চলারপথে রিপোর্ট:
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষে থেকে শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্লাস রুমে ঈদ সামগ্রী হিসেবে চাল, আলু, পেয়াজ, সেমাই, চিনি বিতরণ করা হয়।
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, উপজেলা ঠিকাদার সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম খন্দকার (সেলু), উপজেলা জাতীয় জাতীয় পার্টির সভাপতি হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ আলী, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রভাত প্রতিনিধি আবেদুর আর শাহীন, আমাদের সময় প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর মিয়া, এশিয়ান টেলিভিশন প্রতিনিধি আল মামুন খান, কালেবেলা প্রতিনিধি নারায়ণ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি মোঃ রিমন খান, ভোরের দর্পন প্রতিনিধি মাহবুব খন্দকার, অগ্রসর প্রতিনিধি ফাইজুল কবির, যায়যায় কাল প্রতিনিধি পারভেজ, দেশের কন্ঠ প্রতিনিধি শরীফ বক্সসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ (৩০) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আরো দুজন আহত হয়েছেন।
আজ ১৮ নভেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বৈশামুড়া নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গোপী কান্ত নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লুটিয়া গ্রামের গোবিন্দ ঘোষের ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সিলেটগামী মামুন স্পেশাল পরিবহনের বাস সরাইলের বৈশামুড়া এলাকার রাস্তায় উল্টে যায়। এতে বাসের তিন যাত্রী আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর গোপী কান্তকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। দুর্ঘটনার পর বাস রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১ মার্চ শুক্রবার বাড়িতে এসে মায়ের সাথে দেখা করার কথা ছিলো সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছারের। ছেলেকে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন মা। ছেলেকে খাওয়ানোর জন্য বাজার সদাই করে প্রস্তুত ছিলেন মা। কাউছার বাড়িতে ফিরেছেন। তবে জীবিত নয়। লাশ হয়ে। স্ত্রী, তিন সন্তানও কাউছারের নিথর দেহের সঙ্গী হয়ে ফিরেছেন। মায়ের সাথে ছেলের শেষ কথা না শোকে পাথর হয়ে আছেন কাউছারের মা। বাড়ির পাশের কবরস্থানে তখন চলছে এক সারিতে পাঁচটি কবর খোঁড়ার কাজ। আঙ্গিনায় রাখা আছে ৫টি খাটিয়া। আগত লোকজন বলছেন জীবনে কখনো এই গ্রামে এক সাথে পাঁচ কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখিনি। আল্লাহ তাও দেখাইলেন। শুক্রবার বিকেলে সাইরন বাজিয়ে লালবাতি জ্বালিয়ে ৫ লাশ নিয়ে ৪ এম্বোলেন্স প্রবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুর গ্রামে। ওদিকে কাউছারসহ পরিবারের ৫ সদস্যের আকস্মিক নির্মম মৃত্যুর সংবাদে শোকে পাথর হয়েছিল গোটা শাহবাজপুর ইউনিয়নের নারী পুরূষ। তারা অশ্রুসিক্ত নয়নে ঘেরাও করে ফেলে লাশবাশী গাড়ি গুলোকে। অঝরে কান্না ও আর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে ওই গ্রামের পরিবেশ। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নির্মম ভাবে মারা গেছেন, স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ ইতালি প্রবাসী কাউছার। বেইলি রোড ট্রেজেডির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও আলোচিত মর্মান্তিক ঘটনা হচ্ছে কাউছানসহ এক পরিবারের ৫ জন নিহতের ঘটনাটি।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সরাইলের শাহবাজপুর খন্দকার পাড়ার প্রয়াত সৈয়দ আবুল কাশেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন। এলাকায় তিনি সবার কাছে কাউছার নামেই পরিচিত ছিলেন। কাউছার দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে থাকেন। সেখানে তিনি ব্যবসা করতেন। তাঁর পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করতো ঢাকার মধুবাগে। কাউছারের স্বপ্ন ছিল পরিবারের সকলকে নিয়ে ইতালিতে সেটেলড হবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলছিল। কিন্তু বাস্তবে রূপ নেয়ার মূহুর্তে সব তছনছ হয়ে গেল। গত প্রায় ২ সপ্তাহ আগে কাউছার দেশে এসেছিলেন। কারণ পরিবারের সবার ইতালির ভিসা হওয়ার কথা ছিল। