আখাউড়ায় ৫০ লাখ টাকার আতশবাজি উদ্ধার

আখাউড়া, 29 March 2024, 385 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৫০ লাখ টাকার বেশি ভারতীয় আতশ বাজি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে পৌর এলাকার তারাগন থেকে এসব বাজি উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পাচার কাজে ব্যবহার হওয়া একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়।

বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন আখাউড়া কোম্পানি সদর বিওপি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডর কাজী ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালানোর সময় ভোররাত পৌণে চারটার দিকে একটি পিকআপকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। এ সময় পিকআপ ফেলে এর চালকসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে নম্বরবিহনী ওই পিকআপ থেকে ২৪ বস্তায় থাকা ৭৮ হাজার ৭০ পিস ভারতীয় আতশ বাজি উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য প্রায় ৫১ লাখ টাকা। উদ্ধার হওয়া আতশ কাস্টমসে জমা দেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

আইসিসির পরোয়ানা : নেতানিয়াহু কানাডায় গেলে…

অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ Read more

মামলায় কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির…

অনলাইন ডেস্ক : ৫ আগস্টের পরে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে Read more

সাহিত্যের আড্ডায় গুণীদের মিলনমেলা

চলারপথে রিপোর্ট : প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। Read more

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more

আখাউড়ায় তিন কন্যাসহ গৃহবধূ নিখোঁজ : থানায় জিডি

আখাউড়া, বিজয়নগর, 8 June 2024, 465 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে তিন শিশুকন্যাসহ খালেদা আক্তার রিতু নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সিঙ্গারবিলে ঘটনাটি ঘটেছে।

আজ ৮ জুন শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ গৃহবধূ খালেদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী। রিতুর বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) গ্রামে। তার তিন শিশুকন্যা হলো- তাবাসসুম আক্তার (১০), তানিশা আক্তার (৭) এবং হুমায়রা আক্তার (৫)। এর আগে ৭ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন তারা।

নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী আতাউর রহমান ভূঁইয়া জানান, গত রবিবার তার স্ত্রী তিন কন্যাকে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা আখাউড়ায় তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পরিচিত এক অটোরিকশাযোগে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসেন। পরে এ অটোরিকশা থেকে নেমে অজ্ঞাতপরিচয় অন্য একটি অটোরিকশাতে ওঠে। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে না পৌঁছালে তিনি তার শ্বশুরকে ফোন করে জানতে পারেন তারা সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন। তখন আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অটোচালক সুমন বলেন, আমি তাদের বাড়ির সামনে থেকে সিঙ্গাবিল বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসি। পরে আখাউড়া বাইপাস পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অন্য একটি অটোরিকশায় তুলে দেই।

বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জিডি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক গৃহবধূ তিন সন্তানসহ নিখোঁজের ঘটনায় দুপুরে একটি জিডি করেছে তার বাবা আব্দুল আউয়াল। বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।

আখাউড়া ইমিগ্রেশনের কাজ চলে ছোট্ট কক্ষে, নেই বসার সুব্যবস্থা

আখাউড়া, 16 May 2023, 1177 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মী রানী দাস। তিনি ভারত থেকে স্বামী ও সন্তান নিয়ে আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসেন।

যাত্রাকালে আগরতলা ইমিগ্রেশনে সুষ্ঠু ও স্বাচ্ছন্দ্যে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে এলেও আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে এসে রীতিমত অবাক হক তিনি। বসারও সুব্যবস্থা নেই এখানে।

ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করতে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ালেও ছোট কক্ষটিতে নেই কোনো ফ্যান। হঠাৎ ১২ বছর বয়সী ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে সেবা করার জন্য কোনো স্থান না পেয়ে ইমিগ্রেশন ভবনের এক কোনায় বসে তার সেবা যত্ন করেন। আশেপাশে ছিল না কোনো টিউবওয়েল। যাও বা ট্যাংকের পানি জুটেছে, তাও তীব্র তাপদাহে তপ্ত। তা দিয়েই ছেলেকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান।

লক্ষ্মী রানী দাসের বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশনে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ও সুন্দর পরিবেশে আরামে সব কাজ করে এসেছি। বন্দর থেকে গাড়িতে আমাদের ফ্রি চেকপোস্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। অথচ আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে এসে নাজেহাল হতে হলো। এখানে কোনো কিছুরই সুব্যবস্থা নেই। একতলা পুরোনো ভবনের ছোট্ট কক্ষে শত শত লোক ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে। এখানকার ইমিগ্রেশনের অব্যবস্থাপনা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। এখানে যাত্রীদের জন্য পরিষেবা বাড়ানো উচিত। আশা করব, বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের যাত্রীদের কথা বিবেচনায় এনে ইমিগ্রেশন উন্নত করবে।

