চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র লাইলাতুল কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে ৭ এপ্রিল রবিবার এ বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরদিন ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন যথারীতি যাবতীয় কার্যক্রম চালু থাকবে। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পযর্ন্ত টানা ৫ দিন এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খায়রুল আলম বলেন, পবিত্র শবেবরাত, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ৬ দিন বন্ধ থাকলেও এ বন্দর দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক থাকবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রফতানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া প্রকাশ সুজনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে মারধরের এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর সুজন নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটিতে না রাখায় সভাপতির ওপর তিনি হামলা করেছেন।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে বুধবার বিকেলে কাউন্সিলর সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া সাব্বির নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ উঠেনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৭০) সড়ক বাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর সুজনের এক ছোট ভাইসহ কয়েকজন এসে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে গালমন্দ করেন ও টেনে সড়কে নিয়ে আসেন। এরপর কাউন্সিল সুজনসহ অন্যরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। ঘটনার পর মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাসায় চলে যান। কিছুদিন আগে স্থানীয় একটি বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ আলীর বাসায় যান কাউন্সিলর সুজন। এ সময় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কাউন্সিলরের বিতণ্ডা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী নিজেকে অসুস্থ দাবি করে মুখ খুলতে না চাইলেও তার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, কাউন্সিলরসহ ৪-৫ জন লোকজন বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন।
ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে তার পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।
গ্রেফতারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষ্যত’ এই প্রতিপাদ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কিন্ডার গার্টেন মেধা যাচাই (বৃত্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ের মনোরম পরিবেশে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীর তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদিকে, ছোট্ট সোনামণিদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করায় অভিভাবকরাও খুশি। উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে নিজ নিজ সন্তানকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তারা।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এসোসিয়েশনের অন্তর্ভূক্ত ১৩টি স্কুলের ৩২৪ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ ৫টি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ছোট্ট সোনামণিদের মেধার বিকাশ এবং উৎসাহ প্রদান করাই এ পরীক্ষার লক্ষ্য।
অভিভাবক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের সাহস যোগানের জন্য বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছি। পাশ ফেল বড় কথা নয়। বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়াতে পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
হাসিনা বেগম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়াতে পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। সাহস বাড়ে। বৃত্তি পেলে বাচ্চারা আনন্দিত হয়।
আখাউড়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাজিদুল হক দুলাল বলেন, ছোট্ট সোনামনিদেরকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য মেধা বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিশুদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়তে পরীক্ষা সম্পর্কে অভিভাবক ও সচেতন মহলের পরামর্শ চাই। আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষ্যত। আশা করি তারা ভালো করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক আক্তার হোসেন, শেখ মনির হোসেন নিজাম, আক্তার হোসেন, মো. ইয়াছিন, মো. রাজু, মো. মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার তরুণেরা দিন দিন ইউটিউব ও ফেসবুক ভিডিও ব্লগিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আখাউড়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র, যুবক ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজ খুলে কৃষি, মৎস্য, গরুর খামার, ফুল-ফল সবজি, দর্শনীয় স্থান, সাফল্য-সম্ভাবনা, দূর্ভোগ, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগিং করছে।
