চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের ফিরোজিয়া হাফিজিয়িা মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান করা হয়েছে। আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা মাদরাসা মসজিদে পাগড়ী প্রদান করা হয়।.
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও মাদরাসার দাতা মোঃ নাছির চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মূফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম, ইমাম ও প্রধান শিক্ষক হাফেজ মোঃ ইয়াইয়া মাহমুদ।
এসময় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ প্রধান শিক্ষক এবিএম ছালেম,সদস্য হাজী আলামিন চৌধুরী,ইলিয়াছ মিয়া,প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিমসহ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ,শিক্ষার্থী ও মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসার ৩ জন হাফেজ মো: জাকির হোসেন,হাফেজ মো: আবুল খায়ের ও হাফেজ মো: রাকিবুল ইসলামের মাথায় পরিধান করান মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মূফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন পূ্জামণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান।
৫ অক্টোবর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা দত্তবাড়ি পূ্জামণ্ডপ এবং আন্দ্রাবহর পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শকালে পুলিশ সুপার মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী সাথে আলোচনা করেন এবং দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
এসময় নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা সমিতি-ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যাংকার সৈয়দ মো. সফিন (সাফিন) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহনেয়াজ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. কাওছার মিয়া, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাফাত মোর্শেদ শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল করিম (গরিবুল্লাহ সেলিম), আবু কাওছার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মুনির, অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, অ্যাডভোকেট মহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পারভেজ ও আলী আশফাক রবিন, দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন (নাসির), শিক্ষা সম্পাদক জিয়াউল করিম (সুহেল) প্রমুখ।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্বের এড-হক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির বাকী পদগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন পরিচালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত পরাজিত প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় মামলা হয়েছে।
গত রোববার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নাসিরনগর থানায় এই এজাহার দায়ের করেন। যা নাসিরনগর থানার মামলা হিসেবে রজু করা হয়। এজাহারে বলা হয়, গত ২২শে ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এতে ওই ব্যক্তি (ফরহাদ হোসেন) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর বিধান এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১১ বিধির বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছেন। বর্নিত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীন এজাহার দায়ের করার জন্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম)কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে গত ১১ই জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে উপ-সচিব (আইন) মোঃ আব্দুছ সালাম এক চিঠিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে এজাহার দায়ের করার নির্দেশ দেন। ওই চিঠিতে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন প্রেরণের উল্লেখ করে বলা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এর আগে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেনকে ‘তলব’ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে ‘চেয়ারম্যানের নাম শুছে দিতে চান এম.পি, হাত ভাঙার হুমকি আওয়ামী লীগ নেতার’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে সেটির সূত্র ধরে তাকে তলব করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। পরে খবরটি স্থানীয় দৈনিকসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তলব করার পর তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারি জজ ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হকের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা বলেন, রবিবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দেয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হকের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে ফরহাদ হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর প্রদত্ত বক্তব্যের খন্ডিত অংশের বিকৃত করে মিডিয়া কুচক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত জবাবে তিনি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেন।
লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, তার বক্তব্যের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডের কারণে তার নাম জনগণের হৃদয় থেকে মুছে যাবে বুঝিয়েছেন। তিনি কাউকে কোনো প্রকার হুমকি প্রদান করেননি। পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে নেয়া নির্বাচনী তদন্ত কমিটির পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। পত্রিকার রিপোর্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিধায় কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি চান তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা (কলার ছড়ি প্রতীক) আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের কাছে।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক) ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বি.এম. ফরহাদ হোসেন-(নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বিভিন্ন অভিযোগে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিত রায়সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ও ডাক্তারের সদন না থাকা এবং অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় ভলাকুট মডেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন তালুকদার ও শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে এক লাখ টাকা ও সনদ না থাকায় ডাক্তার আব্দুল মতিনকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাতেন জানান, এটা শুধু নামেই মডেল ডায়াগনিস্টিক সেন্টার। ভিতরে কিছুই নাই। সেজন্য আজকে জরিমানা করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার হন। ভুল চিকিৎসাসহ নানা হয়রানি প্রতিরোধে জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরের আবদার মেয়ের জামাইকে আসতে হবে হেলিকপ্টারে চড়ে। যেই কথা সেই কাজ। জামাইও শ্বশুরের আবদার রাখতে এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে।
এমন ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকূট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেতে আসা মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম তালুকদার একই উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের শিশু মিয়া তালুকদারের ছেলে। সৌদি আরব প্রবাসী ওই বর একজন ব্যবসায়ী।
মেয়ের বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জামাইয়ের কাছে এমন আবদার করেন কনে রোমা আক্তারের বাবা সাবেক মেম্বার আরাফাত আলী।
এদিকে হেলিকপ্টারে বিয়ে হওয়া নবদম্পতিকে দেখতে ভিড় করেন শত শত উৎসুক জনতা। উপচেপড়া মানুষের ভিড় সামলাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে পুলিশ।
বিয়ের পর বিকালে আব্দুল হাকিম নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গোয়ালনগর মাঠে অবতরণ করেন।
কনের বাবা আরাফাত আলী জানান, মেয়ে আমার সন্তানদের মধ্যে বড়। আমার আদরের রাজকন্যাকে নিতে হবে হেলিকপ্টারে করে, এটা আমার চাওয়া ছিল। জামাই আমার আবদার রেখেছে। এজন্য আমি অনেক খুশি। আমার মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
বিয়ের দাওয়াতে আসা ও চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল হক তালুকদার বলেন, বর-কনে উভয়েরই হাওর এলাকায় বসবাস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এসব এলাকায় হেলিকপ্টার তো দূরের কথা চার চাকার গাড়িই দেখা যায় না। এজন্য মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সৌদি প্রবাসী বর আব্দুল হাকিম জানান, মেয়ের বিয়ের দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে আমার শ্বশুরের ইচ্ছা ছিল জামাই যেন হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে আসেন। আমারও ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করব।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।