চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ড্রেজার দিয়ে অতিরিক্ত বালু উত্তোলন ও অবৈধভাবে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও তিনজনকে ৬ মাস করে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার দুপুরে উপজেলার জাফরাবাদ ও চর মানিকনগর এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে সাজা ও জরিমানা প্রদান করেন নবীনগর ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকায় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিনের চেয়ে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করায় দায়ে একজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বালু উত্তোলন করার দায়ে ইজারাদারের প্রতিনিধি সাদেক মিয়াকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো জানান, আরেক অভিযানে উপজেলার চর মানিকনগর এলাকার মেঘনা নদীর পাড়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার সময় বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন ও ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাদের তিনজনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শহিদ ‘সুজয়’-এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সম্মতিক্রমে বিটঘর পুকুরপাড়ের তিন রাস্তার মোড়কে ‘শহিদ সুজয় চত্বর’ নামকরণ ও তার পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সুজয় বিটঘর ইউনিয়নের একমাত্র শহিদ। জাতির দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিনে বিজয় উদযাপনের সময় স্বৈরাচার সরকার তাকে পুড়িয়ে মারে। নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের তরুণ টগবগে যুবক তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯) গত ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পেট্রলের আগুনে পুড়ে মারা যায়।
সুজয় ছিলেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সরব। সরকার পতনের ঠিক আগের দিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন; যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। পোস্টে সুজয় স্বৈরশাসককে উদ্দেশ করে লিখেন- ‘আমি বেঁচে থাকলে বীর, মরলে শহিদ। তুই বাঁচলে টোকাই মরলে আলহামদুলিল্লাহ। হিসাবটা মিলা’।
সুজয়ের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে এই সরকারের দুঃশাসনের বিপক্ষে সবসময় সরব ছিল। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিদিন আন্দোলনে যোগ দেয়। সরকারের পতন ঘটলে সবার সঙ্গে আমার ছেলেও আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে রাস্তায় নামলে সাভার থানায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি পুলিশের পোশাক পরে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাকেসহ ১১ জনকে একটি কাভার্ডভ্যানে তুলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে সবারই মৃত্যু হয়।
সুজয়ের বাবা ছোটখাটো একটি ব্যবসা করতেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা এখন পরিবারের ভবিষ্যত কী হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।
শহিদ সুজয়ের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার প্রত্যয়ে বিটঘর ইউনিয়ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে পুলিশের পৃথক অভিযানে ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন ও সাজাপ্রাপ্ত দুইজনসহ ওয়ারেন্টভুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরের দিকে নবীনগর থানা থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানানো হয়।
এর আগে সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সীমারমপুর খেয়াঘাট থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারি শহিদ মিয়া ও কনিকাড়া রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছয় কেজি গাঁজাসহ আরেক মাদক কারবারি মানিক হোসেনকে (২৪) আটক করা হয়। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে স্থানীয় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে মতবিনিময় করেছেন নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহ আলম।
মতবিনিময় সভায় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবার ঘোষনা দিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে শাহ আলম বলেন, ছাত্র রাজনীতি শেষ করে আমি আমার প্রিয় জন্মভূমি নবীনগরে এসেছি ভালোবাসা নিতে এবং দিতে।
নবীনগরবাসীর সেবা ও এলাকার উন্নয়নে নিয়োজিত করার লক্ষ নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে ফয়জুর রহমান বাদল ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় সকল কাজ করে যাবো ইনশাহ্ আল্লাহ্।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে পাওনা টাকার জের ধরে এশিয়ান টিভির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ইনচার্জ নজরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে শ্রীরামপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া(৩১)ও একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে খন্দকার শাহানেওয়াজ অপু (৩২)। ২১ জানুয়ারি শনিবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাতে নবীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে এশিয়ান টিভির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পাশের শ্রীরামপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে সিভিল সার্জন অফিস সহায়ক পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ছয় লক্ষ, একই গ্রামের রফিক মিয়ার স্ত্রীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ছয় লক্ষ এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদসহ বিভিন্ন সরকারি চাকুরী দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মোট ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকুরী না দিতে পারলে ১৫ দিনের মধ্যে পুরা টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ঐ স্ট্যাম্পে উল্লেখ্য রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও চাকুরী কিংবা টাকা ফেরত না দেওয়ায় সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে গত ২৪/০২/২০২০ সালে গাজীপুর সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেন যাহার এসডিআর নং ১২৪৫ এবং রফিক মিয়া বাদী হয় গত ২৩/০১/২০২১ সালে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন যাহার এসডিআর নং ১১৭।
এছাড়াও আমীর হোসেনের ছেলে মাইনউদ্দিনকে নির্বাচন কমিশন অফিসে, মোহাম্মদ আলীর শ্যালক জনি কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকুরী দেয়ার কথা বলে নগদ ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় নজরুল ইসলাম।
প্রাইমারী শিক্ষিকা চাকুরী প্রত্যাশী খুকি আক্তার জানান, রুবেলের মাধ্যমে নজরুলের সাথে পরিচয় হলে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম নজরুলকে ৬ লক্ষ টাকা দেয় এবং নজরুল তার চাকুরী নরসিংদী হয়েছে মর্মে ভেরিফিকেশন করিয়ে ঐখান থেকে বদলী করে শ্রীরামপুর নিয়ে আসতে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা নেয়।
সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহায়ক পদে চাকুরী প্রত্যাশী সোহাগ মিয়া বড় ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি তাকে বিশ্বাস করে তিনজনের চাকুরীর জন্য ২২ লাখ টাকা দেয়,টাকা ও চাকুরী ফেরত না দেওয়ায় থানায় জিডিও করেছি।
নির্বাচন কমিশন অফিসে চাকুরী প্রত্যাশী মাইনউদ্দিনের পিতা আমীর হোসেন জানান, তার ছেলেকে নির্বাচন কমিশন অফিসে চাকুরী দিবে বলে ২ লাখ টাকা নিয়েছে নজরুল, কিন্তু চাকরী কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত দেয়নাই।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকুরী প্রত্যাশী জনির মামাতো বোন তাসলিমা আক্তার জানান, উপজেলার মালাই গ্রামের তার মামাতো ভাই জনিকে মন্ত্রণালয়ে চাকুরী কথা বলে তার স্বামী মোহাম্মদ আলীর নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আর দেখাই করে না।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম টাকা লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করে বলেন আমার অনুষ্ঠানকে বানচাল করতে অপু ও সোহাগ মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, এশিয়ান টিভির ১০ম বর্ষপূর্তির কেক কাটা অনুষ্ঠানের পাশে হামলার ঘটনায় দুইজনকে সন্দেহ ভাজন ভাবে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনার তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্যেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে রসুল্লাবাদ বাজারে এশিয়ান টিভির ১০ম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটার অনুষ্ঠানের মঞ্চের পাশে পাওনাদাররা ইসমাইলকে আটক করে মারধর করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’