অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সারাবিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটি খুবই দুঃখজনক।
আজ ২৪ মার্চ রবিবার গণভবনে ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নজরুল ইসলাম বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি এক ধরনের ভন্ডামি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।
শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিশরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যার ঘটনায় সঠিকভাবে দোষী নির্ণয়ে তদন্তের জন্য প্রয়োজনে ৫০ বছর সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
একটি ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের কথা বলছেন। কিন্তু সাগর-রুনির হত্যার বিচার কেন হচ্ছে না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন, সাগর-রুনিকে নিয়ে কথা বলবেন, আমি বুঝলাম। কিন্তু এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়ানো কি ঠিক?’
তিনি বলেন, ‘তাদের তদন্তে যতদিন সময় লাগে সঠিকভাবে দোষী নির্ণয় করতে তাদেরকে ততটুকু সময় দিতে হবে, সেটা যদি ৫০ বছর হয়, ৫০ বছর দিতে হবে।’
তাহলে কি আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করবো এই রায়ের জন্য- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ম নয়, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর বিচার তড়িৎ হচ্ছে। যেখানে অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে না, তদন্ত শেষ করতে পারছেন না, অবশ্যই তাদেরকে সময় দিতে হবে।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে প্রায় এক যুগ হয়ে গেলেও এখনও এ মামলার বিচারই শুরু করা যায়নি। যদিও এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলন করেছেন তাদের সহকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের পার্বতীপুর ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দাদি-নাতনির। আজ ১৮ আগস্ট শনিবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেলওয়ে রুটে পার্বতীপুরের পুরাতন বাজার তিলাই নদীর রেল সেতুতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন-চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের রানীবন্দর মহিলা কলেজ পাড়ার আব্দুল মজিদ ওরফে বাবুর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০) ও নাতনী মো. সাপিয়ার রহমানের মেয়ে সাথী (৭)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দাদি মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে নিয়ে পার্বতীপুর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নামাপাড়ায় মেয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। সকালে মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন। এসময় চারজন তিলাই নদীর রেল সেতু পার হওয়ার সময় দুইজন নদীতে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও দাদি ও নাতনি দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির ধাক্কায় মারা যায়।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নুরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে ডুবে রিফাত হোসেন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বন্ধুদের সাথে মহানন্দা নদীর আনসারের ঘাটে গোসল করতে গিয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় রিফাত। পরে বিকেল তিনটার দিকে রাজশাহীর একটি ডুবুরি দল এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
রিফাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ হরিমোহন স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ও শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়া পাখিয়া ইউনিয়নের গোলাপের হাট এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। রিফাতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে গিয়ে নদীতে স্রোতের কারনে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে রাজশাহী থেকে ১১ সদস্যের একটি ডুবুরি দল নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরি জোবায়ের আহমেদ জানান, কারও অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!
চলারপথে ডেস্ক :
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আপনাদের শক্তি দিয়ে আমি দেখিয়েছি, যতদিন থাকব আমার জীবন এবং আমার বাড়িঘর সব আপনাদের। আমার মালিকানা কিছু লাগবে না। সবকিছুর মালিক আপনারা। যেকোন সময় যেকোনো মুহুর্তে আমার এবং আমার মা’র ঘরের দরজা খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা। সে হিসেবে আপনারাই আমার সবচেয়ে আপনজন।
শহরের মালিক যে জনগণ এটা আপনাদের ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। নির্বাচনে আপনাদের জয় হয়েছে, আর যারা অপরাধী তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সে হিসেবে তাদের আর কিছু বলার নেই। কেউ আঘাত করলে তাকে পাল্টা আঘাত করতে হয় না।
২৬ মে শুক্রবার দুপুরে মহানগরের ছয়দানা এলাকার তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। এসময় উৎসুক জনতা ও নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার মা মানে আপনাদের মা। আমার বাড়িঘর আপনাদের সবার জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা আসবেন। আমার মা এবং আমি মিলে আপনাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। সবার জন্য এ শহর। আমরা কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।’ শহরের মালিক যে জনগণ এটা আপনাদের ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। নির্বাচনে আপনাদের জয় হয়েছে, আর যারা অপরাধী তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সে হিসেবে তাদের আর কিছু বলার নেই। কেউ আঘাত করলে তাকে পাল্টা আঘাত করতে হয় না।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহরের মালিক যে জনগণ এটা আপনাদের ভোটের বিজয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী থেকে শুরু করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, সবার পারিবারিক একটা মর্যাদা আছে। সবাই যেন সবাইকে সহযোগিতা করে। এ শহরের মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবে। আপনারা (কর্মী-সমর্থক) দুঃসময়ে আমার পাশে ছিলেন। আল্লাহর পরে এ দুঃসময়ে আপনারা আমার এবং আমার মা জায়েদা খাতুনের পাশে ছিলেন। আমি এবং আমার মায়ের কাজ দিয়ে এই শহরকে আপনাদের সহযোগিতায় চালাব।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন। উনি আমাদের অভিভাবক, উনাকে সহযোগিতা করব। আমাদের নেতাকর্মীদের যারা হয়রানি করছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ করতে হবে। কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা যাবে না। কারণ যারা শহরের মেয়র বানাতে পারে, তারা এই সমাজে সবকিছু প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। পেশিশক্তি দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। ওয়ার্ড, থানা ও মহানগরের সবাইকে নিয়েই পঞ্চায়েত সিস্টেম করে শাসন ব্যবস্থা এবং সিটির কাজগুলো করা হবে।
এরআগে শুক্রবার সকালে সদ্য বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুন এবং তার ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে শুভেচ্ছা জানাতে ছয়দানা এলাকার বাসায় নগরবাসী ও কর্মী-সমর্থকরা ভিড় জমায়। সকাল থেকেই শত শত এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল এবং ফুল ও মিষ্টি নিয়ে তাদের বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা থেমে থেমে মিছিল করতে থাকে, এক পর্যায়ে তাদের মিছিলের শব্দ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম বাসা থেকে নিচে নেমে আসেন এবং তাদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। পরে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী এবং সাাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
তিনি তাদের বলেন, আমি আপনাদের ঋণ শোধ করতে পারবো না। আজ আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে আমার বাসায় এসেছেন। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি শনিবার কিংবা রোববার আমি আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানাবো।