চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে স্বামীর ওপর অভিমান করে শারমিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পূর্বপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শারমিন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে শারমিন আক্তার স্বামী সিরাজুল ইসলামের ওপর অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় স্বামীসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা গৃহবধূ শারমিনকে উদ্ধার করে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ১০ টাকার বিনিময়ে সকল ইফতার সামগ্রী দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্যের সরাইল।
আজ ১৬ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলা সদরের সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক ব্যতিক্রমী ইফতার বাজারের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এই অস্থায়ী বাজার থেকে ১০০টি পরিবার ১০ টাকায় এক কেজি তেল, ছোলা, ছানা, আলু, মুড়ি, খেজুরসহ ৬টি ইফতারের পণ্য কিনতে পেরেছেন।
বাজারে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, পুবের আলো’র নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল হানিফ, সমাজকর্মী রফিক মিয়াসহ, তারুণ্যের সরাইল সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।
১০ টাকায় প্রয়োজনীয় ইফতারসামগ্রী কিনতে পেরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, বাজারে যেখানে ১ লিটার তেলের দাম ১৯০ টাকা সেখানে ৬টি পণ্য মাত্র ১০ টাকায় পেয়েছি। রোজার বাকি দিনগুলো ভালোভাবে কাটবে।
তারুণ্যের সরাইলের সিনিয়র এডমিন রায়হান চৌধুরী অভি বলেন, আমরা এবার এক ব্যতিক্রম আয়োজন করার চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমরা ১০ টাকা মূল্য রেখে বিতরণ করেছি তাই আমাদের এ ইফতার সামগ্রী স্বাচ্ছন্দ্যে সকলেই গ্রহণ করতে পেরেছে। দেশ ও প্রবাসের অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার বলেন, তারুণ্যের সরাইলের কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই তারুণ্যের সরাইল একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জািতক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
৮ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশী তৎপরতায় অল্পের জন্যে হামলার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে দুপুরে আশুগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদান শেষে সরাইল উপজেলা সদরের গরুর বাজার এলাকায় সরাইল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান সভায় যোগ দেন তিনি।
সরাইলের সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি সরাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সরাইলের মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও আপনাদেরকে একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরাইলের মাটি বিএনপির ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি, বেগম জিয়ার ঘাঁটি। সরাইলের মানুষকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা।
এদিকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইলে আসার খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উচালিয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সভা শেষে পুলিশী প্রহরায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়িটি উচালিয়া পাড়া মোড়ে পৌছামাত্র ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গাড়ীটিকে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা ছাত্র ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইল-আশুগঞ্জের কেউ নন। তিনি এই এলাকায় বহিরাগত। তিনি প্রায়ই সরাইল এলাকার এসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন। পাশাপাশি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তার প্রতিবাদে আমরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। আগামীদিনেও একইভাবে তার মিথ্যাচারকে প্রতিহত করা হবে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে ধর্ষণ, অপহরণ, মাদক উদ্ধার, মানব পাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নরহত্যাসহ যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তার কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সে তার নানার বাড়ী নোয়াগাঁও (রাজু খার বাড়ী) হতে প্রতিদিন মাদ্র্রাসায় আসা যাওয়া করত। আসামী কৃষ্ণ কর্মকার নোয়াগাঁও গ্রামের জনৈক শাহিন এর ফার্মেসিতে কাজ করত। ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তার মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে আসামী কৃষ্ণ কর্মকার তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করতঃ প্রেমের প্রস্তাব দিত। ভিকটিম আসামী কৃষ্ণ কর্মকারের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বাড়িতে তার পিতাকে ঘটনা জানালে তার পিতা আসামী কৃষ্ণ কর্মকারকে সাবধান করে। তারপরেও আসামী কৃষ্ণ কর্মকার ভিকটিমের সাথে কথা বলে নানাভাবে প্রলোভন দেয় এবং আসামীর কথা না শুনলে সে ভিকটিমকে সমাজে কলঙ্কিত করার হুমকি দেয়। আসামী কৃষ্ণ কর্মকারের ভয়ে ভিকটিম ঘটনার আগের দিন নোয়াগাঁও হতে তার নিজ বাড়িতে চলে আসে। ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে গত ১৬ মার্চ ভোর অনুমান ৫টায় কৃষ্ণ কর্মকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ও প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ ফারুক মিয়া (৪০) বাদী হয়ে গত ৩০ মার্চ সরাইল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৭/৫৮, তারিখ-৩০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৭, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)। আলোচিত এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরণকারী কৃষ্ণ কর্মকারকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গত ৩১ মার্চ ৮টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট থানাধীন বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরণকারী কৃষ্ণ কর্মকার (২৬), পিতা- চিত্ত কর্মকার, সাং- ধিতকুরা (কর্মকার পাড়া), থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে, গ্রেফতারকৃত আসামী ও ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার মামলা নং-১৭/৫৮ তারিখ-৩০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৭, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে রাফি নামে এক পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত পাঁচ বছরের শিশু সাফি উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের প্রবাসী ফয়েজ মিয়া ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সে বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। কোথাও না পেয়ে পরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে খালের পানিতে ভাসতে দেখেন শিশু রাফিকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সরাইল উপজেলা এলজিইডির অধীনে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি ৩ এর মহিলা কর্মীদের মাঝে জরুরী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঞা উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এলজিউডির প্রধান প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গ্রামের অতিদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠী কে কর্মসংস্থান এর আওতায় আনা এবং তাদের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ করে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো আবদুল মান্নান এর কর্মতৎপরতায় আজকে সরাইল উপজেলার ৯০ জন নারী উপকার ভোগীর মাঝে পিপিই, প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সহ ফাষ্ট এইড বক্স, মাটি কাটার ঝুড়ি, কোদাল, দা, দুরমুজ, কাজের সময়ে পানি খাওয়ার কলস বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন বর্তমানে যে প্রকল্প চলছে তা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণে সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে হবে। তাহলেই রাস্তা টেকসই হবে এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দশ জন করে অতিদরিদ্র মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের দারিদ্রতা দূর করছেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মো: আবদুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী, মো: এসকান্দর আলী উপজেলা সার্ভেয়ার সহ এলজিইডি সরাইল উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।