চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে সরাইল সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে ৫ শত মানুষের মাঝে এ ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সরাইল সদর দপ্তর রিজিয়নের ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল কাজী শামীম হাছান। ইফতার ও খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তৈল ও আলু এবং ইফতার সামগ্রী। এছাড়াও বয়স্কদের যাতায়াতের গাড়ি ভাড়াবাবদ কিছু অর্থ দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ এবং রিজিয়ন ও ব্যাটালিয়নের অন্যান্য অফিসারবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবস তথা মহান ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ওঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ, কলেজ শিক্ষক, শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউএনও বলেন, মহান ২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সরকারি ভাবে দেয়া কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে পরিবর্তন বা প্রস্তাব এসেছে। নতুন নিয়মে জাতীয় অর্ধনমিত করতে হবে ব্যবহৃত খুঁটি বা লাঠির চার ভাগের এক ভাগ নীচে। অর্থাৎ খুঁটিকে মেপে সমান চার ভাগ করে উপরের অংশের এক ভাগের শেষ সীমানায় নীচের অংশে পতাকার উপরের অংশের ফিতা বাঁধতে হবে। এরপর টান দিয়ে নীচে যতটুকু যায় বেঁধে ফেলতে হবে। শহিদ মিনারে পুষ্ফস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পূর্বের মতই আছে। সভায় সরাইল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুব খান প্রস্তাব করেন, ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও সরাইলে কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রসা ও কলেজসহ মোট ২২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদৌ নির্মাণ হয়নি শহিদ মিনার। সরকারি/ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ/ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি/ বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছোট করে হলেও দ্রুত শহিদ মিনার নির্মাণ করা হউক। ফলে নতুন প্রজন্ম খুবই উপকৃত হবে।
অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নৌশাদ মাহমুদ, বিআরডিবি কর্মকর্তা মাসুদ রানা, মৎস্য কর্মকর্তা মুকসুদ হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরাইল প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সরাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি মো. মুরাদ খান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী, সরাইল টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।
বক্তব্য রাখেন- সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি হাজী ইকবাল হোসেন, সরাইল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, সাংবাদিক তৌফিক আহমেদ তফসির, সাংবাদিক মোহাম্মদ মাসুদ, সাংবাদিক মাহবুব খন্দকার, সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একমাত্র পাঠকপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর। পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, সংবাদ কর্মীসহ সব শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। সেই সঙ্গে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ ২১ আগস্ট সোমবার এ ঘটনায় হাকিম মিয়া(২৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাকিম মিয়া উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে। সোমবার দিনে দুপুরে উপজেলা অরুয়াইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলায় আহত সরাইল থানার এএসআই শামছুল আলম বলেন, দুপুরে অরুয়াইল বাজার এলাকায় দায়িত্বকালে বাজারের সুতা ব্যবসায়ী কালা মিয়া জানান, তার মেয়ে জামাই হাকিম মিয়া (২৮) তার মেয়ে সোমাকে (২১) মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। এখন তার মেয়ে সোমা অরুয়াইল বাজারের হাজি শিশু মিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছেন। সোমা ও তার বাবা কালা মিয়া থানা বা কোর্টে গিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথে মেয়ের জামাই হাকিম মিয়া ও রিফাতসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমিসহ আরেকজন পুলিশ সদস্য রোকন উদ্দিনও আহত হয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় নামধারী ২ জন এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।