অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ৩ এপ্রিল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে এ সহযোগিতা চান তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাকিদের ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। আমি চাই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীন সহায়তা করুক।’
নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল এতোদিন অবহেলিত ছিল। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো সরকারই এ এলাকার উন্নয়নে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
ইয়াও ওয়েন শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র এবং সন্মানী বিতরণ করা হয়েছে । আজ ২৬ আগস্ট শনিবার বেলা ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সনদপত্র বিতরণ কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
একাডেমি মোড়স্থ বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে থেকে এ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সনদপত্র বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন সং¯হার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেসমিন জাহান মুন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুলাহ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড সাইফুল হক।
প্রধান অতিথি এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর এমপি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে । এই কারনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক বিপুল আশরাফ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রফিক রহমান, জামান আকতার, রিফাত রহমান, এ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ, আব্দুস সালাম, জামান আকতার, হামিমুজ্জামান সুমনসহ অনেকে।
যেসব শিক্ষার্থী দুই মাসব্যাপী কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিক্স কোর্স সফলভাবে শেষ করেছেন তাদের হাতে সনদপত্র ও সন্মানী তুলে দেন অতিথিরা। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কম্পিউটার ৪ ব্যাজে ১২০ জন ও ড্রাইভিং এ ২ ব্যাজে ৬০ শিক্ষার্থী সনদপত্র গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মিরপুর অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের (মটস) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এসময় স্পিকার মটসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ আজ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তরুণ ও যুব সমাজের পেছনে তাকানোর আর সময় নেই।
তিনি বলেন, মিরপুর অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের ৫০ বছরের পথচলায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে পুষ্পিত, পল্লবিত ও বিকশিত হয়ে প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কারিতাস বাংলাদেশ অবদান রেখেছে। যার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে মটস, যা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যারা এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করছে তাদের শতকরা ৯৫ শতাংশই সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন সুযোগকে তরুণ সমাজের কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে-উপজেলায় আজ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে, যারা বাড়িতে বসে কম্পিউটারে কাজ করে উপার্জন করছে। এভাবেই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।
সেবাস্টিয়ান রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, জুয়েল আরেং এমপি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও খুলনা ডায়োসিসের বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী, ঢাকা আর্চ ডায়োসিসের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডিরোজারিও, আখিলা ডিরোজারিও, আর্চবিশপ বিজয় এন ডিক্রুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মটসের পরিচালক জেমস গোমেজ ।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ধনবাড়ী উপজেলার নল্লা বাজার নামক স্থানে আজ ৩০ মে মঙ্গলবার ভোর রাত ২টার দিকে একটি পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে একটি বাড়ির ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবা-মা-মেয়েকে চাপা দিয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই মা ফুল রানী দাস(৪২) ও মেয়ে রাধিকা রানী দাসের(১২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাবা গনেশ চন্দ্র দাসকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতরা ধনবাড়ী উপজেলার নল্লা গ্রামের বাসিন্দা। ঘাতক পিকআপভ্যানটিকে আটক করেছে পুলিশ।
ধনবাড়ী থানার (ওসি) এম জসিম উদ্দিন জানান, সোমবার দিনগত গভীর রাতে একটি পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে নল্লা গ্রামের একটি বাড়ির ঘরে ঢুকে পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় উল্টে যাওয়া পিকআপভ্যানের চাপায় মা ও মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় বাবা গনেশ চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হয়। আহত গনেশকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে, সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে, এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে।
তিনি বলেন, সকল পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন, সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন, কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোনো আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।