চলারপথে রিপোর্ট :
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এড সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা কৃষক লীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক সেলিম ভূইয়া, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচী অংশ হিসেবে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৮.৩০টায় ফারুকী পার্কে (অবকাশ) অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পৌর এলাকার কাউতলীতে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মরণে নির্মিত ‘সৌধ হিরন্ময়’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পৌরসভার পক্ষে মিসেস নায়ার কবির শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রাহসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার দেশপ্রেমী মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিপিবি’র সভাপতি কমরেড শাহারিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্বা দিলীপ কুমার নাগ,সাধারন সম্পাদক প্রদ্যুৎ রন্জন নাগ।বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দেরা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে ডিএমপি, ঢাকায় বদলী হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। বদলী উপলক্ষ্যে জেলার শীর্ষ এ পুলিশ কর্মকর্তাকে বিদায় জানিয়ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলার সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের বর্ণাঢ্য প্রথা ও ঐতিহ্যের সাথে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়। বিদায় উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের চৌকস দল বিদায়ী পুলিশ সুপারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর ফুলে ফুলে সুসজ্জিত গাড়িতে পুলিশ সুপারকে বিদায় জানানো হয়। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাবি আদায় না হওয়ায় আবারো বাড়ানো হয়েছে আদালত বর্জন কর্মসূচি। আজ ৩০ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে ৫ম দফায় বর্ধিত কর্মসূচির শেষ দিনে আরো ৮ দিনের জন্য আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সর্বদলীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি এক সভার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন কর্মসূচির আওতায় আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করবেন আইনজীবীরা। এসময় আদালতের কোনো বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না তারা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া জানান, দাবি আদায় না হওয়ায় কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এবং আদালতের নাজিরকে অপসারন করার দাবি আদায় না হলে আইনজীবীদের সর্বদলীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। পরবর্তীতে পুরো আদলতের পরিবর্তে জেলা জজ ও নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল-১ আদালত বর্জন করে আসছে আইনজীবীরা। এছাড়াও বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছে উচ্চ আদালত।