চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রমজান মাস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মাসব্যাপী ভর্তুকিমূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে তেল, চিনি, ডাল, বুট ও পেঁয়াজসহ পণ্যসামগ্রী বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রধান ফটকের সামনে এই বিক্রয় কাজের উদ্বোধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রধান অতিথি হিসেবে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ. মাহবুব আলম, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন ও সাধারণ শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমান পেঁয়াজ ৮০টাকা কেজি, চিনি ১৩০টাকা, সয়াবিন তেল ১৬০ থেকে ১৬৫টাকা লিটার, ছানা বুট ১১৫ টাকা কেজি, খেসারী ডাল ১৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু ছাত্রলীগের উদ্যোগে পেঁয়াজ ৫০টাকা কেজি, চিনি ১০০টাকা, সয়াবিন তেল ১২০টাকা লিটার, ছানা বুট ৮০ টাকা, খেসারী ডাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন বলেন, বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ও ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে এসব পণ্যের ভর্তুুকির মূল্য পরিশোধ করব। পরে পরিচিতি ব্যক্তিদের সহায়তা নিব। আমরা মাসব্যাপী এই কর্মসূচী চালিয়ে যেতে চাই।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, রমজানের প্রথম দিন থেকে রমজানের পণ্যসামগ্রী বিক্রি শুরু করেছি। প্রথমদিনে আমরা পেঁয়াজ ৫০০ কেজি, তেল ৫০০ লিটার, বুট ৮০০ কেজি, ডাল ১০০০ কেজি ও চিনি ১০০০ কেজি এনেছি। মাসব্যাপী আমরা এই কর্মসূচী চালিয়ে যেতে চাই। মানুষের কাছ থেকে সাড়া মিলছে। ৪১০ টাকায় এক কেজি করে বুট, চিনি, ডাল, পেয়াজ ও এক লিটার তেল কিনতে পারছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে এসব বিক্রি করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।
নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস আর এম ওসমান গণির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোছাইন, জেলা শিক্ষক অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানুষিক বিকাশে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। ক্রীড়া প্রতিযোগীতা আয়োজনের মাধ্যমে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সাবেরা সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল সহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন ইভেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার আগামী ২১ আগস্ট সোমবার জেলা আওয়ামীলীগ আহুত “সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ” কে সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আয়োজিত এই সমাবেশকে সফল করার জন্য সদর উপজেলাধীন প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিলসহ জনসভায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, জায়েদুল হক, আবুল কালাম ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. শাহনুর ইসলাম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, অ্যাড. লোকমান হোসেন, রবিউল হোসেন রুবেল, শাহদাত হোসেন শোভন, আব্দুল মালেক চৌধুরী ও আশরাফ উদ্দিন খান আশা প্রমুখ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদেশী রিভলবার এবং ৩ রাউন্ড গুলিসহ আবদুল কাদির (৬৬) ও মোঃ কামাল উদ্দিন (৪২) নামে দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র্যাব-৯ এর সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের সদস্যরা শহরের কালীবাড়ি মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আবদুল কাদির হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রগুরামপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে ও কামাল উদ্দিন একই উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আবদুর নূরের ছেলে।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার সকালে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কালীবাড়ি মোড়ে ১টি মাইক্রোবাস আটক করে। পরে মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ১টি বিদেশী রিভলবার এবং ৩ রাউন্ড গুলিসহ দুই অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা উদ্ধারকৃত রিভলবারটির বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ও গ্রেফতারকৃত দুই অস্ত্রধারীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জেলা শহরের কাউতলী বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
অভিযানকালে তিনটি মুদি মাল ও একটি কাঁচাবাজারের দোকানিকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মুদি দোকানের ফ্রিজে ওষুধ সংরক্ষণ করায় বিসমিল্লাহ সুপার শপকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আকাশ ট্রেডার্সকে ১ হাজার, মেসার্স হীরাকে দেড় হাজার টাকা ও কাঁচা মালের আড়তে আবুল মালেক নামে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরটির সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।