চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ রুবেল মিয়া (৩০) ও বাদশা মিয়া (২৬) নামের দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানা পুলিশ।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বাড়িউড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশাটিও।
পুলিশ জানায়, শনিবার গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে এস আই মো. ফারুক হোসেন ও এএসআই রুবেল আখন একদল পুলিশ নিয়ে মহাসড়কের বাড়িউড়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে তারা মহাসড়কের উত্তর পাশে কালু মিয়ার খাজা গরীবে নেওয়াজ ষ্টোর এর দক্ষিণ পাশের রাস্তার উপরে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটক করে তল্লাশি চালায়। সিএনজি থেকে ১৪ কেজি উদ্ধার করেন। সেই সাথে সিএনজি’র যাত্রী ২ মাদক ব্যবসায়ি রুবেল ও বাদশাকে গ্রেফতার করেন। রুবেল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামের প্রয়াত তৌহিদ মিয়ার ছেলে। আর বাদশা কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রামশংকরপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।
তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য ১ লাখ ১২ হাজার টাকা। মাদক ব্যবসায়ি রুবেল জানায়, গত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে এই রোডে মাদক পাচারের ব্যবসা করে আসছে সে। এক চালান পাচার করতে পারলে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত ২ ব্যক্তি পেশাদার মাদক ব্যবসায়ি। মাদকের সাথে কোন ধরণের আপোষ নেই। মাদক কারবারী ও সেবনকারীদের বিরূদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এবং এ ব্যাপারে আমরা সব সময় কঠোর অবস্থানে আছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, শেখ হাসিনা মনে করেছিল কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু তাকে বিদায় নিতে হয়েছে এক কাপড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বিএনপি নেতা কর্মীদের গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়ে হিসাব রাখত। মূলত বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ।
৩১ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেশে বন্যায় দুর্গতদের জন্য আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহজাদাপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়া করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করেছিলেন। তাই বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার আর কোন জায়গা হবে না। এদেশের মাটিতে ফিরতে পারবে না তার সমুচিত জবাব দিবে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর যাবত ধৈর্য ধরেছে এবং আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। তারেক রহমান রাজার বেশে দেশে আসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ গঠনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের পথ অনুসরণ না করে হিংসা, গুম, খুন, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্ব মুক্ত দেশ গঠনে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু মিয়া খাদেমের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আক্তার হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান জুমনসহ ইউনিয়ন বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে সম্পদে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির টানা দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। আর বার্ষিক আয়ে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান আলম। চার বছরে জিয়াউল হকের বার্ষিক আয় কমলেও নিজের নামের পাশাপাশি স্ত্রীর নামে সম্পদ প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ, স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম।
হলফনামা অনুযায়ী, পাঁচজনের মধ্যে তিনজন প্রার্থী উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের মধ্যে শাহজাহান আলম এমবিএস (মাস্টার্স ইন বিজনেস স্টাডিজ), আবদুল হামিদ ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা এলএলবি পাস। রাজ্জাক হোসেন উচ্চমাধ্যমিক ও জহিরুল ইসলাম স্বশিক্ষিত।
নৌকার প্রার্থী শাহজাহান আলমের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি পেশায় শিক্ষক। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএস পাস। আশুগঞ্জ উপজেলায় নিজের প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তিনি। ২০১৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তাঁর নামে দুটি মামলা ছিল। তবে দুটি মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
হলফনামা অনুযায়ী, শাহজাহান আলমের বার্ষিক আয় ১১ লাখ ২৩ হাজার ১১৬ টাকা। তাঁর নিজ নামে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৬২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩২ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। নিজ নামে সোনা আছে ২০ তোলা। নিজ নামে ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৭ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ১২ লাখ ৯৬ হাজার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে তিনি ১৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
জিয়াউল হক মৃধার পেশা আইনজীবী। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে মামলা হলেও তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যাহার করা হয়। হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল বড় ছেলের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৩১ হাজার ১২ টাকা দেখিয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩১ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ২২ লাখ ১৭ হাজার ৬৩১ টাকা কমেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে জিয়াউল হক মৃধার বর্তমানে নিজ নামে সরাইল ও রাজউকের পূর্বাচলের নিউটাউনে ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৫৭৯ টাকার সম্পত্তি, স্ত্রীর নামে ১৬৩ শতক জমি ও যৌথ মালিকানায় ৯ একর ৫০ শতক জমি আছে। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে নিজ নামে ৪৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি ল্যান্ডক্রুজার প্রাডোসহ ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৯ টাকার সম্পত্তি আছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৭ ভরি সোনাসহ ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৮ টাকার এবং নির্ভরশীলদের নামে ৩৫ ভরি সোনাসহ ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকার সম্পদ আছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পেশায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কৃষি ও অন্যান্য খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ হাজার ৯৬ হাজার ২০০ টাকা বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ব্যবসা থেকে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তাঁর নিজ নামে ৩০ লাখ ২৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। নিজ নামে সোনা আছে ৪০ ভরি ও স্ত্রীর নামে আছে ৩৭ ভরি। সরাইলে তাঁর ১০ বিঘা কৃষিজমি ও দশমিক ৪৫ শতক অকৃষিজমি আছে। আর স্ত্রীর নামে ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকার অকৃষিজমি আছে বলে হলফনামায় লেখেন তিনি।
জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুলের নামে মামলা নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাঁর নিজ নামে ২৬ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। তাঁর নামে ৩০ শতক কৃষি জমি ও আধা পাকা টিনশেডের দুই কোঠার একটি দালান আছে।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেনের নামে মামলা নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। তাঁর নিজ নামে ২৮ লাখ ৭ হাজার ৭০০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে তাঁর নামে ৩০ শতক কৃষিজমি আছে। তাঁর ১২ লাখ টাকার ব্যাংক লোন আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান। এতে আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ৪০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ ২ মার্চ রবিবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরাইল উপজেলা প্রশাসন, সদর ও সরাইল থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এ অভিযানের অংশ নেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার বেলা ১১টা থেকে পৌনে একটা নাগাদ বিশ্বরোড এলাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় বুলডেজার দিয়ে ও শ্রমিক লাগিয়ে অন্তত ৪০টির মতো দোকান গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় নতুন করে যেন আর দোকান না উঠানো হয় এ বিষয়ে স্থানীয়দেরকে সতর্ক করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন, সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মামুন রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীর পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ ৩১ জুলাই বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী সাগরিকা পরিবহনের একটি বাস সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটিতে ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। আর অটোরিকশাটিতে ছিলেন চালকসহ ছয়জন।
এ ঘটনায় মাহমুদা বেগম নামের অটোরিকশার এক নারী যাত্রীর ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মাহমুদার শাশুড়ি আরজুদা বেগম (৩০), ভাশুর জজ মিয়া (৪২), অটোরিকশার অপর দুই যাত্রী আশেদা বেগম (৫০) ও সামিউল হক (১৮) এবং অটোরিকশার চালক (তাঁর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি)। তাঁদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বাসের অন্তত ১৫ জন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সান্যাল ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।