিৎসকরা বলেছেন, রেটিনায় সরাসরি রক্তপ্রবাহ আছে। চোখের এ অংশটি মস্তিষ্কে ছবি পাঠায়। জেমস তার নতুন চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা না থাকলেও তারা সম্ভাবনাকে উড়িয়েও দিচ্ছেন না। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
নাক ব্যবহার করে আপনি কি কোনো কিছু লিখেছেন? হয়তো আপনাদের কেউ কেউ চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু নাক দিয়ে কতটা দ্রুত কম্পিউটারে লিখতে পারেন? ভারতের এক ব্যক্তি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষর লিখে নিজের আগের রেকর্ডই ভেঙেছেন। তৃতীয়বারের মতো গড়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
বিনোদ কুমার চৌধুরী (৪৪) ২০২৩ সালে প্রথম নাক দিয়ে লিখে রেকর্ড গড়েন। ওই সময় তিনি ২৭ দশমিক ৮০ সেকেন্ডে ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখেছিলেন। পরে একই বছর তিনি ২৬ দশমিক ৭৩ সেকেন্ডে লিখে আগের রেকর্ড ভাঙেন। এবার তিনি ইংরেজি অক্ষর লিখতে সময় নিয়েছেন ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ড।
বিনোদ কুমারের রেকর্ড গড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিখেছে, ‘আপনি কি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখতে পারবেন? ভারতের বিনোদ কুমার চৌধুরী ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ডে এ কাজটি করেছেন।’
বিনোদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রেকর্ড গড়তে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টার অনুশীলন করতেন। নাক দিয়ে লিখতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তাঁর মাথা ঘুরে উঠত যাতে তিনি চোখে ‘তারা’ দেখতেন। প্রতিটি অক্ষর লেখার সময় মাঝখানে জায়গা রাখতে আরেকটি বাটনে চাপতে হয় তাঁকে।
বিনোদ কম্পিউটারশিল্পে কাজ করে থাকেন। লেখার এই গুণের জন্য তিনি ‘টাইপিং ম্যান অব ইন্ডিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।বর্তমানে বিনোদ কুমার কম্পিউটারের কি-বোর্ডে দ্রুততম সময়ে লেখার তিনটি রেকর্ডের মালিক। একটি হচ্ছে পেছনে এক হাত দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা, আরেকটি হচ্ছে দুই হাত পেছনে দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে নাক দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা।
বিনোদ কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে লেখা। এ কারণে আমি কম্পিউটারে বিভিন্ন কৌশলে লিখে রেকর্ড করার কথা চিন্তা করেছিলাম। এ কাজটি আমার আবেগ বা আসক্তির পাশাপাশি জীবিকার সঙ্গেও জড়িত।
বিনোদ কুমার আরো বলেন, নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও যে কাউকে তাঁর আবেগ–অনুভূতিকে ধরে রাখা উচিত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, বিনোদের সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে, তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করতেন আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতেন।
বিনোদ বলেছেন, তিনি সব সময় নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তাঁর স্বপ্ন হচ্ছে, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়া। শচীন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৬২ বার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া