আগরতলা থেকে আসা আরেক যাত্রী খোকন মিয়া বলেন, আমি গত ছয় বছর ধরে এ চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করছি। ইমিগ্রেশনটি যে হালতে দেখেছিলাম, সে হালতেই আছে। একজন রোগী এলে যে বসবে, সে উপায় নেই। এখানে যে পরিমাণ জায়গা দরকার, সে তুলনায় খুবই কম আছে।

বন্দরটি ঘুরে দেখা গেছে, মূলফটক পার হলেই একতলা বিশিষ্ট তিন রুমের একটি ভবন। এর মধ্যে দুটি ছোট রুম ও একটি মাঝারি রুম। একটিতে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ বসেন, আরেকটি হচ্ছে ব্যারাক। মাঝারি কক্ষটিতে চলে অফিসের কার্যক্রম। পুরোনো ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে গেছে। প্রতিদিন যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই গাদাগাদি করেই চলে কার্যক্রম। যাত্রীদের মালপত্র বারান্দায় রেখে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বসার জন্য ইমিগ্রেশন কক্ষে কোনো জায়গা নেই। আর বাইরে টিনের একটি ছাউনি আছে, যেখানে ১৫/২০টি চেয়ার থাকলেও কোনো টেবিল নেই। অথচ ফরম পূরণ করতে টেবিল প্রয়োজন। ফরম পূরনের জন্য দেখা গেছে কেউ বারান্দার মেঝেতে বসে, আবার কেউ কেউ বিদ্যুৎতের জেনারেটরের ওপরে ফরম রেখে পূরণ করছেন। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্রামের জন্যও জায়গা নেই। কক্ষটিতে এসির ব্যবস্থা থাকলেও ভিড় থাকায় যাত্রীদের লাইন কক্ষের বাইরে বারান্দায় চলে যায়। ফলে এসিগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় গরমে কষ্ট সহ্য করে ইমিগেশনের কাজ শেষ করতে হয়।

তবে বিড়ম্বনা এখানেই শেষ নয়। কাস্টমসের কাজ করতে পাড়ি দিতে হচ্ছে অন্তত দুইশ গজ দূরবর্তী অন্য আরেকটি ভবনে। মূলত এক ভবন ও এক ছাদের নিচে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ করতে না পারায় তাদের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে চালু হয় আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম। সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট থেকে অনেকেই আখাউড়া ইমিগ্রেশন ব্যবহার কররে ভারতে যাতায়াত করছেন।

কাস্টমস সূত্র জানায়, এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন অত্যন্ত এক হাজার যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করছেন। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ভারতে যান। যা থেকে প্রতি মাসে ৭৫ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে সরকারের। বিগত ছয় মাসে চার কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

এদিকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ২০১৭ ও ২০১৯ সালে সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

মৌলভীবাজার জেলা থেকে ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রী সুমন আহমেদ বলেন, আমি ইমিগ্রেশনের পরিবেশ দেখে হতবাক হয়ে গেছি। এখানে লাইনের কোনো শৃঙ্খলা নেই। কোনো ধরনের আধুনিকায়ন নেই। অথচ আগরতলা ইমিগ্রেশনের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ফারহানা মিলি নামে এক নারী চিকিৎসক তার বাবার চিকিৎসা জন্য ভারতে যাওয়া সময় আক্ষেপ করে বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশন ও আখাউড়া ইমিগ্রেশনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমাদের এখানে ভালো ব্যবস্থা নেই। মালপত্র রাখার জায়গা পাই না। আরেকজনের কাছে পাহারা দিয়ে রাখতে হয়। বছরের কয়েকবার যেতে হয়। তবে এর উন্নতি দেখছি না। এখানে দ্রুত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগুক সেই কামনা করি।

মুক্তি খান নামে এক যাত্রী বলেন, বর্তমানে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নামেমাত্র টিকে আছে। জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে কোনোমতে ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছে। স্থায়ী ভবন তৈরির পর এক ছাদের নিচে সব পরিষেবা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশিদের আসা যাওয়া আরও বেড়ে যাবে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগও লাঘব হবে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি যাত্রী পারাপার হচ্ছেন। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালানোর জন্য যে ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে, তা খুবই অপ্রতুল। নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে সেবার মান বাড়বে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, এ ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করলেও ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের পর্যাপ্ত সুবিধার কমতি রয়েছে। আমাদের নতুন একটি ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ চলছিল, তা বিএসএফের বাধায় বন্ধ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কথা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে আমরা ভবনটির কাজ আবার শুরু করতে পারব। এছাড়া বলে রাখি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখানে একটি আধুনিক বন্দর নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৩.৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ হাতে নিয়েছি। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তখন স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। যাত্রীসেবার মানও উন্নত হবে।

