অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৫৮ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার ম্যাচের শুরুতে লঙ্কানদের আড়াইশর আগে আটকে রেখে জয়ের পথটা সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ তামিমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা ব্যর্থ হলে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। শঙ্কা জেগেছিল জয় নিয়েও। সেই শঙ্কা উড়ে গেছে রিশাদ হোসেনের ঝড়ে। তার ক্যামিওতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০১ রান করেন লিয়ানাগে। বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।
জবাবে খেলতে নেমে ৪০ ওভার ২ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন তানজিদ তামিম। তাছাড়া ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রান করেছেন রিশাদ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
অনলাইন ডেস্ক :
পার্থ টেস্টের ব্যর্থতা ভুলে অ্যাডিলেইডে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা অসুবিধা হলো না অস্ট্রেলিয়ার। ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা। ১৯ রানের লক্ষ্য পেরোতে কেবল ২০ বল লাগে তাদের। এর আগে প্যাট কামিন্সের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
মাত্র তিনদিনেই শেষ হলো দিবারাত্রির এই টেস্ট, যেখানে দুই দল খেলেছে মাত্র ১০৩১ বল। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি টেস্টে এটি সর্বনিম্ন।
শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই মূলত ভারতের হাত থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ম্যাচটি। ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা দিন শেষ করে। আজ ৮ ডিসেম্বর তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে ১৭৫ রানে অলআউট হয় রোহিত শর্মার দল। কিন্তু প্রথম ইনিংসে অজিরা ১৫৭ রানের লিড নেওয়ায় তাদের পুঁজিটা দাঁড়ায় মাত্র ১৮ রানের।
মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের যে বেগ পাওয়ার কথা নয়, তারা খেলেছেন কেবল ২০ বল। নাথান ম্যাকসুইনি ১০ ও উসমান খাজা ৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল প্যাট কামিন্সের দল।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের একটি ম্যাচ খেলেছে ঢাকা পর্বে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে জয়ের সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পারেননি জাকের আলীরা। সিলেটে এবার নাহিদ রানা-আকিফ জাভেদদের ওই রংপুরের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করেছে সিলেট। ফিফটি করেছেন দলটির স্থানীয় ব্যাটার রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। টস হেরে সিলেট ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ৪৭ রান পায়। জর্জ মানসে ১২ বলে ১৮ করে ফিরে যান। এরপর রনি ও জাকির ৪১ রান যোগ করেন।
রনি তালুকদার ফিরে যান ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। জাতীয় দলে দুর্দান্ত কামব্যাক করে আবার বাইরে চলে যাওয়া ডানহাতি এই ওপেনার সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার শট খেলেন। জাকির ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। তিনি চারটি ছক্কা হাঁকান। ইনিংসে ছিল না কোন চারের শট।
শেষটায় যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার অ্যারন জোনস ১৯ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কার সঙ্গে একটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। অপেক্ষাকৃত সিলেটের ছোট বাউন্ডারিতে ৫ বলে তিনটি ছয়ের শটে ২০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুণ খেলা জাকের আলী।
রংপুর রাইডার্সের নাহিদ রানা ও পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার আকিফরা এদিন খরুচে ছিলেন। নাহিদ ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আকিফ ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শেখ মাহেদী ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে দখল করেন ১ উইকেট।
অনলাইন ডেস্ক :
রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই মানুষের অপেক্ষা। সময়ের সঙ্গে দুপুর গড়াতে সেই অপেক্ষা রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয়। হাজার হাজার মানুষ বরণ করে নেয় প্রিয় দল রংপুর রাইডার্সকে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে আসেন দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানা, অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, স্টিভেন টেইলর, খুশদিল শাহ, সাইফ হাসান। এছাড়াও আসেন হেড কোচ মিকি আর্থার, কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল, টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিমসহ টিম ম্যানেজমেন্ট।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) শিরোপা জেতা দলটি শুরুতেই জার্সি উপহার দেয় হাজারো ভক্তদের মাঝে। রংপুরবাসীও সাদরে গ্রহণ করে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের। মাঠে প্রবেশের পর মঞ্চে আসেন রাইডার্সরা। একে একে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন সব ক্রিকেটার ও কোচ।
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। দোয়া করবেন যেন বিপিএল ট্রফিটা নিয়ে আসতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ।’
টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম জানান, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশের ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে। রংপুর রাইডার্স এই মাঠে এসে বিপিএলের অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে সুযোগ থাকলে। আমরা ট্রফি নিয়ে আবার রংপুরে আসব।’
হেড কোচ মিকি আর্থার জানান, ‘আসসালামু আলাইকুম। যদিও আমি অনেক বেশি বাংলা জানি না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি অবাক।’
এসময় দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিপিএল ট্রফিও। মাঠে ছিল বিপিএল ২০২৫ এর মাসকটা ‘ডানা ৩৬’। এছাড়া রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ কনসার্ট। চলতি বিপিএলে শুরুর ৮ ম্যাচের সবকটায় জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ এক নাম্বারে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
অনলাইন ডেস্ক :
রাঙামাটি রিজিয়ন টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে ভোলকান ক্লাব বিজয়ী হয়েছে। রাঙামাটি রিজিয়নের পৃষ্টপোষকতা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় মারি স্টেডিয়ামে আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ২টায় এ টুর্ণামেন্টে বিজয়ীদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমীন, রাঙামাটি সদর সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্ণেল এরশাদুল হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের লে. কর্ণেল মো. মাহাতাব, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ মামুন ও রাঙামাটি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি রিজিয়ন টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টকে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত করে মোট- ২০ দল অংশগ্রহণ করেন। এরই মধ্যে ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভোলকান ক্লাব ও আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ। অবশেষে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ভোলকান ক্লাব। এ সময় চ্যাম্পিয়নদের ট্রফির পাশাপাশি নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। একই সাথে রানার আপদের দেওয়া হয় ট্রফিসহ নগদ ৪০ হাজার টাকা।
এছাড়া সেরা বোলারকে ৫ হাজার, সেরা ব্যাটসম্যানকে ৫ হাজার ও ম্যান অব দ্যা সিরিজকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।