চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ২১ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বিএনপি নেতা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু, সমাজসেবক মো: জামাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট মোখলেছুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ভাসানী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি যুবলীগের সাবেক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাজ্জি, মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্য নির্বাহি কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সেলিম খন্দকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সেলিম খন্দকার।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন হানিফ আহমেদ, কাউছার মিয়া, মো: আলতাফ হোসেন, মো: হোসেন মিয়া ও মো: এনাম খান।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন শামীমা আক্তার, আবেদা বেগম, রোকেয়া বেগম ও মো: শিরিনা আকতার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভোটারদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন প্রার্থীগণ। মতবিনিময় সভা করে প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও বসে নেই। নিজ নিজ প্রার্থীতার সমর্থনে জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারাও।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় দুটি ভেকু ও তিনটি ট্রাক্টর জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভেকু ও ট্রাক্টর জব্দ করেছে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে কয়েকটি চক্র ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে পুকুরের মতো কেটে মাটি উত্তোলন করছেন। সে সব মাটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়ে পুকুর ও জলাশয় ভরাট করছেন। তারা ফসলি জমিগুলোতে নষ্ট করে ফেলছেন।
বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ভূমিখোরেরা পালিয়ে যাই। পরে অভিযানে দুটি ভেকু ও তিনটি ট্রাক্টর জব্দ করে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়।
তিনি আরো জানান, এর আগে ধরন্তি বিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা এক জনকে আটক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ধুরন্তি বিলে চলতি মাসে এটি পঞ্চম অভিযান। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার বাড়িউড়া নামক স্থানে মরদেহটি পাওয়া যায়।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সকালে মহাসড়কে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মরদেহ দেখে মনে হয়েছে, হেঁটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কোনো গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ (৩০) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আরো দুজন আহত হয়েছেন।
আজ ১৮ নভেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বৈশামুড়া নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গোপী কান্ত নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লুটিয়া গ্রামের গোবিন্দ ঘোষের ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সিলেটগামী মামুন স্পেশাল পরিবহনের বাস সরাইলের বৈশামুড়া এলাকার রাস্তায় উল্টে যায়। এতে বাসের তিন যাত্রী আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর গোপী কান্তকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। দুর্ঘটনার পর বাস রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে ইমরানা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী-শাশুড়ি। বুধবার রাত ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে স্বামী-শ্বাশড়িসহ ননদ-ননদী পালিয়ে যায়।
ইমরানা বেগম উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন রানীদিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল কাহারের মেয়ে ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ইমরানাকে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এভাবেই দীর্ঘ ১০ বছর সংসার চলে। গত বুধবার বিকালে তুচ্ছ কথাকাটাকাটি নিয়ে শ্বাশুড়ি, ননদ ইমরানাকে মারধর করে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরানা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
লেখক গবেষক ও সাস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সরাইলের কৃতিসন্তান সঞ্জীব কুমার দেবনাথের লেখা ‘স্বরগীতিমালিকা’ গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচিত হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মহান একুশের বই মেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উম্মোচিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, উপলদ্ধির নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য কৌষিক প্রমুখ।
তিতাস গ্যাসের সাবেক কোম্পানি সচিব, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, লেখক সঞ্জীব কুমার জানায়, নিজের লেখা সুর ও স্বরলিপি করা আধুনিক, দেশাত্ববোধক, রাগপ্রধান, গণসঙ্গীতসহ মোট ৭২ টি গানের সমন্বয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় অমর একুশে বই মেলায় বের হয়েছে ‘স্বরগীতিমালিকা’ গ্রন্থটি।
সঙ্গীত শিক্ষাগুরু উস্তাদ আবদুল হামিদকে উৎসর্গকৃত গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন সঙ্গীতগুণি সৈয়দ আবদুল হাদী। প্রকাশনার দায়িত্বে ছিলেন মেলা প্রকাশনীর কর্ণধার এম এস দোহা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মানস দেবনাথ হৃদয়। গ্রন্থটি বই মেলার ‘মেলা প্রকাশনীর’ ৬৮৭ ও ৬৮৮ নম্বর ষ্টলে পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গ্রন্থটিতে স্বরলিপিকৃত ৩ টি গানে সৈয়দ আবদুল হাদী, ৩ টি গানে প্রয়াত সুবীর নন্দী, ২ টি গানে ফেরদৌস আরা এবং ২ টি গানে আলম আরা মিনু কন্ঠ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত: এর আগে সঞ্জিব কুমার দেবনাথের একাধিক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘নীলনদের দেশে’, ‘সঙ্গীত স্বরূপ’, ‘ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পূর্ববাংলা’ ও ‘ভাষা আন্দোলনে সরাইল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’।