অনলাইন ডেস্ক :
খাবারের জন্য অপেক্ষার সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫৫ জন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে জানানো হয়েছে, ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, আহতদের জন্য হাসপাতাল পেতে অনেক সময় লাগছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, তারা কুয়েত স্কয়ারে কোনো হামলা চালায়নি। ওই ঘটনার জন্য সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরই দায়ী করেছে দেশটি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেখানে ছড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি মরদেহ। রাস্তায় কাতরাচ্ছে আহত মানুষ। ইব্রাহিম আল-নাজার নামের এক ব্যক্তি জানান, আমরা সেখানে বসে ছিলাম। হঠাৎ তারা আমাদের ওপর বোমা ফেললো।
অনেক অনেক মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আমাদের শিশুদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে।
অনলাইন ডেস্ক :
থাইল্যান্ডে প্যারাসুট প্রশিক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের সময় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ছয় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন- তিনজন পাইলট, একজন প্রকৌশলী এবং দুজন মেকানিক। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, ব্যাংকক থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি উপকূলীয় রিসোর্ট এলাকা চা-আম জেলায় শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ছোট বিমানটিকে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হতে দেখা গেছে।
রয়্যাল থাই পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, পাঁচজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই মারা যান, ষষ্ঠজন পরে হাসপাতালে মারা যান। দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ে বিমানের ব্ল্যাক বক্স ডেটা রেকর্ডার পরীক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ। প্রাণ হারানো সাহসী অফিসারদের প্রতি গভীর সমবেদনাও প্রকাশ করেছে থাই পুলিশ।
অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ প্রধান কিট্রাট ফানফেট বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে বিমানটি বাড়ির দিকে যাচ্ছিল কিন্তু এর পাইলটরা প্রাণহানি এড়াতে কৌশলে এটিকে সমুদ্রের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, বিমানটি উপকূল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে পানির মধ্যে আছড়ে পড়েছিল। যখন অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য সমুদ্রের মধ্যে হেঁটে যাচ্ছে মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক:
বিভিন্ন অভিযোগ ও সমালোচনায় জর্জরিত টিউলিপ সিদ্দিককে এবার বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। মূলত বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী ব্যাপক চাপে রয়েছেন। এমনকি দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও ক্রমবর্ধমান চাপ রয়েছে টিউলিপের ওপর। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেছেন, “কিয়ার স্টারমারের টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।”তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।”ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, “এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার (সাবেক) সরকারের সাথে তার (টিউলিপের) যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস সম্প্রতি সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এছাড়া সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, “টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন। যদি তিনি তা না করেন তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।”
টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য কোনও ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেন, “আমি কোনও ভুল করিনি।” এমন অবস্থায় সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ লক্ষ্যে টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের শর্টলিস্টও করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস দিন দুয়েক আগে এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন। সংবাদমাধ্যমটি ওই প্রতিবেদনে আরও জানায়, যদিও প্রদানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন- তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রও টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে “সম্পূর্ণ অসত্য” বলে দাবি করেছেন, কিন্তু তারপরও টাইমসকে বলা হয়েছে— টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কে তার উত্তরসূরি হতে পারেন তা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তত অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিবেচনা করছেন। সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
একদিনেই দখলদার ইসরায়েল হামলা চালাল চার দেশে। আজ ৬ মে মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থাটির লাইভ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে অন্তত ৫৪ জনকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল একইদিনে ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ায়ও বিমান হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইয়েমেনের বন্দর নগরী হোদেইদায় অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে দু’জন নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এছাড়া লেবানন ও সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে গত রবিবার গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা। এই পরিকল্পনার মধ্যে গাজা পুরোপুরি দখল ও ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো বিষয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরইমধ্যে হাজার হাজার সংরক্ষিত সেনা ডেকে পাঠিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা আর হামাসকে পরাজিত করতে চাপ বাড়ানোকে তারা কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রবিবার সন্ধ্যায় গাজায় হামলা বাড়ানো নিয়ে বৈঠকে বসে। সেসব বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। সূত্র: আল-জাজিরা
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
যুক্তরাষ্ট্র এর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে ৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দ্বিতীয় বড় এই শহরের আশপাশে দাবানলে এরই মধ্যে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর পুড়ে গেছে। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে লাখের বেশি মানুষ। বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় দ্রুত দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি মেরন বলেন, ‘দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির সব বিভাগ মিলেও দাবানল সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট অগ্নিনির্বাপণকর্মী নেই।’
লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেডস। হলিউডের অনেক তারকা সেখানে বসবাস করেন। তীব্র গতির বাতাসের কারণে প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় আগুন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে।
দাবানলে ৮ জানুয়ারি বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল পর্যন্ত প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকার প্রায় ১৬ হাজার একর ভূমি পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পুড়ে গেছে প্রায় এক হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে নগরের উত্তরের আলতাদেনা এলাকার চারপাশে অন্য একটি দাবানলে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ একর জমি পুড়ে গেছে। সেখানে শহরতলির সড়কগুলোয়ও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন
নিউইয়র্কেও বাংলাদেশের ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা জানিয়েছেন, ৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, পরিস্থিতি এখনো দ্রুত বদলাচ্ছে। এই দাবানলের ওপর এখন পর্যন্ত আমাদের বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি সত্যি প্রার্থনা করছি যে আমাদের যেন আর শুনতে না হয়। আমার মনে হয় না এ ক্ষেত্রে এমন কিছু হতে চলেছে।’ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে একাধিক স্থান থেকে শুরু হয় ভয়াবহ এই দাবানল। সূত্র-রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় জাতিসংঘের ২৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, আমরা শোকে মর্মাহত। আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে গাজায় আমাদের ২৯ সহকর্মী নিহত হয়েছেন। এই সহকর্মীদের অর্ধেকই ছিলেন ইউএনআরডব্লিউএর শিক্ষক।
গত শনিবার এক পোস্টে তারা ১৭ কর্মীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল যা এখন বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়ালো।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘ সংস্থার স্কুলগুলোতে ১২ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএর প্রায় ৩৮টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
একটি পৃথক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় মজুদ জ্বালানি তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, জ্বালানি ছাড়া পানি থাকবে না, কোনো কার্যকরী হাসপাতাল ও বেকারি থাকবে না। জ্বালানি ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে অনেক বেসামরিক মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছাবে না। জ্বালানি ছাড়া কোনো মানবিক সহায়তা করা যাবে না।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টের একটি টার্মিনাল থেকে ছয়টি ট্রাক জ্বালানি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু তা গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দাদের দৈনন্দিন চাহিদার সিকি ভাগও নয়।