চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় স্ত্রীর দেয়া অভিযোগে মোঃ রিপন মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে কারাদন্ড প্রদান ও জরিমানার আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) এস.এম রাহাতুল ইসলাম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর এলাকার দেবগ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া নামের ওই যুবক আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর অভিযোগ সে মাদকাসক্ত। মাদক সেবন করে প্রায়ই সে স্ত্রীকে মারধর করে। বিকেলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত রিপনকে মিয়াকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫ মিঃ থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভারের ত্রæটি মেরামত শেষে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে যাদের ভারতের বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ১২টা) দেশড় থেকে ২’শ জন যাত্রী ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্ট করেন বেশি। এসময় তারা যাত্রী ছাউনী ও গাছ তলায় বসে সময় কাটান।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানায় আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদেরকে অনুরোধ করে বলে আমরা যেন কোন যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারাও শূন্য রেখায় আসে। আমরাও শূণ্য রেখায় যাই।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা আমাদেরকে বলেন, যে সকল যাত্রীর ভারতের আভ্যন্তরিন বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে ভারতে পাঠাতে বলে। আমরা যাদের টিকেট আছে তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম আরও বলেন, বেলা সোয়া দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। এরপর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮’শ যাত্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করে। সেখান থেকে অনেকেই চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বিমান যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমন করেন।
জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও পরিছন্নতা কাজ শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভা। পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল নিজে খালে নেমে ময়লা পরিস্কার করার কাজে অংশ নেন। এসময় মেয়রের সাথে ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক খাল পরিস্কার কাজে অংশ নেন।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পৌর শহরের মসজিদ পাড়া এলাকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পার হয়ে খালাজোড়া এলাকায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে সীমান্ত পার হয়ে আসা সাইনধারা নদীতে মিলিত হয়েছে। বর্তমানে খালটি খালাজোড়া এলাকায় সাইনধারা নদী পর্যন্ত ৮ জন দখলদার দখল করে খালের চিহ্ন মুছে দিয়েছে।
খাল পরিস্কার কাজ দেখার জন্য ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক খাল পরিস্কার কাজে অংশ নেওয়া সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এমন জনকল্যাণকর কাজে সবসময় যুক্ত থাকার আহবানও জানান। এসময় মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা মন্ত্রীকে খাল দখলসহ বর্তমান অবস্থার কথা জানালে মন্ত্রী আগামী ১২জুলাই সরেজমিনে এসে পরিদর্শনে এসে দখলমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
মসজিদ পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মুক্তার হোসেন, জুবায়ের আহমেদ ও আসিফুর রহমান সুমন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই খালটি দখল ও দূষণে ভরাট হয়ে যাওয়া বৃষ্টি হলে আমরা জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে ছিলাম। আমাদের দাবি ছিলো খালটি পরিস্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা। আজকে পৌর মেয়র নিজে এসে খাল পরিস্কার কাজ শুরু করায় আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব খালটি দখল মুক্ত করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হউক।
পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, দখল দূষণে পৌরসভায় জলাবদ্ধতা নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। আমরা পৌর শহরের সকল খাল সচল করব। মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় নিজে এসে এগুলো দেখে যাবেন বলে জানিয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল হক চৌধুরী ইমরান, এনামুল হক খাদেম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলি আক্তার, সড়ক বাজার পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বাবুল পারভেজ প্রমূখ।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এসময় ভেকু দিয়ে ময়লা পরিস্কার করে ট্রাকে করে সরানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩১ মে শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে প্রধান সড়ক পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে।
র্যালিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেয়।
পরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. রাহাতুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ লুৎফুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মো. মাহতবাব মিয়া, শিক্ষক দিলিপ দেবনাথ, মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তামাকের কুফল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তামাক ব্যবহারে মানব দেহের ক্ষতি ও অর্থ অপচয় হয়। তামাক প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ বেশি দরকার বলে মনে করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জয় হরি রায়ের স্ত্রী। জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনা জেলার কুদরত আলীর মেয়ে মোছা. বিউটি, চাঁদপুর জেলার আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন, যশোর জেলার মো. সুবহান মিয়ার মেয়ে বিনা বেগম, একই জেলা মো. আজাদ শেখের ছেলে শেখ সাদি, নওগা জেলার মো. শাহীর আলীর মেয়ে শাহিনা বেগম, জামিলপুর জেলার মো. নরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম মিয়া ও তার ভাই সোহান মিয়া, একই জেলার আকবর আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, একই জেলার মো. ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, ঝালকাটি জেলার বিল্পব চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অধিকারী।
দেশে ফেরা এক মেয়ের মা বলেন, আমার মেয়ে ফিরে এসেছে এজন্য আমি খুশি। দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
ভারত ফেরত জামালপুরের এক নারী (আসমা বেগম) বলেন, আমাকে গার্মেন্টস্ কাজ দেওয়ার কথা বলে আমাকে নিয়ে যায়। বলেছিল ৪০ হাজার টাকা বেতন দিবে। আখাউড়া চেক পোষ্টের সীমান্ত রেখায় উপস্থিত স্বজনরা ভারত ফেরত বাংলাদেশীরদেরকে গ্রহণ করেন।
এসময় আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, ত্রিপুরার সংবাদ পত্রে প্রায়ই দেখছি ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে নারী এবং শিশু পাচারের ঘটনা ঘটছে। যেহেতু ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় সীমান্ত রয়েছে। অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। দুষ্কৃতিকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দুদেশই এ বিষয়ে আরও তৎপর হবেন।
তিনি আরো বলেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহীন খান পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট। ৭ জানুয়ারি রবিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ আসনে আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ দুই হাজার ৫৮৭ জন। আসনটির ৪৪ ভোট কেন্দ্রের ২৬৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।