চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুটি অংশ পৃথক স্থানে পরামর্শ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
সভায় সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরটি সভাটি হয় উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. নুরুল হক ভূইয়া। সভায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত জেলা পরিষদের সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের আহবানে সভাটি হয়। দুটি সভাতেই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথক দুটি সভার ছবি ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আগামী ২১ মে ২য় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২১ এপ্রিল অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ। ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আর মাত্র ৩৫ দিন বাকী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক ডজনের অধিক নেতাকর্মী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসব প্রার্থী থেকে প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে পরামর্শ সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভায় সকল প্রার্থীকে ডাকা হয়। তবে কয়েকজন প্রার্থী ছাড়া বেশির ভাগ প্রার্থী সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থী ও দলীয় নেতারা প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্তর হবে। এসময় দলীয় কার্যালয়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ার প্রার্থী আবুল কাশেম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে অনুষ্ঠিত আরেকটি অংশের সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম হেলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামাল। সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগের দলীয় সভায় উপস্থিত থাকা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল বলেন, সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি পদে একক প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগের প্রার্থী। যেহেতু আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাদের অভিভাবক। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তাই করবো।
জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দেয়নি। সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই আমরা একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ার জন্য পরামর্শ সভা করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। প্রার্থীরা আমাদের আমাদের উপর দায়িত্ব দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী (আইনমন্ত্রী) মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। তিনি যে দিক নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী কাজ করবো।
উল্লেখ্য, প্রায় ২ বছর যাবত উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে কয়েকটি কমিটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যার আর হত্যার। ১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই বিএনপি হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। হত্যার রাজনীতি এবং মিথ্যা কথা বলার রাজনীতি এটাই বিএনপির আদর্শ। ঠিক সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০০১ সালে বিএনপি যখন আবারও ক্ষমতা দখল করে তখন বাংলার জনগণের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ভাই-বোন পরিবার কাউকে তারা বাদ দেয়নি।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সমবেত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ঘটনা সবাই জানেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমতে প্রতিবারই তিনি বেঁচে যান। ২০০৬ সালে বিএনপি প্রহসন করে। এইসবই বিএনপির আদর্শ। তারা এটা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, আমরা র্ধয্যহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু উন্নয়নই দেখে নাই রাজনৈতিক শান্তিও দেখেছে। আমরা এই রাজনীতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জনগণের প্রাপ্য ভোটের অধিকার পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ ২০২৪ সালে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা আবারও প্রমাণ করবে।
এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয় তা নস্যাত করে দেওয়ার আহবান জানান। কেউ যেন জনগনের ক্ষতি করতে না পরে সে জন্য জনগণের পাশে থাকার আহবান জানান।
এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন। এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ে প্রকল্পের রেললাইনে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন শাহানুর সরকার নামে এক ব্যক্তি। তার দাবি, আখাউড়া-আগরতলা নবনির্মিত রেললাইন তার মালিকানাধীন জায়গার ওপর দিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ তাকে জমি অধিগ্রহণের টাকা দেওয়া হয়নি।