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার পরিবারের ৫ সদস্যেরই ইতালির ভিসা হয়েছে। দীর্ঘ সময় প্রতিক্ষার পর কাউছারের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুবই আনন্দিত হয়েছিলেন তিনি। আনন্দে কাউছার পরিবারের সকলকে নিয়ে রাতে ওই হোটেলে গিয়েছিলেন ডিনার করতে। এই ডিনারই যে কাল হবে সেটা তো জানা ছিল না কাউছারের। খাবার শুরূ করার পরই ওই হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ যেন আরেক কেয়ামত। লোকজনের চারিদিকে ছুটোছুটি, আর্তচিৎকার, আহাজারি আর বাঁচার আকুতিতে ভারী হয়ে ওঠে বেইলি রোডের পরিবেশ। অগিকান্ডের লেলিহান শিখা দেখে হোটেলে আটকে পড়াদের অনেকেরই পালস বন্ধ হয়ে যায়। শেষ রক্ষা হলো না ইতালি প্রবাসী কাউছার ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের। একে একে আগুনে পুঁড়ে মৃত্যুবরণ করলেন সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার, তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, দুই মেয়ে সৈয়দা নূর, সৈয়দা কাশফিয়া ও একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন কেড়ে নিল কাউছারের পরিবারের সকল সদস্যের তাজা প্রাণ। ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন তাদের ধূঁলোয় মিশে গেল। কাউছারের স্বজন মো. ফয়সাল বলেন, ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছিল পরিবারটি। ভিসাও হয়েছিল। পরিবারের সকলকে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন অপূরণীয় রয়ে গেল। ওই পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না। গোটা পরিবারের এমন আকস্মিক নির্মম মৃত্যুর সংবাদে শোকে কাতর হয়ে পড়েছে স্বজন পাড়া প্রতিবেশী গ্রাম তথা গোটা শাহবাজপুর ইউনিয়ন। চারিদিকে চলছে আহাজারি। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কাউছারদের খালি বাড়িতে ছুটে আসছেন শতশত নারী পুরূষ। সকলের চোখেই অশ্রু। শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল বলেন, খুবই ভাল মানুষ ছিলেন কাউছার। এমন একটি পরিবারের সকল সদস্যের আকস্মিক নির্মম মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না আমরা। শোকে কাতর হয়ে পড়েছে গোটা ইউনিয়ন। শোকাহত হয়ে পড়েছে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ।
৪ এম্বোলেন্সে ৫ লাশ:
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে তাদের লাশ নিয়ে রওনা দেয় নিজ গ্রাম শাহবাজপুরের উদ্দেশ্যে। ঘড়ির কাটায় বিকাল ৩টা ৪০ মিনিট। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুর প্রথম গেইট থেকে বাম দিকে প্রবেশ করছে এক সাথে ৪টি লাশবাহী এম্বুলেন্স। এক সাথে ৪টি গাড়ির হৃদয় বিদায়ক সাইরন আর লাল বাতির জ্বলকানিতে কেঁপে ওঠেছে গ্রামবাসী। কারণ এর আগে এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য দেখে অভ্যস্থ নয় তারা। চারিদিক থেকে নারী পুরূষ ও শিশুরা আসছে গাড়ির দিকে। কেউ কেউ চলে যাচ্ছে কাউছারদের বাড়িতে। বুঝতে বাকি নেই কাউছারদের পরিবারের পাঁচ লাশ এসে গেছে। গ্রামীণ সড়কে মানুষের জটলা। একে একে গাড়ি ৪টি চলে আসল কাউছারের বসতবাড়িতে। বাদ আছন জানাযা। লাশ মসজিদের দিকে নেয়ারও একটা তাড়া। ৫ জনের লাশকে একনজর শেষ দেখা দেখতে শুধু শাহবাজপুর থেকে নয়। পাশের ইউনিয়ন শাহজাদাপুরের দেওড়া শহজাদাপুর ও মলাইশ থেকেও লোকজন এসেছে। এছাড়াও জেলা শহরসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকেও স্বজন ও পরিচিত জন এসেছেন। বাদ আছর অর্থাৎ বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টায় হবে জানাযা। তাই চতুর্দিকে মানুষজন জানাযা করার প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।
প্রসঙ্গত: গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন, তাঁর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, দুই মেয়ে সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর, সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া ও আট বছর বয়সের একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ। তারা পাঁচ জনই ছিলেন ইতালির যাত্রী। রবিবার বাড়ি এসে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ছেলে মেয়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য যাওয়ার কথা ছিল কাউছারের। আগামী ১৮ মার্চ তাদের ইতালি যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্নও করেছিলেন। তাদের বাড়ি সরাইলের শাহবাজপুর খন্দকার পাড়ায়। পারিবারিক কবরস্থানেই তাদের দাফন সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চিত করেন স্বজনরা।
৫ কবর ৫ খাটিয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের সৈয়দ মোবারক হোসেন। তাঁর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, দুই মেয়ে সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর, সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া ও আট বছর বয়সের একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ। তারা পাঁচ জনই ছিলেন ইতালির যাত্রী। আগামী ১৮ মার্চ তারা আকাশ পথে ইতালি যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্নও করেছিলেন। কিন্তু বেইলি রোড ট্রাজেডি তাদের সেই স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। এখন তাদের জন্য উপজেলার শাহবাজপুর