চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিভিন্ন অপরাধে ৪ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা ও বড়বাজার এলাকায় এ জরিমানা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু মুসা।
নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু মুসা জানান, উপজেলায় বিভিন্ন ইট ভাটা ও বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুপুরে অভিযানে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা এরাকায় জনতা ব্রিকসে বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতির জন্য ভাটায় ইট প্রস্তুত করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জনতা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো জানান, নবীনগর বড় বাজারে দুটি মিষ্টি ও দইয়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দুটি দোকানে অতিরিক্ত মূল্য ও ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে দুটি মিষ্টির দোকানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বড় বাজারে একটি সরিষার তেলের মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সরিষা তেলের মিলটি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত তেল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করে আসছিল। পাশাপাশি আরো বেশ কিছু অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তেলের মিলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় নবীনগর থানা-পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সাইম সরকার নামে পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুটির বাবা সালাউদ্দদিন সরকার গুরুতর আহত হন।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার নারায়ণপুর ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত স্কুলছাত্রের বাড়ি উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের বাউচাইল গ্রামে। সে সালাউদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে।
সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, সকালে উপজেলার নারায়নপুর ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কে দু’দিক থেকে আসা দু’টি মোটরসাইকেল পাশ কাটতে যাচ্ছিল। ওই সময় একটি ট্রাক মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের পিছনে বসে থাকা শিশু সাইম সরকার মারা যায়। এছাড়া গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল চালক সালাউদ্দিন সরকার। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।
নবীনগরের ওসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটির লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করেছে। এখন মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া ট্রাকসহ চালক শাহ আলমকে আটক করা হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র সাজন সাহা। তিন মাস পর পর শরীরে দিতে হয় রক্ত।
তারপর জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে অসুস্থতা নিয়েও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
সাজন সাহা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং পালপাড়া গ্রামের সঞ্জিত সাহা ও স্মৃতি রাণী সাহার ছেলে।
জানা গেছে, সঞ্জিত সাহা কাজ কারেন খাবার হোটেলে। একদিকে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত অন্যদিকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সাজন সাহার শরীরে ধরা পড়ে জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া। গত ২ বছর আগে একমাত্র ছোট বোনটিও মারা যায় শারীরিক অসুস্থতায়। সব মিলিয়ে তার জীবনযুদ্ধ যেন হার মানায় সবকিছুকেই।
কথা হয় জীবন যুদ্ধে লড়াকু সৈনিক সাজন সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, শরীরে যখন রক্ত কমে আসে তখন শরীরজুড়ে জ্বর আসে, মাথা ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল হয়ে ভেঙে আসে। তবু হার মানিনি। রক্ত দিয়ে আবারও নেমে পড়ি ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে। আমার মা আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেন ভাল কিছু করার জন্য। তবে শারীরিক দুর্বলতা আমাকে হার মানাতে না পারলেও দরিদ্রতা আমার এগিয়ে যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বাবার সামান্য আয় দিয়ে আমার চিকিৎসা আর সংসার চালাতে হিমশিম খায়। আমার ইচ্ছে ছিল আইনজীবী হওয়ার। যেন দরিদ্র মানুষের ন্যায় বিচারে কাজ করে যেতে পারি। তারপরও আমি হতাশ হচ্ছি না। সৃষ্টিকর্তা যখন এইটুকু এগিয়ে নিয়ে এসেছেন, হয়ত তার ইচ্ছাতেই সবাই আমার পাশে থাকবেন। আমার এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবে।
তিনি আরো বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। স্বেচ্ছাসেবী ব্লাড ফাউন্ডেশন আমার জন্য তিন মাস পর পর রক্তের ব্যবস্থা করে থাকেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
সাজনের সহপাঠীরা বলেন, সে একজন মেধাবী ছাত্র। নিয়মিত কলেজ করত। সে অসুস্থ হলেও দৃঢ়তার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সাজনে সবার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে।
সাজনের মা স্মৃতি রাণী জানান, আমার ছেলে প্রায় ১০ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। আমার ছেলেকে নিয়ে আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি তবে সাদ আর সাধ্যের ফারাক যে নির্মম বাস্তবতা। অর্থহীন সংসারে এগিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ট। আমার ছোট মেয়েটিও দুই বছর আগে মারা গেছে। এখন সাজনই আমার একমাত্র সম্বল। যেহেতু আমার ছেলে অসুস্থ তাই আমি চাই সে একটা ভাল সরকারি চাকরি করুক।
নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এ কে এম রেজাউল করিম জানান, সাজনের কৃতিত্বে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। সে কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র। আমরা আশা করি তার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে। আর আমরা নিজস্ব উদ্যোগে তার সহযোগিতায় পাশে থাকব।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রয়োজনে তার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে সাইমা মম নামের ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সাপটি কোবরা জাতের সাপ ছিলো বলে নিশ্চিত করেন পারিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
২ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমা মারা যায়।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কান্দি-রেজতপুর গ্রামের নাসিরুদ্দিন স্বপনের মেয়ে।
সাইমার বড় ভাই ইমন শাহরিয়ার জানান, নিজ বসতঘরে সাইমা রাতের খাবার খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য পাশের রুমে গেলে সেখানে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয়। এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে আমরা ছুটে আসি। সেখান থেকে সাপে কেটেছে বুঝতে পেরে তাকে নবীনগর উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সাপের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কুমিল্লা নেওয়ার পর চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমার মৃত্যু হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাসমিত করিম বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। আমাদের এখানে সাপে কামড়ের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বাঘাউড়া গ্রামের আলোচিত শফিকুল ইসলাম শফিনূরকে হত্যা মামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে মানববন্ধনে অংশ নেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় শফিকুল ইসলাম শাফিনূর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি শিবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবি আরেক অন্যতম আসামি রবিউল সহ অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। মানববন্ধনে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে শাফিনূরের ভাই হাসান বলেন, গত বছর ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বরে আমার ভাই খুন হয়েছে
আমার নিরপরাধ ভাইকে তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে, হাবি,রবিউল,হনিফেরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তারা মাদকের গড ফাদার,কিছু আসামী জামিনে বেড় হয়ে গ্রামের অস্ত্র নিয়ে মোহরা দিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করে আমাদেরকে নানান হুমকি দামকি দেয়, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে বিচার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ কারি গ্রামবাসীরা বলে সফিকুল ইসলাম শাফিনূর অনেক ভালো ছেলে ছিল সে একজন নিরপরাধ মানুষ তাকে যারা খুন করেছে তাঁদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. হাসান, মজিবুর রহমান, খুরশিদ আলম, মুমিনুল, বোরহান উদ্দিন, শহীদ মিয়া, রুবেল মিয়া, মো. আবির, সোহেল মেম্বার, ডাঃ রোকোনুজ্জামান রোকন,ডাঃ আতাউর সহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।