চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০ কেজি গাঁজাসহ জান্নাত আক্তার (২৩) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার ভোরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জান্নাত আক্তার লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জান্নাতকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার ঘর তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গিয়াস উদ্দিন পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত জান্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরে করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, সম্মুখসারির যোদ্ধা, গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশের জনগণকে দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত নির্দেশনা মেনে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
নির্দেশনাগুলো হলো: ১. চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে (এমআরএনএ)। ২. তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে। ক. ৬০ বছর এবং এর বেশি বয়সী ব্যক্তি টিকা পাবেন। খ. দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন। গ. স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে। ঘ. গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মাকে টিকা দেওয়া হবে। ঙ. সম্মুখসারির যোদ্ধা (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী; অনুমোদিত বেসরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী; প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারী; বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা; সম্মুখ সারির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; সামরিক বাহিনী: বেসামরিক বিমান; রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কার্যালয়; সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী; নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি: সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী; সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিনিধি: মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি; জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়োনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের সম্মুখ সারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে ছাত্র- ছাত্রী)। দেশব্যাপী সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ে অবস্থিত সব স্থায়ী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে (সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০, ২৫০, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদি) চলমান বুথে চতুর্থ ডোজ টিকা প্রদান করতে হবে। ৪. প্রচারণার জন্য কেন্দ্রগুলো চতুর্থ ডোজ দেওয়া বুথের বাইরে দৃশ্যমান স্থানে সংযুক্ত ফরম্যাট অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ব্যানার তৈরি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ড্রাগন ফল চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন প্রবাস ফেরত এ. কে. এম মহসিন। তার এই সফলতা দেখে স্থানীয় অনেকেই ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ড্রাগন ফল চাষ করে তাঁর আর্থিক স্বচ্ছলতাও বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বিদ্যানগর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এ. কে. এম মহসিন দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে চাকুরি করে ২০১৮ সালে দেশে ফিরে আসেন।
পরে তিনি ২০২১ সালে বাড়ির পাশে তার পরিত্যাক্ত ৫ কানি (১৫০ শতাংশ) জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান করেন। প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি জমিতে ৬ হাজার ড্রাগন ফলের চারা রোপন করেন। প্রথম বছরেই তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেন।
এ. কে. এম মহসিন জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতেই তার বাগানে ১ হাজার ২০০ কেজি ড্রাগন ফল উৎপাদন হয়। স্থানীয় বাজারে এই ফলগুলো আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে বাগান থেকেই ২শত টাকা কেজি দরে ড্রাগন ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন এ বছরই বাগানে বিনিয়োগ করা টাকা তিনি তুলতে পারবেন। আগামী বছর থেকে তিনি ড্রাগন ফল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন। তিনি বলেন, তার সফলতা দেখে স্থানীয় অনেক তরুণই ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, আমরা ড্রাগন ফলের চাষী এ. কে. এম মহসিনকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা দিচ্ছি। ড্রাগন চাষ লাভজনক হওয়ায় ও মহসিনের সাফল্য দেখে এলাকার অনেক তরুনই বর্তমানে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ৭ জুলাই রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মহাসড়ক প্রসস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ এরইমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানো হচ্ছিল। এসময় পাশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারে ক্রেনটি স্পৃষ্ট হয়। এতে ক্রেনের চালক ও হেলপার মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০ হাজার ৭৫০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ চার পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় চিনি বহনকারী একটি কাভার্ড ভ্যান ও দুইটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
আজ ১৬ জুন শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি কাঠের পুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এই ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার রানীয়ারা গ্রামের মরহুম আবদুল মালেকের ছেলে মাসুম পারভেজ (৩২), কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর গ্রামের মরহুম জয়নাল আবেদীনের ছেলে টিপু সরকার (৩০) ও একই এলাকার মরহুম খোকন মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৫) এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার দয়াসুর গ্রামের মরহুম শাহজাহান সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার (২৫)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আনা চিনি পাচার হচ্ছে- গোপনে পাওয়া এমন খবরে কুটি কাঠের পুল এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান ও দুইটি পিকআপ ভ্যান আটক করে। পরে এসব গাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ২১৮ বস্তা ভর্তি চিনি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।