চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পিকআপ ভ্যানের চাপায় জয়নাল মিয়া (২৬) নামে এক সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার শশই নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল উপজেলার আনন্দ গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আরো এক যাত্রী আহত হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাসড়কের শশই নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে জয়নাল মিয়া নিহত হয় এবং আরেক জন আহত হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোল্লা সালাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ির উঠানে ফেলে পুত্রবধূ ও শাশুড়িকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আতকাপাড়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া (৪০) ও নান্নু মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আতকাপাড়ার আবদুল আলীর ছেলে নাসির মিয়া ইটভাটায় কাজ করার সুবাদে চট্টগ্রামে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই মাস আগে নিজের গ্রামে বাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
বাড়িতে নাসির মিয়া, তার স্ত্রী, স্কুল পড়–য়া মেয়ে এক ৬ মাস আগে বিয়ে হওয়া পুত্রবধূ থাকেন। নাসির মিয়ার বাড়ির সামনে একটি নালায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলো।
গত শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে নাসির মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া, মানিক এবং সবুজ নাসিরের বাড়িতে গিয়ে নাসিরের স্ত্রী শিউলি বেগম, তার পুত্রবধূ শারমিন (২০) কে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় নাসির মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী বাক্কু মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠছে।
উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পূর্বে রোগী দেখতেন ডাঃ সুব্রত সাহা নামের একজন ডাক্তার। কিন্তু উক্ত ডাক্তার গত এক মাস যাবত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে না আসলেও তাহার নামে নিয়মিত মাইকিং, হেনবিল বিতরণসহ মার্কেটিং করে যাচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তাদের এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিজয়নগর উপজেলানহ আশেপাশের এলাকা থেকে বহু রোগী চিকিৎসা গ্রহন করতে এসে ডাঃ সুব্রত সাহা মনে করে বেনামি ডাঃ তপন দেবনাথ নামের এক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করে যাচ্ছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম ১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সশরীরে উপস্থিত হন।
উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযুক্ত ডাক্তার এর কাগজপত্র ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সাথে কথা বলে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিস্তারিত অবগত করেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম এর খবর পেয়ে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ গিয়ে বিস্তারিত জেনে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৪ ও ৪৫ দ্বারায় হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অভিযুক্ত ডাঃ তপন দেবনাথ এর কাছ থেকে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে কখনো আর চেম্বার করবে না এবং এমন অনিয়মের সাথে কখনো জড়িত হবে না মর্মে লিখিত অঙ্গিকার নামা গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।
নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃংখলা বাহিনী ছিলো তৎপর। বিভিন্ন অভিযোগে ১০৭ মামলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯ শত টাকা জরিমানা ও ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা এবং গতকাল বুধবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া ও একই দিন বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার মৃত তোতা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার চর-কাছাপিয়া গ্রামের মোঃ হান্নান মিয়ার ছেলে নাঈম আহম্মেদ (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মোঃ ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ পিয়াস মিয়া (৩০)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার সামনে থেকে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে তার কোমরে ও পায়ে রাবার দিয়ে বিশেষ কায়দায় ফিটিং করা অবস্থায় ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে বুধবার বিকেলে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও নাঈম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
অপরদিকে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া গ্রাম থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক পাচারকারী পিয়াস মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ এর নির্দেশনায় চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই আবুল কালাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ আজ ৬ মে সকাল সাড়ে ১০ টায় ২৮ কেজি গাঁজা, ১টি সিএনজিসহ ১ জন গ্রেফতার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি হলো উপজেলার মিরাশানী গ্রামের আব্দুল মতিন ভূইয়ার ছেলে মোঃ বশির মিয়া (৩১)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার থেকে চম্পকনগর বাজার যাওয়ার পথে সন্দেহজনক সিএনজিতে তল্লাশী চালিয়ে ২৮ কেজি গাঁজা, ১টি সিএনজিসহ ১ জন গ্রেফতার করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২৮ কেজি গাঁজা, গাঁজা পাচারের কাজে ব্যবহারিত একটি সিএনজিসহ ১জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়।