চলারপথে রিপোর্ট :
নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর আয়োজনে আজ ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। র্যালিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে সমাপ্ত হয়। র্যালি শেষে তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বক্তারা আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ও নদী-প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সারাদেশে নদী দূষণ ও দখল মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদী ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৪.৮ কিলোমিটার টাউনখাল সহ সকল নদী ও খাল দখল-দূষণ মুক্ত করে সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ার আহ্বান জানান।
বর্ণাঢ্য এই র্যালি ও জনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন , ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরীর বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, এটিএন নিউজ পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান পীযূষ কান্তি আচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গণি সজিব, অঙ্কুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, মো.আশিকুল আলম সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর সদস্য খালেদা মুন্নী, খায়রুজ্জামান ইমরান, সুশান্ত পাল, সোহেল রানা ভূইয়া, শিপন কর্মকার, শিরিন আক্তার, শাহ মো. আলামিন, মো.শাহীন শাহ, আব্দুল হাকিম, মো. রয়েল, হিরো, এহসানুল হক, তুরকান শাহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নদীর প্রতি মানুষের করণীয় কী, নদী রক্ষায় দায়িত্ব, মানুষের দায়বদ্ধতা কতটুকু; এসব বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে নদীকৃত্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৯৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সাল থেকে দিবসটি বিশ্বব্যপী পালিত হয়ে আসছে নদী সুরক্ষায় করনীয় অর্থাৎ নদীকৃত্য দিবস হিসেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ মার্চ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়ার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার মেয়র নায়ার কবীর, ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম শফিকুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
মহড়ায় দুর্যোগকালীন সময়ে করনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। মহড়া চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মহড়া বাস্তবিক ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে আসবে। মহড়ায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চান্দপুর তমিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ গোলাম ফারুক।
অনুষ্ঠানে মাছিহাতা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নাদির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক হোসেন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ দ্বীন ইসলাম ভূইয়া, মাওলানা মো. ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলাম মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে। সবার সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে একটি মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দলটি সর্বদা সচেষ্ট। চলমান তীব্র শীতে অসহায় শীতার্তদের কথা চিন্তা করে জামায়াতে ইসলাম দেশব্যাপী শীতবস্ত বিতরণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায় ৬ শতাধিক অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মানবিক এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পরে অতিথিবৃন্দ ৬ শতাধিক অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে হানি সেতুকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে ধানমন্ডি থানা থেকে নিয়ে আসে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন আরো জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশের একটি দল রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার কাছে তাকে হস্তান্তর করে। তাদের বিরুদ্ধে দুটি নাশকতা মামলা ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ প্রহরায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান