অনলাইন ডেস্ক :
এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। আজ ২১ এপ্রিল রবিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনের ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ৬ মে পর্যন্ত। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩০ জুন। এই পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে ১৬ এপ্রিল থেকে। ফরম পূরণ চলার কথা ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এখন বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৫ মে পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, এবার পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি পরীক্ষা।
কোনো বিভাগের জন্য কত ফি
পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে।
অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।
কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।
শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে, বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট ২০২৪।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও এমআর টেক্সটাইল এর সহযোগিতায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো এই বছরের টুর্ণামেন্ট।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে খেলার উদ্বোধন করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস, দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চেীধুরী মন্টু। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট কবি ও বাচিকশিল্পী মো. মনির হোসেন।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় পরপর টানা তৃতীয়বারের চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট মসজিদ রোড বনাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মধ্যপাড়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজ দেশে খেলাধুলা চর্চা হচ্ছে। খেলাধুলা সুস্থধারার বিনোদনের একটি মাধ্যম। আমাদের যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে খেলাধুলায় তাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে খেলাধুলার চর্চাটা বাড়ানো খুবই জরুরী। তিনি আরও বলেন, এটা খুশির খবর যে সামগ্রিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি করে ভুমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, খেলাধুলা বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা খেলাধুলার প্রসারে ব্যাপকভাবে কাজ করছি। শিক্ষাসংস্কৃতির ঐতিহ্যের জেলা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ইতোমধ্যেই এই জেলার ছানামুখিকে জিআই পণ্যের তালিকাভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এসময় সদর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ার সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, পিপি এভভোকেট মাহবুবল আলম চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন আব্দুস সাকির ছোটন।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি থেকে আরো অনেকেই চলে আসবে, একটু অপেক্ষা করলে দেখতে পাওয়া যাবে।
তিনি আজ ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকার নয় আরো অনেকেই বিএনপি থেকে চলে আসবে, একটু অপেক্ষা করুন। কারণ যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যেই দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সেই দল তো সবাই করবে না।’
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন আর নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে -এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করতে চায়। গতবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা যেমন বলেছিলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, কিন্তু শেষমেষ অংশ নিয়েছিলো। এবারও তাদের এখনকার বক্তব্য আর এক মাস আগের বক্তব্যের মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে। যারা একটু অনুসন্ধিৎসু তারা এটা বুঝতে পারেন।’
‘গতবার যেমন গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছিলো, এবার কি করে সেটা দেখার বিষয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিএনপি নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। কাউকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি তো সরকার, নির্বাচন কমিশন কেউ দিতে পারবে না। আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আর মির্জা আব্বাস সাহেবরা গত সাড়ে ১৪ বছর সরকার পতনের কথা বলছেন, এটা নতুন কিছু নয়।’
‘সরকার বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে’ বলে বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ খন্ডন করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কি করেছিলো সেটা পেছনে ফিরে তাকালেই বুঝতে পারবেন, দেখতে পাবেন। মির্জা ফখরুল সাহেবরা অগ্নিবোমা হামলার হুকুমদাতা। সেগুলোর অডিও রেকর্ড, তথ্য প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। এরপরও তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। এতেই প্রমাণিত হয় সরকার মোটেই নির্যাতন চালাচ্ছে না। বরং তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো থেকে শুরু করে এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এস এম কিবরিয়াসহ আমাদের এমপিদেরকে হত্যা করা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করা, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করাসহ আমাদের নেতাকর্মীদের যে পরিমাণ অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত।’
‘সদ্য সমাপ্ত কানাডা সফরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে। ২ ঘন্টা ৫৮ মিনিটের বিরতিহীন এ প্রদর্শনীতে একজন দর্শকও আসন থেকে নড়েননি। সেখানে বাংলাদেশী, ভারতীয় ছাড়াও বিভিন্ন দেশের দর্শকরা ছিলো, প্রত্যেকেই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন। সিনেমাটি প্রকৃতপক্ষে আমাদের ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আগামী মাসে আমরা বায়োপিকটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, ‘কানাডা সফরে সে দেশের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার কমিটির চেয়ার সিনেটর সালমা আতাউল্লাজানের সাথে বৈঠক হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি একইসাথে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এছাড়া কানাডা পার্লামেন্টের ইমিগ্রেশন এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ার সালমা জাহিদ এমপি’র সাথে বৈঠকে বাংলাদেশীদের সহজতর ইমিগ্রেশন এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের সহজতর ভিসার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ফেরার পথে আমি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি খুবই ভালো আছেন। দেশে নানা আলোচনা হয়েছে কিন্তু আমি দেখেছি তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই ভালো।’ সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনও প্রকল্প শেষ হলে সেই শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়।’
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বিকালে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে যারা জড়িত, যারা জমি দিয়েছে, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এটি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, ‘একটা সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন আমাদের সমীহ করে চলে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা ছিল না বিদেশে গেছি, তখন বাংলাদেশের নামটা শুনলে কেউ জিজ্ঞাসা করত, এটা কি ভারতের কোনও অংশ? জিজ্ঞেস করত, এদেশে তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদের হিসেব করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট, ব্যথার ছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারব না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ?
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার তাকে গুলশান এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। পরে তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ১৬ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানা সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান। সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরন অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগ দিতে বলেছেন। এ ছাড়া যাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ প্রকল্প এক অর্থবছরে শেষ হচ্ছে। এ ছাড়া এবার এডিপিতে ৪ হাজার কোটি টাকা সরকারি খরচ কমেছে। বিদেশি অর্থায়ন ৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। মোট এডিপি বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।