চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে লিচু গাছের নিচ থেকে ২ বস্তা গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৭ মার্চ বুধবার ভোরে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউপির কাশিনগর এলাকা থেকে বস্তা ভর্তি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউপির কাশিনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে কাশিনগর এলাকার দুধ মিয়ার বাড়ির পাশে লিচু বাগানে দুই ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লিচু গাছের নিচ থেকে দুই বস্তার ভেতর থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দুই জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ির উঠানে ফেলে পুত্রবধূ ও শাশুড়িকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আতকাপাড়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া (৪০) ও নান্নু মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আতকাপাড়ার আবদুল আলীর ছেলে নাসির মিয়া ইটভাটায় কাজ করার সুবাদে চট্টগ্রামে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই মাস আগে নিজের গ্রামে বাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
বাড়িতে নাসির মিয়া, তার স্ত্রী, স্কুল পড়–য়া মেয়ে এক ৬ মাস আগে বিয়ে হওয়া পুত্রবধূ থাকেন। নাসির মিয়ার বাড়ির সামনে একটি নালায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলো।
গত শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে নাসির মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া, মানিক এবং সবুজ নাসিরের বাড়িতে গিয়ে নাসিরের স্ত্রী শিউলি বেগম, তার পুত্রবধূ শারমিন (২০) কে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় নাসির মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী বাক্কু মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ মিয়া চাঁন (৫৫) নামে এক বিএনপির নেতা মৃত্যুবরন করেছেন। আজ ১৯ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মোহাম্মদ মিয়া চান উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে মোহাম্মদ মিয়া চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদ মিয়া চান একটি মিছিল নিয়ে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি স্ট্রোক করেন। অচেতন অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিটন মুন্সী জানান, কাউতলী থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হঠাৎ করে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে চর-ইসলামপুর থেকে নৌকাযোগে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন মোহাম্মদ মিয়া। পরে কাউতলী থেকে পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে হাফিজুর রহমান (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার ভোরে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুর রহমান ওই এলাকা গুলু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মেয়ের জামাতা শামীম মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পেটুয়া গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে হাফিজুর রহমানের মেয়ে নাহিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শামিম মিয়ার বিয়ে হয়। নাহিদা আক্তার ও শামিম মিয়ার সংসারে ২ বছরের একটি শিশু সন্তান আছে। বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর নাহিদা আক্তার তার স্বামী শামিম মিয়াকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। এর পর তিনি স্বামীর বাড়ি ফিরে না গেলে শামীম তার বাবা হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
নাহিদা আক্তার এরই মধ্যে পরিবারের লোকজনদের কিছু না জানিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যান। কিন্তু তাদের মধ্যে ফের কলহ শুরু হয়। এরই জেরে ৩ নভেম্বর শুক্রবার নাহিদা আবার বাবার বাড়ি চলে আসেন। নাহিদাকে ফিরিয়ে নিতে শামীমের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়ি আসে। কিন্তু শামীমের সংসারে নাহিদা আক্তার ফিরে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরই জেরে ভোরে শামীম শ্বশুর বাড়ি এসে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর হাফিজুর রহমানকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘাতক শামীমকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা থেকে ১১ হাজার ৮৭৫ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর বিওপির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে ১১ হাজার ৮৭৫ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার সিজার মূল্য ৩৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা।
আটককৃতরা হলেন বিজয়নগর উপজেলার কামালমোড়া গ্রামের মৃত মুলু হোসের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (২৫) ও একই উপজেলার গণেশরামপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ অন্তর (১৮)। বিজিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতির মাধ্যমে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কামালমোড়া নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মামলার পাওয়া যায়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে উদ্ধারকৃত মাদকসহ বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হবে জানানো হয়।