চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দেড়শ সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘সহায়’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এসব ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাদা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
সহায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন ইমন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিকালে অসহায় মানুষদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে একদল তরুণ সহায় সংগঠন গড়ে তুলেছিল। সংগঠনে জড়িতরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়। এছাড়া প্রতিবছর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করে থাকে। এই তরুণদের দেখে বিত্তবানদের অনুপ্রাণিত হয়ে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত।
পরে আলোচনা শেষে দেড়শ অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল সিদ্ধ চাল, পোলাও চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, সেমাই ও কনডেন্সড মিল্ক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পক্ষের আলামিন, একই গ্রামের মিজান আনসারির সাহেব বাড়ি পক্ষের মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস জানান, ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১শত কেজি গাঁজাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট থেকে ১টি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সুরুজ মিয়া (৩৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাসনপুর গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।
এছাড়াও অপর আরেকটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর নামক এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সানু মিয়া (৬০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয় ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। ৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে টি,এ রোডস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমনের সঞ্চালনায় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সহ সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী,কার্যরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে ফুলেল অভিনন্দন জানান হয়।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আ ফ ম কাউসার এমরান, অর্থ সম্পাদক মোঃ আশিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম।
এ সময়ে বক্তারা দুই সংগঠনের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখা এবং পরষ্পরের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সব শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সহধর্মিনীর রুহের মাগফেরাত কামনায় ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামির আশু রোগ মুক্তি কামনায় সহ সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে শিক্ষার্থী পায়ে হেঁটে প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের এক দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনকে ‘আমাদের জননী’ বলে সম্বোধন করে বদলির আদেশ বাতিলের দাবি জানান। তারা বেলা সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৫০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ও সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যাপীঠ জেলার গর্ব। গত ১৫ বছর ধরে এটি ইতিহাসের স্বর্ণযুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই স্বর্ণযুগের সূচনা ও পরিচালনার কারিগর প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগে বিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলার কোনো তোয়াক্কা করা হতো না। যোগদানে পর থেকে বিদ্যালয়ের সেই পরিবেশের পরিবর্তন এনেছেন ফরিদান নাজমীন। এই বিদ্যালয় নিয়ম শৃৃঙ্খলার বিষয়ে অন্য বিদ্যালয়ের কাছে আদর্শ। একজন মা যেমন তাঁর সর্বোচ্চটা দিয়ে নিজের সন্তানকে আগলে রাখেন তেমনি তিনিও একইভাবে শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়কে আগলে রেখেছেন। তাঁর ভূমিকায় অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রায় প্রতি বছর ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে’ শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এবং ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে’, ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’, ‘শিশু পুরস্কার’ এর মতো জাতীয়ভাবে আয়োজিত জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে মেধা ও গৌরব অর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান গণিত ও কম্পিউটার, ২০১৬ সালে মোতাকাব্বির বিন মোতাহার বাংলাদেশ ও ইতিহাস বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে প্রধান শিক্ষকের বদলির আদেশ বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বড় ম্যাডাম না থাকলে এই বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও শিক্ষার মান ধসে পড়বে। জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে ম্যামের থাকা অত্যাবশ্যক।
প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পাসের হার শতভাগ ও সর্বাধিক সংখ্যক জিপিএ-৫ আসে এই বিদ্যালয় থেকে। তিনি না থাকলে এই অর্জনের ধারাবাহিকতা থাকবে না।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) দূর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদা নাজমীনকে হবিগঞ্জ সদরের বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দেশবরেণ্য এই জ্ঞানী গুণীদের আড্ডায় স্থান পেয়েছে সাহিত্যের সমকালীন অনেক বিষয়। সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি। আগামীদিনের করণীয় ইত্যাদি ইত্যাদি। বলছিলাম ২২ নভেম্বর শুক্রবারের এক ভিন্নমাত্রার সন্ধ্যার কথা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডার দারোগা বাড়ি। সেখানেই জন্ম গ্রহণ করেন এই জেলার কৃতি পুরুষ ডক্টর শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। যিনি একজন আপাদমস্তক বিনয়ী মানুষ। সাবেক এই আমলা ভদ্রলোকটিই আয়োজন করেন বিশাল এক সাহিত্যমেলার। আর সেটি তাঁর বাসার বিশাল ড্রয়িংরুমে। উৎসবমুখর এই মিলনমেলায় অংশ নেন, ডক্টর গোলাম কিবরিয়া পিনু, কথাসাহিত্যিক ফরিদ আহমেদ দুলাল, কবি ও সাংবাদিক ফারুক মাহমুদ। আর আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অংশ নেন, কবি ও সংস্কৃতিজন আব্দুল মান্নান সরকার, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, কবি মো. আব্দুর রহিম, কবি-অধ্যাপক মোসলমে উদ্দিন সাগর, কবি এডভোকেট মানিক রতন শর্মা, কবি শাদমান শাহিদ, কবি এড. হুমায়ুন কবীর, কবি ও কথাশিল্পী আমির হোসেন, কবি ও সংগঠক হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, আধুনিক পুতুল নাচের নবসংস্করণের পুরোধা জিয়া আমিন, কণ্ঠশিল্পী আনিসুল হক রিপন, সংগঠক ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া, কবি মাশরেকী শিপার, কবি ও সংগঠক শাহাজাদা জালাল, কবি ও চিত্রশিল্পি কাজী বর্ণাঢ্য, কবি মাসুদ হাসান শিহাব, কবি এসএম ইউনূস, কবি ও ছড়াশিল্পী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সাহিত্য চর্চার জন্য গভীর পর্যবেক্ষণ আর অভিজ্ঞতা দরকার। অবশ্যই নিজস্ব সৃজনশীলতা থাকতে হবে। উদার মানসিকতা না থাকলে উত্তম সাহিত্য বেরিয়ে আসবে না। পুরনো পদ্ধতি ফিরিয়ে এনে তাতে নিজেদের চিন্তার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কল্যাণমুখি সাহিত্যকর্ম বের করে আনতে হবে। তারা বলেন, সাহিত্যের জন্য এখন আর রাজধানী আর মফসল শব্দ গুলো অনিবার্য নয়। কারণ প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ঢাকা যা মফসলও তা। তাছাড়া এদেশের অনেক বিখ্যাত লেখক বেরিয়ে এসেছেন মফসলে থেকেই। তারা নিজের কাজটি কাজের মতো করেছেন। মুল কথা সাহিত্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। কাজ করতে হবে। কাজের মূল্যায়ন হবেই। সভায় বাংলা সাহিত্যের বেশ কয়েকজন প্রবাদ পুরুষকে নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রসঙ্গত: মনোজ্ঞ এই আড্ডার শুরু থেকে শেষ অবধি হরেক রকমের ভর্তাসমেত শীতের বাহারি পিঠা, কলা আর চা পরিবেশন অব্যাহত ছিলো।