চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ঝটিকা অভিযানে পরিচালনা করে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতের নাম সুভাষ মল্লিক (৪৮) পিতা:-মৃত- সুকুমার মল্লিক, গ্রাম- সাতবর্গ, ইউপি বুধন্তি, থানা:- বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া.
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২৯ মার্চ বিকাল প্রায় ৪ টায় উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ৯ নং সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব দিকে মনতলা – সাতবর্গ রাস্তায় মল্লিক সাউন্ড সিস্টেম দোকানে ইসলামপুর ফাঁড়ির এসআই আক্কাস সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে ৮৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নগদ ১৫৯৫ টাকা এবং ইয়াবা সেবনের এক রুল ফুয়েল পেপার উদ্ধার করে ও সুভাষকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে ।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, সুভাষ মল্লিকের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক মামলা রয়েছে সে একজন মাদক ব্যবসায়ী, এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সার্ভার ক্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারার অভিযোগ করেছেন বিজয়নগর উপজেলার সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাঃ প্রীতি খন্দকার ওরফে হালিমা আক্তার।
গতকাল ৯ মে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে তিনি রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন।
প্রীতি খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানে যান। মনোনয়ন ফরমের বিভিন্ন অংশ পূরণের পর প্রস্তাবকারি ও সমর্থনকারির ছবি অনলাইনে দেখা যাচ্ছিলো না। নির্ধারিত সময় বিকেল চারটা নাগাদও ছবি দেখা না যাওয়ায় মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে পারেননি।
প্রীতি খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ধারনা করা হচ্ছে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জটিলতার সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবেন।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে উনি যে সময়ে সার্ভার ক্রুটির কথা বলেছেন তখন আরো একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেন। যে কারণে সার্ভার ক্রুটির বিষয়টি সত্য নয় বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পর তিনি আমাদেরকে জানাননি। যেখানে ফরম ফিলাপ করেছেন সেখানে সময় নষ্ট করেছেন। সময়ের শেষ দিকে ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে তিনি আরো বিপাকে পড়েন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ২০ লক্ষ টাকার অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল কাশিনগর নির্মল দাসের বাগান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সহ ১ জন আটক করা হয়। ক্যাপ্টেন আমিন ৩৩ বীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিজয়নগর থানাধীন সিংগারবিল এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবক হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের মোঃ চান মিয়ার ছেলে উজ্জল খাঁ (৩২)। এ সময় ৬৮০ পিস স্কপ,২৫৫ পিস ইয়াবা,৭০কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে বিজয়নগর উপজেলা কাশিনগর গ্রামে বসবাস করেন।
বিজয়নগর উপজেলা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রওশন আলী জানান, বিজয়নগর থানায় যৌথ বাহিনীর তল্লাশিতে ২০ লাখ টাকার অবৈধ মাধকদ্রব্য সহ উজ্জ্বল খাঁ নামের যুবক কে আটক করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে দুইশ বোতল ফেনসিডিল ৯০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজয়নগর উপজেলা থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ৯০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৪টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০০ বোতল ফেনসিডিল এবং ৯০ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক ২ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মো. আল-আমিন (৩০) বিজয়নগর ও শামীম (২৬) সরাইল উপজেলার । পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরপূর্বক আসামি ও জব্দকৃত মালামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শাহজাহান মাষ্টার ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ থাকায় গ্রামের পুরুষদের আতঙ্কিত অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে পাঁকা ধান কাটা হচ্ছিল না।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যদের আশ্বাস ও উপস্থিতিতে পাঁকা ধান কাটা হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী এই ধান কাটা ও এলাকায় যেন নতুন করে দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সেই জন্য বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের উপস্থিতিতে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এসময় সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হোসেনপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন, ফরিদ মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেনদের জমির ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, ঝগড়াঝাটির জন্য পাঁকা ধান কাটা বন্ধ ছিল। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নতুন করে যেন কোন দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ধান কাটার সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করেন বিজয়নগর থানা পুলিশ। পাশাপাশি বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। উপজেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও নবীনগর উপজেলা পরিষদ।
তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ও মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন উপজেলায় ৩৬৬ টি কেন্দ্রে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন।
একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটধিকার প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন ভোটার ৭৮টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত নবীনগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জন ভোটার ১৫৬ টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সদর উপজেলার ১৩২ টি কেন্দ্রের মালামাল দুপুর ১২ টার পর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে। ১৩২টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার বুধবার ভোরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৭৬৫ জন পুলিশ, ৫৫জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং তিনজন জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।