চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে ৫ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) এলাকার একটি বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে ৪ নারী ও ১ পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার খলাপাড়া গ্রামের আমির আলীর ছেলে মোঃ আবদুর রউফ, সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী, বিল্লাল মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া, সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়াইন গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে জাকিয়া, ভোলা জেলার ওয়াজপুর গ্রামের রুবেল মিয়ার স্ত্রী তামান্না আক্তার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের লোকনাথ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বহুতল ভবনের ৫ তলায় অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ৪ নারী ও ১ পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।
নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃংখলা বাহিনী ছিলো তৎপর। বিভিন্ন অভিযোগে ১০৭ মামলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯ শত টাকা জরিমানা ও ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল এবং জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জ্বালানি খাতের নামকড়া সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বারবার পেছানো হচ্ছে। দীর্ঘ ১১ বছর পেরুলেও আলোচিত এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি। এর দায় রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়। সাগর-রুনিসহ দেশে সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এমপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের আনিসুল হক তৃতীয়বারের মতো (আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জেলায় দুই জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ দুই মন্ত্রীর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। এবার দু’জন মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, দুই মন্ত্রী পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আশা করি আমাদের জেলা তাদের হাত ধরে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যে ফারাক ছিল তা এবার পূরণ হবে বলে আশা করি।
সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে, নদী-প্রকৃতি সুরক্ষা করেই যেন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২৬ মে রবিবার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মছিহাতা ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিন।
বক্তব্য রাখেন মো: আলম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিহাইর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাঠে ২৩ ডিসেম্বর সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৬ টিমের মাসব্যাপী প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আজ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেসার্স মোক্তার ব্রিকস লিমিটেড, মেসার্স মুক্তার বিল্টার্স লিমিটেড, মেসার্স মুক্তার ওয়েল মিল এন্ড স্টক হাউস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ মোক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,খেলা ধুলার মাধ্যমে যুবকরা বিকশিত হয়।খেলা ধুলার মাধ্যমে যুবকরা মাদকের করাল গ্রাস থেকে বিরত থাকবে আর এই যুবকরাই একদিন দেশের সেরা খেলোয়াড় হিসবে খ্যাতি লাভ করবে।তারা দেশর বিভিন্ন জায়গায় খেলে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।এই ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছি, যাতে উঠতি বয়সের যুবকরা বিপদগামী না হয় বিভিন্ন অপকর্মের দিকে না ঝুকতে পারে।উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে শেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন হান্নান,ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল আলম, নাটাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগীতিক সম্পাদক মোঃ শাহানুর মিয়া,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আবু হানিফ,জেলা তাতী দলের সাধারন সম্পাদক হাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।বাংলা টাইগার একাদশ ও মিজান একাদশ ফাইনাল খেলায় ।বাংলা টাইগার একাদশ জয়ী লাভ করে প্রথম পুরস্কার গ্রহন করেন।উক্ত খেলার আয়োজনে ছিলেন, আজহার, সোহেল, হানিফ, সুমন, সালাউদ্দিন, মিজান, মনির, নজরুল, রাজিব, অনিক, রাকিব হাসান প্রমূখ।