তিনি আরো বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এবং আধুনিক স্থলবন্দরটি তৈরি হলে আখাউড়াই হবে বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থলবন্দর।

আখাউড়ায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড়সহ আটক

আখাউড়া, 26 December 2022, 1233 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাচার হওয়া ভারতীয় কাপড় ও বিপুল পরিমাণ মালামালসহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ সিপিসি-১ ক্যাম্পের সদস্যরা। আটককৃতরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ভাটপাড়া গ্রামের মোঃ সোলেমান মিয়ার ছেলে মো. ফয়সাল হোসেন (২৯) ও কসবার আকছিনা গ্রামের মোঃ ফারুক মিয়ার ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২২)। র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্প থেকে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখাউড়া উপজেলার তন্তর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় থ্রী-পিস, জিন্স প্যান্ট, পুরুষ সানগ্লাস, লেডিস সানগ্লাস, বেবি সানগ্লাস, একটি স্কুটি এবং নগদ টাকা সহ দুইজন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-০৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজারে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সামনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পাশে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ২৯৯ থ্রী পিস, জিন্স প্যান্ট ২৮ পিস, পুরুষ সানগ্লাস ৪ হাজার ৩০০ পিস, লেডিস সানগ্লাস ৪ হাজার ৮০০ পিস, বেবি সানগ্লাস ২ হাজার ৭১৮ পিস, একটি টিভিএস ১২৫ সিসি স্কুটি, নগদ ৭০ হাজার টাকা জব্দসহ দুই চোরকারবারীকে আটক করেন।
অভিযান নেতৃত্বে থাকা র‌্যাব-৯ এর উপ পরিদর্শক কিবরিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করছেন বলে স্বীকার করেছেন ওই আটক দুই চোরাকারবারি। আটক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক পাচারের ঘটনায় পুলিশের এএসআইসহ দুইজন বরখাস্ত

আখাউড়া, 8 November 2023, 583 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে থানা পুলিশের এক এএসআইসহ দু’জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই অভিযুক্ত দুই পুলিশ মিলে আন্ত:নগর ট্রেনে করে আখাউড়া থেকে ময়মনসিংহে গাঁজা পাচার করছিলেন।

এরা হলেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় কর্মরত কনস্টেবল সোহেল রানা (২৬) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় কর্মরত এএসআই তারেক আলী। এরমধ্যে সোহেল রানার কাছ থেকে তিন কেজি নয়শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর সে জানায়, তারেক আলীর কাছ থেকে সে গাঁজা বুঝে নেয়।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, তারেক আলীকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। তবে কি কারণে বরখাস্ত হয়েছে সেটি আমি জানি না। গাঁজা পাচারের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টিও আমার জানা নেই।

আখাউড়ায় ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের আলোচনা সভা

আখাউড়া, আন্তর্জাতিক, 26 February 2023, 1925 Views,

আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার কারিমা রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

অনুষ্ঠানে আখাউড়া যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল’র সভাপতিত্বে ও ছাত্র নেতা মনির হোসেন’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র সভাপতি ড. দেবব্রত দেবরায়, সাধারণ সম্পাদক ড. মুজাহিদ রহমান, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আবদুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু।

বিশেষ করে, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি দিয়ে দুই দেশে সু-সম্পর্ক হবে বলে বক্তরা মনে করেন।

ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বই সহ উপহার সামগ্রী আদান-প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র বিশিষ্ট শিল্পী ও সহ সম্পাদক স্বর্ণিমা রায়, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী ও কোষাধ্যক্ষ নির্মল দেব, কবি গীতিকার ও কার্যকরী সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ, সমাজসেবী কবি ও সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী কুশল দেব, বিশিষ্ট ব্যাচিক শিল্পী শ্বেতা দেবরায়, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ইন্সা আক্তার, কবি গীতিকার ও সহ-সম্পাদক শ্যামল কান্তি দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মনিদীপা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী শ্যামলীমা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সাগরীমা দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অমর ঘোষ, আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন সফিক আলিয়া, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার ভূঁইয়া, সাবেক দক্ষিণ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তজিবুর রহমান, আখাউড়া যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকসানা আক্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদ মাস্টার, সেলিম মিয়া, ক্রিড়াবিদ মো: সাগর হোসেন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অমিত হাসান অপু, কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দিন রিফাত প্রমুখ।