চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে সরকারি জলাশয় ভরাট করে নির্মিত মার্কেট উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৫ মার্চ শুক্রবার দুপুরে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর এলাকায় নবীনগর ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ঐ সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর এলাকায় ১ বিঘা (৩৩ শতক) সরকারি জলাশয় ভরাট করে অবৈধ ভাবে দখল করে দোকান নির্মাণ করে আসছিল একটি প্রভাবশালী মহল। শুক্রবার দুপুরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে নির্মিত ২টি মার্কেট ও ১টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধারকৃত সরকারি জায়গার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
তিনি আরো জানান, পাশাপাশি আশপাশের সরকারি জায়গায় আর কেউ যেন কোনো দোকান নির্মাণ না করে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করা হয়। সরকারি জমি উদ্ধারে এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় নবীনগর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। উপজেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও নবীনগর উপজেলা পরিষদ।
তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ও মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন উপজেলায় ৩৬৬ টি কেন্দ্রে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন।
একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটধিকার প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন ভোটার ৭৮টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত নবীনগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জন ভোটার ১৫৬ টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সদর উপজেলার ১৩২ টি কেন্দ্রের মালামাল দুপুর ১২ টার পর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে। ১৩২টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার বুধবার ভোরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৭৬৫ জন পুলিশ, ৫৫জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং তিনজন জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় গোলাম মহিউদ্দিন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার সকালে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের কুড়িনাল গ্রামের নজরুল ইসলামের পুকুরের দক্ষিণ পাড় থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গোলাম মহিউদ্দিন রসুলাবাদ ইউনিয়নের কালঘরা গ্রামের ইরফান আলীর ছেলে।
তবে প্রাথমিক সুরতহালের সময় নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানায় নবীনগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, গোলাম মহিউদ্দিন মানসিক রোগী ছিল। কয়েক বছর আগে তাকে মানসিক রোগীর চিকিৎসা করানো হয়েছিল।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের কুড়িনাল গ্রামের এক পুকুর থেকে গোলাম মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক সুরতহালে শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে লাশ প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যক্রম বহাল রাখার দাবিতে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ অক্টোবর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা পরিষদ রোডে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তারা স্মারক লিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আজ্জম, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আক্তারুজ্জামান, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকারুল হক, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুসা, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, বড়িকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাল মিয়া, বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বারগণ।
কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী বলেন, যদি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণ করা হয়, তাহলে বিগত সরকারের আমলের ১৬ বছরে যত সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে তাদের সবাইকে অপসারণ করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি একটাই আমাদেরকে অপসারণ না করে আমাদের মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রেখে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই।
বিশেষ প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গতকাল ১০ জুন সন্ধ্যায় স্থানীয় এনজিও হোপের চলতি অর্থবছরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ধারাবাহিক কার্যক্রম কে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবু কাওছার এর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন – হোপের নির্বাহী পরিচালক এ. কে. এম আসাদুজ্জামান কল্লোল।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- পরিচালক অর্থ নিয়াজুল হক, কর্মকর্তাগণ, সকল ব্র্রাঞ্চের ম্যানেজারগণ এবং মাঠকর্মীবৃন্দ। হোপ যদি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মদক্ষতার সহিত মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে পারে তাহলে প্রতিষ্ঠানের উন্নতির পাশাপাশি অত্র এলাকার সাধারণ মানুষেরও আত্মকর্ম সংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারবে। বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষা বৃত্তি, চিকিৎসা ব্যয়, আর্থিক অনুদান সহ সামাজিক সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে বলে সকলের মত প্রকাশ করেন, তখনই গতিশীল ভাবে হোপ এগিয়ে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকার উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে সাঈদ গ্রেফতারের খবরটি ২৩ মে শুক্রবার ফেসবুকে তার ছবিসহ ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে আবারও গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সাঈদকে ঢাকার উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় সেখানকার পুলিশই তাকে গ্রেফতার করেছে। নবীনগরে বিভিন্ন মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতার নাম রয়েছে, আবু সাঈদ তাদের অন্যতম। কিন্তু সাঈদসহ বেশিরভাগ নেতা আত্মগোপনে থাকায় নবীনগরের পুলিশ তাকে এতোদিন গ্রেফতার করতে পারেনি।