নিজেদের কবরস্থানে এক সারিতে খোঁড়া হচ্ছে ৫ টি কবর। বাড়ির পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ৫ টি খাটিয়া। স্বজন আর গ্রামবাসীর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠছে ওই বাড়ির পরিবেশ। কি হৃদয়বিদায় দৃশ্য। শান্তনা দেওয়ার ভাষাও যেন হারিয়ে গেছে গ্রামবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, কাউছারের বসত ঘর ফাঁকাই থাকতো। বলতে গেলে তাদের বাড়িতে লোকজন খুব একটা নেই। সব সময় ওই বাড়িতে বিরাজ করতো সুনসান নীরবতা। বাড়িতে নড়াচড়া করতো কাউছারের চাচাত ভাইয়েরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন জড়ো হতে থাকে কাউছারদের বাড়িতে। কাউছার সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসী। চারিদিকে হ্যাঁ হুতাশ আর চোখের জল। সকলেই জানতে চাচ্ছেন কখন আসবে তাদের মরদেহ। বিভিন্ন জায়গা থেকে সকলেই শুধু পথের দিকে নজর দিচ্ছেন বারবার। জানতে চাচ্ছেন তাদের লাশ বহনকারী গাড়ি কোথায় আছে? কখন আসবে? জানাযা কখন কোথায় হবে? ওদিকে বাড়ির ও গ্রামের লোকজন কাউছারদের পারিবারিক কবরস্থানে এক সারিতে এক সাথে ৫ টি কবর খোঁড়ার কাজ শুরূ করেছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কবর খোঁড়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাড়ির সামনে সারিবদ্ধ ভাবে রাখা হয়েছে পাঁচটি খাটিয়া। দেখলে গা শিউরে ওঠে। আর বাড়ির ভেতরে চলছে স্বজনদের আহাজারি। একই কবরস্থানে এক সাথে ৫ কবরের দৃষ্টান্ত খুব কমই আছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি। তারা বলেন, এই অগ্নিকান্ড শুধু কাউছারের পরিবারকে নয়, আমাদের গোটা ইউনিয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেল।
শোকাহত উপজেলা প্রশাসন:
কাউছারসহ পরিবারের ৫ সদস্যের নির্মম মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছেন সরাইল উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বিকেলে কাউছারদের বাড়িতে যান সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতান। তিনি শোকাহত পরিবারের অন্য সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই সাথে সাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
জানাযায় সহস্রাধিক লোক:
বাদ আছর খন্দকার পাড়া জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হয় ওই ৫ লাশের জানাযা। জানাযায় সাবেক এমপি মৃধাসহ অংশ গ্রহন করেন সহস্রাধিক লোক। পরে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশেই এক সারিতে তাদের ৫ জনকে সমাহিত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সাবেক নেতারা ক্ষোভে রাজপথে নেমে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. উসমান মিয়া, বিএনপি নেতা মো. হোসেন মিয়া, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সদ্য প্রকাশিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক-২ নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র যে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা আমরা মানিনা, মানাবো না। বিএনপি’র এ কমিটিকে পারিবারিক, অরাজনৈতিক, চুর, ডাকাতে ভরা। আপনারা যারা দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন, দীর্ঘদিন কারা বরণ করে এ জাতীয়বাদী দল বিএনপি কে বাঁচানোর জন্য আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে এই বাংলা থেকে বিতরিত করেছি। সেই ভাবে আনিছ ঠাকুর ও তপুর অবৈধ কমিটিকে সরাইল থেকে বিতরিত করব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আনিসুল হক ঠাকুর ও অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই অনুমোদিত কমিটি চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ করে বর্তমান উপজেলা কমিটি। এরপর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি আনিসুল হক ঠাকুরের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই দাবিতে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ও শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আবদুল হাকিম মোতাঈদের ছেলে সুবেল মোতাঈদ (২৫), একই ইউনিয়নের মোঃ আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৪), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ও একই উপজেলার বেঙ্গাডোবা গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মোঃ আনু মিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, শনিবার রাতে উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকা ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মিজান মিয়া আনু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জলিল শাহ’র মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী সুবেল মোতাঈদ ও রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।