চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পহেলা বৈশাখকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
গতকাল ১৪ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, যতদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন পহেলা বৈশাখের মতো আমাদের এই সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আঃ কুদদূস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভাষা ও সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি এস.আর ওসমান গনি সজীব। ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় বিভিন্ন ধরনের পন্য নিয়ে ১৮টি স্টল বসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গনে ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতীয় তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর নির্বাহী পরিচালক এস.এম. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম বাবুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতাস উন্নয়ণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিপনুর রহমান, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ নূরুল্লাহ, সরুয়ারদি মৃধা, এস.এম. মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবসা থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার এবং মোবাইল কোট পরিচালনার মাধ্যমে তামাক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ শেখ মো. হাবিবুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর শুত্রুবার বিকেল ৫টায় কাউতলী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের হল রুমে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. সাদির সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ মো. হাফিজ উল্লাহ হাফিজ।
প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর শহরের পৌর মার্কেটের সামনে জেলা বিএনপির মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় শেখ হাবিবুল্লাহ নিহত হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলাটি চলছিল এবং যারা দোষী তারা প্রমাণিত হয়েছিল, বিচার চলাকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে মামলাটি স্থগিত করে দেয়। আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলার মাটিতে শেখ হাবিবুল্লাহর হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে নির্দেশ দেন মামলাটি সচল করে পুনরায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি সব নেতাকর্মীদের সংযত থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আহবান জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী সরকার যেভাবে পালিয়েছে আমাদেরকেও যেন এমনভাবে পালাতে না হয় এজন্য জণগনের জন্য কাজ করতে অনুরোধ করেন।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান মঞ্জু, এবি এম মমিনুল হক, আলী আজম, মাঈনুল হোসেন চপল, মইনুল ইসলাম, হাসেন আলী, ভিপি লিটন, আলহাজ মনির হোসাইন, মিজানুর রহমান, শামিম মোল্লা, রাশেদ হক, আতিকুল হক জালাল, নাজমুল হুদা সানি, জিয়াউল হক, শেখ আব্দুল্লাহ, ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাসেল সরকার, সোলায়মান হোসেন জুয়েল, মো. মামুন, সোহেল, মো. মুক্তি, এখলাস খাব, মীর রিয়াদ প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ হাবিবুল্লাহর ছোট ভাই শেখ আমানুল্লাহ ন্যায় বিচার পেতে সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘‘নিজেরা অনিয়ম করব না, কাউকে অনিয়ম করতে দেবো না’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৈষম্য ও অনিয়ম বিরোধী নাগরিক সমাজের কমিটি গঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমরেড মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, মো. হুমায়ুন কবীর, আবুল কালাম নাইম, ওমর ফারুক জুন্নুন, শেখ মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য ও অনিয়ম বিরোধী নাগরিক সমাজ নামক একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি নিম্নরূপ: সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক জুন্নুন, সহসভাপতি কানু লাল মজুমদার, হুমায়ুন কবীর, আবুল কালাম নাইম, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্ম কামাল, দপ্তর সম্পাদক সফিউল আলম কাজল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কোহিনুর আক্তার, প্রচার সম্পাদক রুদ্র মো. ইদ্রিস, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক কাজী মইনুল ইসলাম, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মইনুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম পাহলোয়ান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নেহার রঞ্জন সরকার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সোহেল সরকার, বাজার বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ছাদেকুর রহমান এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো. মোরজান মিয়া।
এছাড়াও ২০জনকে সাধারণ সদস্য করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দিতে, সকল অনিয়ম দূর করতে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া শহরের যানজট নিরসন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধসহ পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত রাখতে জনসচেতনতামুলক কাজ করবে এই সংগঠন।
বক্তারা বলেন, আমরা নিজেরা অনিয়ম করব না, কাউকে অনিয়ম করতে দেবো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়ের সাথে আজ ৭ অক্টোবর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, জেলা পজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিতোষ রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্যুৎ বৈদ্য, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সব্যসাচী পাল, আনন্দময়ী কালীবাড়ি ট্রাষ্টি বোর্ডের সভাপতি অরুপ রায়, কাল ভৈরব মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য, ভাদুঘর সাহা পাড়া মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহা, রঘুনাথ জিউর দুর্গা মন্ডপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সন্তোস ঘোষ, রামরাইলের পরিতোষ দেব নাথ প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করারই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা সবাই মিলে মিশে এই উৎসব সম্পন্ন করতে চাই। সকল মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য সকলের অনুরোধ জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্মরণে ব্রাহ্মণবাডিয়া জেলা কমিটির পক্ষ হতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপ পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুল মালেক।
অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ছিলেন আলহাজ্ব অ্যাড. কাজী মাওলানা মোঃ ইসলাম উদ্দিন (দুলাল)।
প্রধান বক্তা ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক জোটের আহবায়ক অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ, আরিফুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, আব্দুর রহমান (বুলবুল), মো: হারুন আল রশিদ, মো: রফিকুল হাসান সোহাগ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাডিয়া সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এম এ মুসা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ শাহ আলম বক্স ও রফিকুল হাসান সোহাগ। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তাগণ মরহুম সাংবাদিক আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জীবন ও কর্মের উপর স্মৃতি চারণ করেন।
মিলাদ ও দোয়া পরিচালনায় হাফেজ মাওঃ ইসহাক আল মামুন।