তার এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রেলওয়ের প্রকল্পের জায়গা মাপজোখ করে সেখানে শাহানুরের কোনো জায়গা পায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট রবিবার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় সীমান্তের শূন্য রেখার পাশে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন শাহানুর সরকার। তিনি ওই ইউনিয়নের খারকোট এলাকার মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
সেসময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে তার ২৬ শতাংশ জায়গা পড়েছে। এর মধ্যে শিবনগর মৌজায় ১৬৮ দাগের সাড়ে ৮ শতক ও ১৬৫ দাগের সাড়ে ১৭ শতক জমি রয়েছে। এখন ওই জমির ওপরে রেললাইন তৈরির কাজ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি সেই জমি অধিগ্রহণের কোনো টাকা পাননি।
শাহানুর সরকারের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক অবস্থায় ১৪ আগস্ট আখাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী সেই জায়গা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ের সার্ভেয়ার রেললাইন প্রকল্প এলাকা মাপজোখ করেন। সারাদিন মাপজোখ করে অভিযোগকারী শাহানুর সরকারের কোনো জায়গা রেললাইনের ওপর পাওয়া যায়নি।
আখাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার এসেছেন। তারা ভূমি অধিগ্রহণ ও রেললাইনের অ্যালাইনমেন্ট রেফারেন্স ধরেছেন। রাস্তা থেকে তারা মেপে আসছেন। তাদের মাপে প্রতীয়মান হয়, অধিগ্রহণ করা জায়গাতেই রেললাইন হয়েছে। কারও ব্যক্তিগত জায়গায় রেললাইন হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা অভিযোগকারী ব্যক্তিকে বুঝিয়ে বলেছি তার জায়গায় রেললাইন হয়নি। তার যে একটি ভুল ধারণা ছিল, পুরো ম্যাপ দেখে তাকে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। উনি বলেছেন বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। শাহানুর সরকার স্থানীয় এক আমিন দিয়ে জায়গাটি পরিমাপ করিয়েছিলেন। আমরা সেই আমিনকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু গত দুইদিন সময় নিয়েও তিনি আসেননি। শাহানুরকে আমিন কী বুঝিয়েছে, তা আমরা জানি না। তবে শাহানুর সাহেব জানিয়েছেন যে, আমিন তাকে বলেছেন রেললাইন যেখানে হওয়ার কথা ছিল তা সরে গেছে। অথচ মাপজোখ করার পর দেখা গেলো, ভূমি অধিগ্রহণ করা জায়গাতেই রেললাইন হয়েছে। আমিন তাকে যা বলেছিলেন, তা ঠিক না।
তবে অভিযোগকারী শাহানুর সরকার বলেন, উনারা আমাকে ম্যাপ অনুযায়ী আমার জায়গা দিচ্ছেন না। কিন্তু দলিল ও বিএস অনুযায়ী আমার জায়গা অধিগ্রহণে পড়েছে। উনারা এখানে-সেখানে আমার জায়গা দেখাচ্ছেন। আমার আমিন আসেননি। তার বাড়িতে গিয়েও অনেক অনুরোধ করেছিলাম আসতে, তবুও সে আসেননি। তাহলে আমার জায়গা কোথায়? আমি এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় খেলাঘর আসরের নববন্ধন খেলাঘর আসরের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
শিক্ষক অলক কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েলুর রহমান।
সম্মেলনে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রান্তিকা সাহা, হুমায়রা লাবিবা খুশবু ও রুদ্রজিৎ পাল। তাদের বক্তব্যে অচিরেই আখাউড়াতে একটি আঞ্চলিক ক্যাম্প করার দাবি জানানো হয়। এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। আলোচনা শেষে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সভাপতি, দৈনিক ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি কাজী স্বপ্না সিফাত, পরিমল সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান, আশীষ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রুবেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মাসুকুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাহমিনা আক্তার।
কার্যকরি সদস্য হলেন, আশিষ বিশ্বাস, পলাশ সাহা, নাহিদা আহমেদ শিথিলা, বাসুদেব বিশ্বাস, শুক্লা রায়, মোঃ সাগর, প্রানেশ ঘোষ, সাজ্জাদ খান প্রান্ত, দুর্জয় বনিক, মনি দাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৫ মাস বাংলাদেশে বাংলাদেশে আটক থাকার পর দেশে ফিরেছে তিন ভারতীয় নাগরিক।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার বেলা ১১টার সময় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদেরকে ফেরত দেয় জেল পুলিশ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ওই তিন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার মধুপুর থানার দেবীপুর এলাকার রামু দেববর্মা, সুনীল দেববর্মা ও স্বপন দেববর্মা।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমন্ত দিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি তাদেরকে আটক করে কসবা থানায় হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে আদালতে প্রেরন করলে অনুপ্রবেশের দায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
এরপর থেকে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে আইনি পক্রিয়া শেষে দীর্ঘ ৫ মাস পর তাদেরকে আজ ভারতে ত্রিপুরায় ফিরত পাঠানো হয়।
প্রত্যাবাসনের সময় চেকপোস্ট শূন্য রেখায় উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস, এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক, ভারতের আগরতলা পশ্চিম থানার এএসআই মিলন দেববর্মাসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।