চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ২৫ মার্চ, ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে । এ উপলক্ষে আজ ২৫ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বআলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা, সরাইল থানা তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, পানিরশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আমরা জয়লাভ করি। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস চর্চায় উৎসাহিত করতে হবে।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার নৃশংসতা ছিলো ভয়াবহ। অচিরেই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ দিবস স্বীকৃতি লাভ করবে এবং গণহত্যার বিচার করা সম্ভব হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বধ্যভূমি প্রাঙ্গনে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্বে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা আয়োজন করা হবে। সন্ধায় ৭ টায় মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। ও রাত দশটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এক মিনিটের জন্যে প্রতিকী ব্ল্যাক আউট করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৮১৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৮৩। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৮ ভোট। আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে, পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন। ভোট গণনা শেষে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন একটি সূত্র এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮ কেজি গাঁজাসহ মোঃ মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম (৩৮) ও মোঃ হাসান মিয়া (৩৪) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের খন্দকার মোঃ শফিকুর রহমানের ছেলে এবং হাসান মিয়া একই গ্রামের তালিব হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপে জাল ভোট দেয়া ও ভোটারদের প্ররোচিত করার দায়ে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এবং উপজেলা সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করে কারাদন্ড দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এবং নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম পৃথক ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কারাদন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের মোড়াহাটির রজব আলীর ছেলে শাকির মিয়া (৩৯) একই গ্রামের সাচ্চু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৮), ইয়াকুব আলীর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (২৪) এবং উপজেলা সদরের রুসমত আলীর ছেলে তামিম মিয়া (২৬)।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, বুধবার দুপুরে কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবৈধ ভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় শাকির মিয়াকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
শাকির ভোট কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। একই কেন্দ্রে অপর পুলিং এজেন্ট মোঃ হৃদয় মিয়াকে ভোটারদের ভোট প্রদানের জন্য প্ররোচিত করার সময় আটক করা হয় এবং একই কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটারদের ভোট দেয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় মোঃ রাকিব হোসেনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শাকির মিয়াকে ১৫ দিন, হৃদয় মিয়াকে ১০ দিন ও রাকিব হোসেনকে ৭ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অপর দিকে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, বুধবার দুপুরে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার সময় তামিম মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
তামিম মিয়া আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির জাল ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্র আটক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।