চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সম্মেলন কক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে এসএসসি ১৯৯৫ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় আনন্দ র্যালি ও প্রিয় বন্ধুদের সাথে মিলিত হতে পেরে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তারা। এ যেন এক অভূতপূর্ব প্রাণের মিলনমেলা। বেলা ১২ টায় পরিচিতি পর্ব, মধ্যাহ্নভোজ, র্যাফেল ড্র, কুইজ প্রতিযোগীতা, আলোচনাসভা, অকালে চলে যাওয়া কয়েকজন মরহুম বন্ধুর স্মৃতিচারণ করে এক মিনিট নিরবতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধানমন্ডি বিসিএসআইআর স্কুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাফর উল্লাহর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহাম্মদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. অবিদ মিয়া, সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নূরুল হক শাহীন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন মনির, অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, ওই ব্যাচের শিক্ষার্থী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আক্তার, ফারুক আহমেদ, নিজাম উদ্দিন জুয়েল, ড. শাহজাদ হোসাইন, জাকির হোসেন, ডাক্তার মাধব চন্দ্র দাস , মনির হোসেন, আল মামুন, খাদিজা আক্তার সাথী, মমতাজ মাহবুব প্রমুখ।
ওই ব্যাচের ৬৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ১৯৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর আমরা স্কুলের বন্ধু-বান্ধবীরা একসাথে মিলিত হয়েছি। জীবনে বাস্তবতা ও সময়ের প্রয়োজনে আমরা প্রত্যেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি। সবার সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ খুব একটা হয় না। আশা করি আগামীতেও আমরা এই পুনর্মিলনীর ধারা অব্যহত রাখেবো। পেট্রো বাংলার ম্যানেজার মো. ফখর উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন পর সবাই একত্রিত হয়েছি। স্কুল জীবনকে ঘিরে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে বেশ ভালো লাগেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নবীনগর পত্রিকার পক্ষ থেকে ১৩টি বিভাগে ২৯জন গুনী ব্যক্তিকে গুণীজন সম্মাননা পদক-২৩ প্রদান করা হয়েছে। প্রজন্ম তিতাস ও মরহুম জহিরুল হক খসরু মাস্টার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর সহায়তায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আশেয়া আমজাদ টাওয়ার মিলনায়তনে এ গুণিজন সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মাননা পদক প্রাপ্তরা হলেন, মুক্তিযুদ্ধ-বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস ছালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজুল আলম (মরণোত্তর), সমাজসেবা- মোশারফ হোসেন মদন মিয়া, সাধন চন্দ দেব (মরনোত্তর), চিকিৎসা-ডা. আমজাদ হোসেন, ডাঃ শান্তি রঞ্জন সাহা (মরণোত্তর), শিক্ষা-শ্যামা প্রসাদ ভুট্টাচার্য, বিমল কান্তি গুহ, তাজুল ইসলাম, সাহিত্য-দিলদার বেগম রোকেয়া (মরণোত্তর), সরকার জাহানারা ফরিদ, জোবায়ের আহাম্মদ মোমেন, ক্রীড়া-আবদুল আহাদ, শিতাংশু বিকাশ পাল (মরণোত্তর), সংবাদ পত্র প্রসার- লোকমান হেকিম চৌধুরী, লোকজ সংস্কৃতি-বিপিন পাল (মরণোত্তর), দীন মোহাম্মদ, কন্ঠ সঙ্গীত-হাসান আলী খান, হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া (মরণোত্তর), চন্দন আচার্য, যন্ত্রসঙ্গীত-আদ্র কান্তি তাথৈ, নাটক-নকুল চন্দ, মোখলেছুর রহমান (মরণোত্তর), আবদুল ওয়াদুদ, সাংবাদিকতা- মোহাম্মদ আরজু, আবু কামাল খন্দকার, সংগঠক-শংকরী দত্ত, সংগঠন-বিদ্যুৎ সংঘ, মনন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
ডাক্তার আহম্মেদ হোসেন ফুল মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
সাপ্তাহিক নবীনগর এর প্রকাশক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন হেলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, শফিকুল ইসলাম ।
বক্তব্য রাখেন শংকরী দত্ত, নুরল আলম কাউছার, কান্তিকুমার ভট্টাচার্য, শুক্লা রানী দেব, রিফাতুল হক, শরিফা রাজিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বসবাসরত নবীনগর উপজেলার ছাত্রদের সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নবীনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠিত।
আজ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসজিদ রোডে অবস্থিত এ.মালেক কনভেনশন হলে ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মিনহাজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ শাহ্ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ.জে.এম আরিফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. মাহবু্বুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নবীনগর কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. মিন্টু ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন খান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক আব্দুল খালেক বাবুল, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির সভাপতি ডা. মোঃ মোকলেছুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. বশির আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার, সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নবীনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ আহাম্মদ, শিক্ষা সাহিত্য সম্পাদক রহমত উল্লাহ্।
দোয়া মাহফিল ও ইফতার সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নবীনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহ্ জামাল।
দোয়া পরিচালনা করেন ব্রাহ্মনবাড়িয়াস্থ নবীনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ধর্ম সম্পাদক মুফতি সাইফুল ইসলাম শাওন
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ছামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ছামিয়া আক্তার উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামের বিল্লাল মাস্টার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশারুক গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ছামিয়ার প্রেম ছিল। তারপর তারা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর জানতে পারে ছামিয়ার স্বামী একজন মাদকসেবি। পরে ছামিয়া স্বামীর সঙ্গে রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে আসে। স্বামী মাদকাসক্ত ও বাবা-মায়ের কটাক্ষ কথা সহ্য না করতে পেরে ছামিয়া সবার অগোচরে সকালে শোয়ার ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম জানান, সকালে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান মহাবিদ্যালয়ের প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম মুরাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মনজুর আলম, সভাপতি নবীনগর প্রেস ক্লাব শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, বিটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারুল হক, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিউলী কর, উপজেলা কৃষি অফিসারের প্রতিনিধি গৌতম ভৌমিক, সভাপতি বিদ্যাকুট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খোকা, প্রধান শিক্ষক বিদ্যাকুট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোঃ ইশা খান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী গ্রামীণ ব্যাংককে উদ্যোক্তার মডেল হিসাবে আখ্যা দিয়ে বলেন নারীরা বিনা জামানতে ঋন নিয়ে আত্মনির্ভশীল হয়েছে। বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হওয়ার যে ইতিহাস তা গ্রামীন ব্যাংক হতে সৃষ্ট বলে তিনি মতামত প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন বর্তমান যুগ মোবাইলের যুগ, মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে বাচ্চাদের ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। তাই আমাদের সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে।
বাচ্চাদের শতভাগ স্কুলে পাঠানের জন্য আহব্বান জানিয়ে রাজীব চৌধুরী বলেন বর্তমান সরকার বছরের প্রথম দিনই সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে। তাই আমাদের সকলের উচিত বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
উক্ত নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ওমাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এসমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় পাঁচশতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।