চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকায় সরাইল উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মেসার্স জিসান ব্রিকস নামক ইট ভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং বুড্ডা, নোয়াগাও এলাকায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মেসার্স ভিআইপি ব্রিকস নামক ইট ভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। একইসাথে ৩ টি ভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) মেনে ভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
মোবাইল কোর্টে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয় কর্তৃক এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী সাংবাদিকদের জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে কালিকচ্ছ নোয়াগাঁও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আজ ৭ জুন বুধবার বাদ আসর কালিকচ্ছ বাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে কালিকচ্ছ নোয়াগাঁও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ আমিন শাহ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- মোঃ বাক্কার মিয়া,মনিরুজ্জামান মানিক মিয়া, মোঃ বশির মিয়া,মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ রতন মিয়া,মোঃ লিটন মিয়া,মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আলকাছ মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ খবির উদ্দীন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ আমিন শাহ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালিকচ্ছ নোয়াগাঁও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক কর্তিক সরকার।
অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন কালিকচ্ছ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোঃ ইউসুফ আকরাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষকদের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান চাল সংগ্রহের নিমিত্তে অনলাইন লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ধান-চাল সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও কমিটির সভাপতি মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া। সভায় অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা আবেদনকারী কৃষকদের মাঝে অনলাইন লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. এমরানুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. নুর আলী, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গুদাম) ওসি এলএসডি মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি মো. তাসলিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফসির, শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. আছমা আক্তার, কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সায়েদ মিয়াও সাংবাদিকবৃন্দ।
সভা সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে নিবন্ধিত কৃষকের মধ্যে ২৩ শত ৯ জন কৃষক ধান বিক্রির জন্য আবেদন করে। আবেদনকৃত কৃষকদের মধ্যে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪৮০ জন কৃষক নির্বাচিত হয়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান- চাল সংগ্রহ চলবে। সরাইল উপজেলা চলতি মৌসুমে সরাইল উপজেলা থেকে ৯ হাজার ৪’শ ৮২ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা কেজি দরে ৬ হাজার ৯’শ ৩২ মেট্রিক টন, আতব চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ১’শ ৯ মেট্রিক টন ও ধান ৩২ টাকা দরে ১ হাজার ৪ শ’৪১ মেট্রিক টন ক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ।
কৃষিজমি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২২ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার শান্তিনগর (বাঘাহুতা) এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শান্তিনগর (বাঘাহুতা) এলাকায় কৃষিজমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।
কৃষিজমির মাঝে গায়ের জামা নিছে বিছানো অবস্থায় শোয়া ছিলো। তার নাম—পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তার দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তার বয়স আনুমানিক ৬৫ হবে। তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃতের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নদী হাওর বেষ্টিত শ্যামল ছায়ায় আচ্ছন্ন কয়েকটি গ্রামের সমাহার উত্তর কালিকচ্ছ। ধানের জমি ভরাট করে সেখানেই ‘উত্তর কালিকচ্ছ মডেল স্কুল এ- কলেজ’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন স্থানীয় ‘সুহৃদ সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। ফসল উৎপাদনের বদলে চলছে মানুষ গড়ার কাজ। মাত্র ৪ বছরে এগিয়েছে অনেক দূর। আলো ছড়াচ্ছে চারিদিকে। বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫০ জন। শুরূ থেকেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে বিদ্যালয়টি। ব্যাপক আনন্দ উৎসাহে হেঁসে খেলে দিনটি অতিবাহিত করে থাকে সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে আবারও সফল ভাবে সম্পন্ন হলো স্কুলটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
নতুন এক সাঁজে সেঁজেছিল বিদ্যালয়ের মাঠ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল বিদ্যালয়ের আঙ্গিণা। সেই সৌন্দর্যে রঙ লাগিয়ে অনুষ্ঠানের চাকচিক্য বৃদ্ধি করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। ১২-১৪টি ইভেন্টে দিনভর চলছে প্রতিযোগিতা। মন ভরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও উপভোগ করেছেন শিক্ষার্থীসহ সকলেই। বিকেলে সুহৃদ সোসাইটির সভাপতি হাজী মো. আমির আলীর সভাপতিত্বে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান ও শিক্ষক মো. জসিম মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হুমায়ূন মিয়া (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিহত হুমায়ূন মিয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামের ভোলা সরদারের বাড়ির মরহুম লাল মিয়ার ছেলে। আজ ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে নিহত হুমায়ূন মিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ভোলা সরদারের বাড়ির হুমায়ূন মিয়া ও একই এলাকার এজামতের বাড়ির মিজান মিয়ার মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ধদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দুইপক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামে সালিশ বসে। সালিশের মধ্যেই দুইপক্ষ বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে সালিশসভা পন্ড হয়।
এ ঘটনার জেরে ২ ফেব্রুয়ারি এজামতের বাড়ির মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা হুমায়ূন মিয়ার জমিতে সীমানা পিলার বসায়। এ নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের প্রথমে মধ্যে হাতাহাতি ও পরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে ভোলা সরদারের বাড়ির হুমায়ূন মিয়া মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে হুমায়ূন মিয়া মারা যায়।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চত্বরে নিহত হুমায়ূন মিয়ার ছোট ভাই আনোয়ার মিয়া বলেন, মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা আমার ভাই হুমায়ূন মিয়াকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমি আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তাদের ফাঁসির দাবি করি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আগে একটি মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।