চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ নাসির (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে সরাইল ২৫-বিজিবি ব্যাটালিয়নের লক্ষীপুর বিওপির সদস্যরা।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধোরানাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। আটককৃত মো. নাসিরকে বিজয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিজিবি সদস্যরা মো. নাসিরকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করে। তবে এসময় অপর দুই মাদক কারবারি টিটু ও দুলাল পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের তিনজনের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। নাসিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক টিটু ও দুলালকে ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর ও বিজয়নগর এই তিন উপজেলার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। জয়ের আশায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থী নিজে এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচার করছেন তারা। এদিকে ভোটারদের মতে, সৎ যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন, যাকে সুখে দুখে পাশে পাওয়া যাবে, তাকেই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চান। তবে জয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই আশাবাদী। আর তাই সেই আশায় প্রার্থীরা বিরামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থী, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে আুৎসবের আমেজ। প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা সালাম জানাচ্ছেন ভোটারদেরকে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদসর্যা (সরাইল ব্যাটালিয়ন) আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমান এই ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করে। এসময় শাড়ি ও থ্রিপিস বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ট্রাকের ওপরে পাথর দিয়ে ড্রাম ও বস্তায় ভরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে এসব শাড়ি-থ্রিপিস জব্দ করা হয়। প্রায় ছয় কিলোমিটার ধাওয়া করে ট্রাকটি আটকের পর এতে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি-থ্রিপিস পাওয়া যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাত থেকে বিজিবি সদস্যরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। ভোর রাতে বিজয়নগর এলাকায় পন্যবাহী একটি ট্রাক বিজিবির নির্দেশনা অমান্য করে দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির টহল দল চান্দুরা এলাকা থেকে ৬ কিলোমিটার ভেতরে ধাওয়া করে ট্রাকটিকে আটক করে। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে ট্রাক তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় পাথরের স্তরে লুকানো আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী- থ্রিপিস উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা চোরাইপথে এসব শাড়ী রাজধারী ঢাকায় পাচার করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবু আহমদের ছেলে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সকালে ইসলামপুর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরগামী দিগন্ত লোকাল বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালক মুছা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে স্থানীয় সন্তোষ দাসের টিনশেডের মার্কেটে কুরিয়ার সার্ভিসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে আশপাশ দোকান ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে মুদি মাল, কনফেকশনারী, বিকাশ, কম্পিউটার, ওষুদের ফার্মেসী, কাঠের ফার্নিচার, কুরিয়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান।
বিজয়নগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোশারফ হোসেন নিয়াজী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনারস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের উৎপত্তি কিসে থেকে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দেখে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ জানান, মির্জাপুর মোড়ে আগুনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনয়ন করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুক্তিযোদ্ধার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই নামধারী সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী গ্রামের ভূইয়া বাড়ির ফজলে এলাহী ওরফে উজ্জ্বল ভূইয়া (৫০) ও একই উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের ইয়ানুর রহমান (৩৩)। উজ্জ্বল দৈনিক প্রথম বুলেটিং এর প্রতিনিধি। উজ্জ্বলের সহযোগী হলেন ইয়ানুর। উজ্জ্বলের হাতে দৈনিক প্রথম বুলেটিং এবং নিউজ টোয়েন্টিফোর লাইভের লগো মাইক্রোফোন ছিল।
এ ঘটনায় জারুইলতলা গ্রামের বাসিন্দা ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ জহিরুলের বাবা আবু জামাল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রামে জহিরুলের বাড়িতে যান নামধারী সাংবাদিক উজ্জ্বল ও তার সহযোগী ইয়ানুর। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালকে বাড়িতে না পেয়ে তারা ফিরে যান। পরে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই নামধারী সাংবাদিকের সাথে মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের কথা হয়। এক পর্যায়ে তারা আবু জামালের বাড়ি যান। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আবু জামাল। এক পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামাল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন নথিপত্র দেখালে সেগুলোর ছবি মোবাইল ফোনে তুলেন দুই কথিত সাংবাদিক।
সাক্ষাতকার শেষে কমান্ডার সনদপত্র কোথায় জানতে চান তারা। এমন কোনো সনদ হয় না বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামাল উত্তর দেন। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জামালকে আড়ালে নিয়ে যান উজ্জ্বল। কথিত সাংবাদিক উজ্জ্বল দেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধার কাছে ১২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা না দিলে মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দিয়ে দিবে বলে ভয় দেখান উজ্জ্বল। মুক্তিযোদ্ধা এক পর্যায়ে কথিত সাংবাদিক উজ্জ্বলকে ৫ হাজার টাকা দেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মোহাম্মদ জহিরুল স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাদের আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন তারা ভুয়া সাংবাদিক এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা চাঁদাবাজি করেন।
পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে তারা সহায়তা চান। রাতে পুলিশ পৌঁছে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রোববার সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তুলে দিবে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করেছেন। মুক্তিযোদ্ধার ছেলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।