সাবলিল উপস্থাপনা, ব্যতিক্রম কনটেন্টের কারণে ভিডিওগুলো প্রশংসা পাচ্ছে সবার। এদের মধ্যে কয়েকজন হলো আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন, আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পারভেজ, হীরাপুর গ্রামের শরীফুল ইসলাম আবির, পৌরশহরের নারায়ণপুরের মোঃ কাইয়ুম, খড়মপুরের মেহেদী রহমান মোল্লা ও দূর্গাপুরের মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তাদের প্রত্যেকের শুরুটা শখের বশে। কয়েকজন ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করছে। স্বপ্ন দেখছে আরো ভালো কিছু করার।
‘কৃষকের কথা’র নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে ব্লগিং করেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন। তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও গরুর খাদ্যের ব্যবসা করতাম। নিজেদের মাছের চাষ থাকায় দোকানে রাখতাম মাছের খাদ্যও। শখের ফেসবুকে বশে পুকুরের মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, জমির চাষাবাদের ছোট ছোট ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট করতাম। বন্ধু-বান্ধবের উৎসাহে ২০১৯ সালে কৃষকের কথা ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দেওয়া শুরু করি। প্রায় ৩ বছর পর মনিটাইজেশন পেয়ে ইনকাম পাচ্ছি। এখন ভালো ইনকাম পাচ্ছি। বর্তমানে ইউটিউবে ‘কৃষকের কথা’র ফলোয়ার প্রায় ৯ হাজার। ফেসবুক পেইজের ফলোয়ারের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে জানালেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন।
লিটনের সরল স্বীকারোক্তি শুধু টাকা ইনকামের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষি ও কৃষককে উৎসাহিত করে আনন্দ পাই। চেষ্টা করি বিষয় ভিত্তিক তথ্য এবং পরামর্শ তুলে ধরার জন্য।এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ভিডিও প্রতিবেদন করেছি। একটি ভিডিও সর্বোচ্চ ৪ লাখ ভিউ হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুরুতে তাকে কেউ কেউ নিরুৎসাহিত করেছে। তবে সাব্বির ভূঁইয়া নামে এক প্রবাসী বড় ভাই এবং এক আন্টি (খালাম্মা) তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে জানান লিটন।
প্রাণের আখাউড়া টিভি নামে ফেসবুক পেইজে শিক্ষামূলক তথ্যসহ বিভিন্ন সরজমিনে প্রতিবেদন করেন কলেজ ছাত্র মেহেদী রহমান মোল্লা। তার পেইজের ভিডিও ভালো ভিউ হয় বলে জানান তিনি। শিক্ষামূলক ও দুর্ভোগ-সমস্যা তুলে ধরেন মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তিনি বলেন, দুই বছর ধরে ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দিচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। তিনিও মোটামুটি ইনকাম পাচ্ছেন বলে জানান।
পারভেজ ব্লগে ঢুকে দেখা যায়, কৃষির বিভিন্ন রকম ভিডিও। এছাড়াও রয়েছে দর্শনীয় স্থান ও হাট বাজারে ভিডিও। তার ফেসবুক পেইজের ফলোয়ার প্রায় ২০ হাজার।
ইউটিউবার মোঃ কাইয়ুম নামে বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি ব্লগিং করি। আমার ফেসবুক পেইজে ফলোয়ার ৭ হাজার। ব্লগ দেখে সবাই যখন ভালো বলে তখন খুব আনন্দ লাগে।
ধারাভাষ্যকার সিকান্দার নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে স্থানীয় ক্রিকেট খেলার সরাসরি প্রচার এবং ধারাভাষ্য দেন আল আনিম সেকান্দার।
এ ব্যাপারে আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে সঠিক ব্যবহার করে ছাত্র-যুবারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে এটা খুবই ইতিবাচক। তাদের প্রতিবেদনে মানুষ অনেক কিছু দেখতে ও জানতে পারছে। সঠিকভাবে ডিজিটাল প্লাট ফরম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৯৫টন ভাঙা পাথর আমদানি করা হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগরতলা বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে করে এসব পাথর আখাউড়া স্থলবন্দর আসে।
এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
পাথরগুলো আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড আমদানি করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ পাথরগুলো বন্দর থেকে ছাড়করণের কাজ করবে।
মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক জানান, বন্দর দিয়ে এক হাজার টন ভাঙা পাথর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বাকি পাথরগুলো চলে আসবে। এরপর বন্দর থেকে পাথর ছাড়করণের কাজ শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, গত ১০ জুলাই ভারত থেকে ১০ টন আদা আমদানি হয়েছিল। এরপর আর কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ৯টি ট্রাকে করে ১৯৫ টন ভাঙা পাথর এসেছে। যদিও এদিন ১০টি ট্রাকে করে ২২০ টন পাথর আসার কথা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শুল্ক ও মাশুল পরিশোধের পর পাথর খালাস করবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই হাজার ৭০০ টন চুনোপাথর আমদানি করেছিল এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।