চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে স্বামীর ওপর অভিমান করে শারমিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পূর্বপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শারমিন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে শারমিন আক্তার স্বামী সিরাজুল ইসলামের ওপর অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় স্বামীসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা গৃহবধূ শারমিনকে উদ্ধার করে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সরাইল উপজেলা এলজিইডির অধীনে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি ৩ এর মহিলা কর্মীদের মাঝে জরুরী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঞা উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এলজিউডির প্রধান প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গ্রামের অতিদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠী কে কর্মসংস্থান এর আওতায় আনা এবং তাদের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ করে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো আবদুল মান্নান এর কর্মতৎপরতায় আজকে সরাইল উপজেলার ৯০ জন নারী উপকার ভোগীর মাঝে পিপিই, প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সহ ফাষ্ট এইড বক্স, মাটি কাটার ঝুড়ি, কোদাল, দা, দুরমুজ, কাজের সময়ে পানি খাওয়ার কলস বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন বর্তমানে যে প্রকল্প চলছে তা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণে সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে হবে। তাহলেই রাস্তা টেকসই হবে এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দশ জন করে অতিদরিদ্র মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের দারিদ্রতা দূর করছেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মো: আবদুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী, মো: এসকান্দর আলী উপজেলা সার্ভেয়ার সহ এলজিইডি সরাইল উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন। এ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের ১৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আজ ৮ অক্টোবর রবিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। ফলে সভার দিকে তাকিয়ে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করলে গত ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এই আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়ন চেয়ে ফরম সংগ্রহ করেছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আশীষ কুমার চক্রবর্তী, সরাইল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাহ মফিজ, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছফিউল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তানবির হোসেন (কাউসার), প্রয়াত এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় যুব কমান্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ও সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল মিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া দলীয় সিদ্ধান্তে গত বছরের ডিসেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকেও পদত্যাগ করে নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে সারাদেশেই আলোচিত হন আব্দুস সাত্তার। এ ঘটনায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তবে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য হন সাত্তার।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন আগামী ১১ অক্টোবর। এরপর যথাক্রমে মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর, মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের ব্যনারে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বরে প্রবেশের প্রধান সড়কে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন হয়।
সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সরাইল এর হিসাবরক্ষক মোঃ আবুল হাসেম ভূঁইয়া এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, জমিয়তুল মোদাররেছিন বাংলাদেশ এর সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি ও সরাইল রাহমাতুল্লিল আলামিন দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আবু আক্কাছ হায়দার, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন, সামসুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন আর রশিদ ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ফরাস উদ্দিন।
মানববন্ধন শেষে মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া এর নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মাসুদুর রহমানসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, এলাকার সুধীজন, অভিভাবক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চার-পাঁচ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএসও’কে শক্তিশালী করতে মিতালী উপলব্ধি ও মেঘনা নামক তিন স্বেচ্ছাসেবক সংঘটনকে নিয়ে পিফরডি প্রকল্পের সহায়তায় মাঠে কাজ শুরু করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। ৩ বছর কাজ করার পর জেলা শহরে গড়ে ওঠে ‘জেলা পলিসি ফোরাম’ (ডিপিএফ)। এক সময় প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ শেষ হলেও থামেনি ডিপিএফ। নিজস্ব ও স্থানীয় দাতাদের অর্থায়নে দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে নানা সামাজিক কর্মসূচি। এসব কাজে বরাবরই ‘র্যাপ’-এর সহায়তা উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ডিপিএফ’র উদ্যোগে ও ‘র্যাপ’ নামক এনজিও’র আর্থিক সহায়তায় দিন ব্যাপি ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে উঠান বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয় জেলার চান্দুপুর ইউনিয়নের দু-বাড়িয়ায়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। সূত্র জানায়, দু-বাড়িয়া গ্রামের র্যাপ এনজিওটি মানবিক ও সামাজিক কাজে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। র্যাপ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ভূইয়াও ডিপিএফ-এর সদস্য। ‘বাল্যবিয়েকে না বলি, ঘৃণা করি’ এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারীরা জড়ো হতে থাকে ‘র্যাপ’ অফিসের সামনে। সকাল ১১টার দিকে কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ হয় স্থানটি। অজপাড়া গায়ের দেড় শতাধিক নারীর উপস্থিতির ওই বৈঠকে ছুটে আসেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক। র্যাপ ও ডিপিএফ ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন তাঁকে।
ডিপিএফ’র সদস্য এস.এম শাহিনের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিএফ’র সম্পাদক মো. শরীফ উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের সাবেক ডিএফ খোদেজা বেগম, সদস্য মোহাম্মদ মাহবুব খান, মো. আশিকুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির, র্যাপ-এর সদস্য শেফালি বেগম ও জেসমিন আক্তার।
গ্রামীণ পরিবেশে কর্মব্যস্থতার সময়েও মহিলাদের মিলনমেলায় অভিভূত হয়ে পড়েন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। তিনি অত্যন্ত সাবলিল, শ্রুতিমধুর, সহজ-সরল ও হাস্যরসে ভরা ভাষার বক্তব্যে স্বল্প সময়ে মাতিয়ে তুলেন উঠান বৈঠককে। তিনি নিজের মেয়েকে পুত্রবধূ ও পুত্রবধূকে নিজের মেয়ে ভেবে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথি বাল্যবিয়ের কুফল গুলো সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, শিশু ও কিশোরীকে বিয়ে না দিয়ে শিক্ষিত করুন। ফলে সে পরিবার, গ্রাম, দেশ ও জাতীর জন্য সম্পদে পরিণত হবে। আপনার ছেলে মেয়েকে মাদক থেকে দূরে রাখুন। কারণ একটি পরিবারকে চিরতরে ধ্বংস করতে একজন মাদকসেবীই যথেষ্ট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীর পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ ৩১ জুলাই বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী সাগরিকা পরিবহনের একটি বাস সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটিতে ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। আর অটোরিকশাটিতে ছিলেন চালকসহ ছয়জন।
এ ঘটনায় মাহমুদা বেগম নামের অটোরিকশার এক নারী যাত্রীর ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মাহমুদার শাশুড়ি আরজুদা বেগম (৩০), ভাশুর জজ মিয়া (৪২), অটোরিকশার অপর দুই যাত্রী আশেদা বেগম (৫০) ও সামিউল হক (১৮) এবং অটোরিকশার চালক (তাঁর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি)। তাঁদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বাসের অন্তত ১৫ জন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সান্যাল ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।