চলারপথে রিপোর্ট :
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এড সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা কৃষক লীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক সেলিম ভূইয়া, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচী অংশ হিসেবে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৮.৩০টায় ফারুকী পার্কে (অবকাশ) অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে জেলার ৬টি আসন থেকেই জাকের পার্টি, ২টি আসন থেকে জাতীয় পার্টি এবং ১টি আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার প্রার্থীরা নিজে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ২জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী কাজী মাসুদ আহমেদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জাকের পার্টি মনোনীত মোঃ সেলিম কবির।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও কসবা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তারেক আহমেদ আদেল ও জাকের পার্টির মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জমশেদ মিয়া ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী আখতার হোসেন সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল আজিজ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বর্তমানে ৬টি আসনে ৩৫জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির ২জন প্রার্থী রয়েছেন।
৬টি আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত মোহাম্মদ বকুল হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন, তৃনমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার, জাতীয় পার্টি থেকে দুইবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ।
এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ মনোনয়ন দাখিল করেন। আওয়ামীলীগের সাথে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতায় এই আসনটি মোঃ আবদুল হামিদকে দেয়া হয় কিন্তু জাতীয় পার্টির প্যাডে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোঃ নূরে আজম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত জামাল সরকার, স্বতন্ত্র একেএম মামিনুল হক সাঈদ, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত মোঃ মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ও তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মুফতি হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ.বি তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আমজাদ হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত কবির মিয়া ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত সফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়ার নাম রয়েছে। আমরা দলীয় প্যাডকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, জোটের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত আসন বন্টনের তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে আমার নাম রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়। আমি আশা করি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করবেনা।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এই আসনে দুইজন প্রার্থী থাকায় এমনটি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশে কয়েক দিন ধরে চলছে তীব্র গরম। এ অবস্থায় গতকাল চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃষ্টি নেমেছে। বাতাস, মেঘ ও বৃষ্টির ফলে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।
আজ ১৮ মে শনিবার সকালের দিকে এই বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে দেখা যায়। শুক্রবার সারাদিন ছিলো তীব্র আকারের তাপপ্রবাহ। এরফলে প্রচণ্ড গরমে প্যান চালিয়েও ঘুমানো ছিলো বেশ কষ্টকর। এরই মাঝে সকালের বৃষ্টি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত বলে মনে করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। বৃষ্টির সাথে হালকা হিমেল বাতাস ছিলো দেহমন জুড়ানোর বিষয়টি ছিলো এক অপার্থিব আনন্দ।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছিল, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর ও ফেনী জেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে শুক্রবার বিকেলে দেশে চার বিভাগে ২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এছাড়া গত এপ্রিলে বেশ কয়েকবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনশুমারি ও গৃহগণনা এর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি জেলায় সাক্ষরতার হার গত ১০ বছরে ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭২ শতাংশ হয়েছে। কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। সেটা ১.৬৮ থেকে নেমে ১.৩৫ এ এসেছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি, ২০২২ সালে হওয়া শুমারি অনুযায়ি জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে ৪৭ ভাগ হারে পুরুষ ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬২ জন ও নারী ৫৩ ভাগ হারে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৫ জন। হিজড়ার সংখ্যা ১৫৬ জন। ২০১২ সালের সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ি সাক্ষরতার হার ছিলো ৪৫.২৯, যা ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.১২। সাক্ষরতার দিকে থেকে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭১.৭৪, নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৪৪।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন প্রবাসে থাকেন। সবচেয়ে বেশি নবীনগর উপজেলার ৫৭ হাজার ৯৮ জন প্রবাসে থাকেন। শুমারি চলাকালীন ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি ৪১.৭০ জন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছিলেন না, কাজে নিয়োজিত ছিলেন না কিংবা বৃত্তিমূলক কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি। এর মধ্যে ৫৭.৩২ ভাগ নারী ও ২০.১৯ ভাগ পুরুষ।
পাঁচ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ৮.১৬ ভাগ ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষায় আছেন ৮৮.২১ ভাগ। কারিগরি শিক্ষায় ০.৩৪ ভাগ। অন্যান্য শিক্ষায় আছেন ২.৪৮ ভাগ। জেলায় মুসলমান ৯৩.২৯ ভাগ। হিন্দুর সংখ্যা ৬.৬৮ ভাগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচী ২০২৩-২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আন্ত:উপজেলা এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া শত শত ছাত্র/ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ জামসেদুল আলম।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহ্ফুজা আখ্তার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য বুলবুল, মোঃ আজিম, মোঃ আজাদ, আতাউর রহমান ইয়াকুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল ৫ হাজার মিটার দৌড়, বালক বালিকাদের ৪০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়, গোলফ নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, লং জাম, মোরগ লড়াইসহ মোট ৪২টি ইভেন্ট।
এসময় জেলার ৯টি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকসহ অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্যে অপারগতা প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুদিন ধরে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। মূল্য বাড়ানোর দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে স্মারকলিপি দেন তারা। তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক আহমেদ। এছাড়া সঙ্গে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক।
তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে দাবি-দাওয়া পেশ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জেলার মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ হচ্ছে না জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। তবে সারাদেশে যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, তারা অবশ্যই তা মেনে চলবেন। কেউ অতিরিক্ত দাম নিলে তা আমরা দেখবো।
তবে, এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক জানান, জেলা প্রশাসক মাংস ব্যবসায়ীদের বলেছেন, আপনারা আজ যেমন এসেছেন, কিন্তু আসার আগে মাংস বিক্রি কেন বন্ধ করলেন? সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন। তখন ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারি দরে তারা মাংস বিক্রি করতে পারবেন না। আবার অতিরিক্ত দরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করবেন। তাই তারা দোকান বন্ধ করছেন। সবশেষ জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্য মেনে মাংস বিক্রি করতে হবে।