অনলাইন ডেস্ক :
চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানির বন্ধ হলে ৫০০ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার রাজধানীর মিরপুরে উজ্জ্বল গোশত বিতান পরিদর্শনকালে তিনি এই কথা বলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, চামড়ার দাম যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি এবং হাট থেকে গরু কিনে বাজারে আনা পর্যন্ত চাঁদাবাজি বন্ধ হলে, মাংসের দাম অনেক কমবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন অনেকে। অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের অন্য ব্যবসায়ীরাও এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।
এসময় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক আরও জানান, রোজায় কোনো ব্যবসায়ীর মাধ্যমে যেন ক্রেতারা প্রতারিত না হয়, সেজন্য সারাদেশে প্রতিদিন ৫০-এর বেশি টিম কাজ করছে। অভিযানের ফলে বাজারে শসা, লেবু ও বেগুনের দাম কমছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করায় ভাইদের ওপর প্রচণ্ড অভিমান জমে মুজিবুর রহমানের। সেই অভিমান থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এই বাসিন্দা। এরপর একে একে ১৬টি বছর জঙ্গলেই কাটিয়ে দিয়েছেন। সেখানে জরাজীর্ণ এক ডেরা তৈরি করে শিয়াল-সাপ-বিচ্ছুর সঙ্গে অর্ধাহার-অনাহারে কাটিয়েছেন বন্য জীবন।
মুজিবুর রহমানের স্বেচ্ছা নির্বাসনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এরপর মুজিবুর রহমান শুনিয়েছেন তার মানবেতর জীবনযাপনের গল্প।
উপজেলার ১০নং গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের মাশিকাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ার পাশের একটি জঙ্গলে মুজিবুর রহমানে দেখা মিলেছে। বিশাল জঙ্গলের ঝোপঝাড় পেরিয়ে মধ্যভাগে গিয়ে দেখা যায় পলিথিনের ছাউনির একটি ছোট ডেরায় বসে আছেন ৬০ বছর বয়সী মুজিবুর রহমান।
প্রশাসনের লোকজন আসার খবরে ডেরা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর জানিয়েছেন, সাজানো সংসার ধ্বংস হবার গল্প। তিনি জানান, সৎ ভাইরা পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করায় অভিমানে জঙ্গলেই ঠাঁই নিয়েছেন তিনি। জঙ্গলে থাকায় পাততে পারেননি সংসারও।
মুজিবুর রহমান আরও জানান, তার বাবা লাল মিয়ার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় সংসারের একমাত্র সন্তান তিনি। বাবার প্রথম সংসারে ফরিদুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম নামে তার দুই ভাই রয়েছে। বাবা লাল মিয়া রেলওয়েতে চাকরি করতেন। বড় ভাই ফরিদুল আলম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করতেন।
ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি কাঁচপুর মালেক জুট মিলে চাকরি করে সৎ ভাই জহিরুল ইসলামকে বিএ পাশ করান। সেই জহিরুল ইসলামই তার পৈত্রিক সম্পত্তির ১০৫ শতাংশ জমির ৮৫ শতাংশ লিখে নেয়। এরপর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ভাইয়ের ওপর রাগে অভিমানে ২০০৭ সাল থেকে জঙ্গলে ডেরা বানিয়ে সেখানে ঠাঁই নেন তিনি।
মুজিবুর রহমান জানান, বিয়ে করে বউ রাখার ঘর নেই, তাই বিয়েটাও করতে পারেনি। অর্ধাহারে, অনাহারে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে, আর শেয়ালের হাঁকডাকের মধ্যেই খুপড়ির মধ্যে পড়ে থাকতেন তিনি।
তিনি বলেন, কখনও ভাত আর আলু সিদ্ধ করে লবণ-মরিচ দিয়ে, কখনও শুকনো খাবার খেয়ে থেকেছি। শিয়াল-সাপ-বিচ্ছু কখনও আমার ক্ষতি করেনি। ক্ষতি যা করার মানুষ করেছে।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য মুজিবুর রহমানের ভাইদের পাওয়া যায়নি। তবে মুজিবুরের ভাই ফরিদুল আলমের ছেলে আল-আমিন বলেন, আমার কাকা খুব অভিমানী। আমার দাদার জায়গা জমি এখনও ভাগ হয়নি। তবে জহিরুল ইসলাম চাচা কিছু জমি তার নিজের নামে লিখে নিয়েছে। মুজিবুর চাচার পাওনা বুঝিয়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, মজিবুর রহমানকে তার পৈত্রিক জমির কাগজপত্র নিয়ে এসিল্যান্ডের সঙ্গে দেখা করার জন্য বলা হয়েছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে তার পাওনা জমি তাকে উদ্ধার করে দেওয়া হবে। অন্যথায় তার আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ তার চোখের চিকিৎসা করাতে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের অভিযানে আজ ২৭ আগস্ট রবিবার ১১ জন দালাল ও আউটসোর্সিং কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জরুরি বিভাগ ও বহিঃবিভাগ থেকে তাদের আটক করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেসরকারি সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারি অনুমতি ছাড়াই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে রোগীর রক্ত সংগ্রহ করেছেন। তাদেরকে ডায়াগনস্টিক রিপোর্টের জন্য হাসপাতাল থেকেই ফোন করেছিলেন কমিশনপ্রাপ্ত ওয়ার্ড বয়। এর বাইরে বেশ কয়েকজন আউটসোর্সিং কর্মচারি রয়েছেন যাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও কোম্পানী থেকে প্রাপ্ত পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে কমিশনের বিনিময়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম দালাল চক্রের দুই জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ দিনের কারাদণ্ড এবং বাকি নয় জনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
১৫ দিনের জেলা ও এক হাজার টাকা জারিমানার দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জ্যোতির্ময় শীল (২৮) ও লিটন মন্ডল (৩২)। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্ত নয়জন হচ্ছেন- শিফাজুর রহমান, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন, ফারুক হোসেন, ওসমান শেখ, রিয়া বেগম, আরাফাত আকুঞ্জি, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও গোলম রাব্বারনী।
র্যাব-৬’র কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো দালাল মুক্ত করতে চাই। এর জন্য আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে পারে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। একই সঙ্গে আগামী বছর এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে আমরা সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে আয়োজন করতাম। আমরা আগের সেই সূচিতে ফিরে যেতে চাই। এসএসসি পরীক্ষা দ্রুত শেষ করতে পারলে এইচএসসি পরীক্ষাও আগের সূচিতে আয়োজন করা যাবে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে আয়োজন করা হতো। করোনার কারণে পাবলিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবো।
আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা কঠিন হওয়ায় সংক্ষিপ্ত অর্থাৎ ২০২৩ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বার কাউন্সিলের বেনেভোলেন্ট ফান্ডে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ফান্ড থেকে ৩০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আইনজীবী মহাসমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের কল্যাণ ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।
আইনজীবী মহাসমাবেশে সভাপতিত্বে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সারাদেশ থেকে আগত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসারী আইনজীবীরা এই মহাসমাবেশে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ও গণআন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে শেখ হাসিনা আগে যতো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা কটূক্তি করেছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা, যা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রসিকিউশন বলছে, যে সব হেইট স্পিচ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা তা বন্ধেই এ আবেদন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ দেড়শোর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। গ্রেফতার আছেন সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ২৫ জন। সূত্র : যুগান্তর