চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কানের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ ভাই-বোনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে রিনা আক্তার এবং তার ভাই আবদুল জলিল। আটক রিনা আক্তার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১নং কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও ১ ঘন্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে প্রশ্নের উত্তর পত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকে। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে দেহ তল্লাশী করে বিশেষ কায়দায় কানের ভিতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেক্টনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ ঘটনাস্থলে পৌছে পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, এই ডিভাইস তার বড় ভাই তাকে দিয়েছে পরীক্ষা দিতে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাইকে খবর দিয়ে আনা হয়। দুইজনকে পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার দেয়া তথ্য মতে পরে তার ভাই আবদুল জলিলকেও আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে শুক্রবার সকালে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পৌর কলেজের ১০১ নম্বর কক্ষে রিনা আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অবৈধ পন্থা (কানের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস) নিয়ে প্রবেশ করে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় ওই পরীক্ষার্থী উত্তর পত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকে। এতে তাকে সন্দেহ হয়, পরে তাকে তল্লাশি করে তার কান থেকে খুবই ছোট একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে পরিক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ মিনিট দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করতো। এটি একটি বিশাল চক্র। সে তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করে। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় যেহেতু একটি ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে, এর সাথে আর কে কে আর জড়িত তা তদন্ত করে জানতে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পৌর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবেন। আটক দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট বিভাগীয় পর্যায়ে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ১২৭ রানে রাঙ্গামাটি গভ: হাই স্কুলকে পরাজিত করেছে।
১ম ব্যাট করে আইডিয়াল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে আশিকুর রহমান শিমুল ৭৪ ও আনাছ ৩৭ রান করে। বিরতির পরে ব্যাট করতে নেমে রাঙ্গামাটি ১০.২ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হয়। বাঁমহাতি স্পিনার ইয়াছিন আরাফাত ৫টি উইকেট ও ডানহাতি লেগ স্পিনার অধিনায়ক তপু দত্ত ৩ টি উইকেট পায়।
আগামী ২ মে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মুখোমুখি হবে কুমিল্লা হাই স্কুল এর বিপক্ষে।
১৭ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া দল তপু, তারেক, শিমুল, আরাফাত, আনাছ, নওশাদ, নাইফ, সাদাত, হাসিবুল, আদিল, আব্দুর রহমান, মিনার, সাব্বির, শোয়াইব, অনন্দ, রাজীব রায় গেইম টিচার ও সিনিয়র শিক্ষক আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, জেলা ক্রিকেট কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও কার্যনির্বাহী সদস্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখেও তৃপ্তির হাসি। এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার গ্রীষ্মকালীন টমেটো বিক্রি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, সরাইল উপজেলায় ৫ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২ হেক্টর, নবীনগর উপজেলায় ১ হেক্টর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১ হেক্টর, আখাউড়া উপজেলায় ৩ হেক্টর, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১ হেক্টর, বিজয়নগর উপজেলায় ৮ হেক্টর ও নাসিরনগর উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে।
তবে জেলার হাওর বেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগরে ৫২ হেক্টর জমিতে (৭.৫ বিঘায় ১ হেক্টর) এ বছর গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। চাষীরা তাদের জমিতে বারি-৮ ও মঙ্গলরাজা জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। চলতি বছর শুধু নাসিরনগর উপজেলাতেই প্রায় ২০ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওর বেষ্টিত নাসিরনগর উপজেলায় চলতি বছর প্রায় ২২ হেক্টর (৪০০ বিঘা) জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। টমেটোর বাগানগুলো বেশীর ভাগই করা হয়েছে বাড়ির আঙিনা ও উঁচু জায়গায়। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বাগান থেকেই আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কৃষক হাসিম মিয়া জানান, সারা বছরই তার এই জমি পতিত থাকতো। গত প্রায় তিন মাস আগে কৃষি অফিসের লোকজন তার বাড়িতে এসে বলেন, তিনি যদি তার পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করে তাহলে তিনি লাভবান হবেন। তাদের পরামর্শে তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চারা রোপন করেছেন। তাতে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই তিনি টমেটো বিক্রি শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দুই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।
উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জায়গা বর্গা নিয়ে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে গ্রীষ্মকালীর টমেটোর চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি তিন লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। একই ইউনিয়নের কৃষক রফিক মিয়া বলেছেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি বাড়ির আঙ্গিনার ২৫ শতাংশ পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছেন। টমেটোর ফলন ও ভালো হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।
বিভিন্ন চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে খরচ কম, লাভ বেশী। তাই তারা টমেটোর চাষ করেছেন। আগামীতে উপজেলায় টমেটোর চাষ আরো বাড়বে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি বছর ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। আমারা জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের উদ্যোক্তা তৈরি করছি। টমেটোর ফলনও এ বছর ভালো হয়েছে। আশা করি এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে। ফলন বাড়াতে আমরা চাষীদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৩জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক প্রাপ্তরা হলেন, মো. হেলাল উদ্দিন চশমা, শফিকুল আলম আনারস ও বিল্লাল মিয়া পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর ৬জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে শেষ দিন ৩জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ হওয়ায় তাদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন আল মামুন সরকার। এক বছর পূর্ণ হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মারা যান আল মামুন সরকার। তার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হয়ে পড়ে।
আগামী ৯ মার্চ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের কাছে প্রতীক বরাদ্দ দেন।
৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ০৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ০৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ০৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ০৫জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ০৪জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহনুল করিম পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন পেয়েছেন ( হাতুড়ি প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ আবুল হাসনাত পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার পেয়েছেন (সোনালী আঁশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন (কাঁচি প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম পেয়েছেন (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর) পেয়েছেন (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পেয়েছেন (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ পেয়েছেন (আম প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা পেয়েছেন (নোঙ্গর প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান পেয়েছেন (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার পেয়েছেন (একতারা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক) ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন (সোনালী আঁশ প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন (আম প্রতীক)।