অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়দিনের সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংককের ডং মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে।
ব্যাংককে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। থাইল্যান্ডের গভর্ণমেন্ট হাউসে আজই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর।
এর আগে সকাল ১০টা ১২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে তার এ সফর।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর। এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।
সফরকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার অভিপ্রায়পত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর মধ্যে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরো দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম যুক্ত ছিলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প, পুনঃখননকৃত ৪৩০টি ছোট নদী, খাল, জলাশয়ের উদ্বোধনসহ নতুন ২০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সব জায়গায় পানি সরে যাওয়ার জন্য জলাধার রাখতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নদী-নালাগুলো মানুষের জীবনের মতো, এগুলোর প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। মানুষের হার্ট বন্ধ হলে যেমন মরে যায়, নদী-নালার প্রবাহ বন্ধ হলে দেশটাই মরে যায়। শুধু পাড় বাঁধলেই হবে না, নদীর ড্রেজিংও করতে হবে।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রত্যেক এলাকায় নদী, খাল, বিল, হাওরের পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নদীপথগুলোও সচল করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি আই সেন্টার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে একুশে আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগষ্টের মামলার নিম্ন আদালতের কাজ শেষ হয়েছে। তার মানে একটা পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী এবং আইনের শাসনে যে প্রক্রিয়া সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। আমি যতদূর জানি, এখন মামলাটার হাইকোর্টে শুনানি চলছে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার বিচার এ বছরই শেষ হচ্ছে।’
পলাতকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টেও ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার বিচার কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুম, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, মো. শাহিনুর ইসলাম, ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, কাজী আরিফুজ্জামান ও ড. শেখ গোলাম মাহবুব সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিনœ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
‘জুতার তলা ক্ষয় হইয়া গেছে হাঁটতে হাঁটতে। সময় পাইলেই পুলামাইয়ার লাইগা ছুইটা আসি বাড়িত। গোসল করাই, খাওয়াই, তারপর ঘুম পাড়াইয়া আবার ছুটি গার্মেন্টে। হেগো বাপ ফালাইয়া চইলা গেছে, আমিতো মা, আমি তো যাইতাম পারতাম না।’ কথাগুলো বলছিলেন ত্রিশ বছর বয়সী গার্মেন্টকর্মী আয়েশা।
আয়েশার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়। কম বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী ঢাকায় দক্ষিণখানে গার্মেন্টে চাকরি করতেন। পরে এক সহকর্মীকেও বিয়ে করেন তাঁর স্বামী। এক পর্যায়ে আয়েশা ও দুই সন্তানের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। সন্তানদের নিয়ে আয়েশা বিপাকে পড়েন। ঢাকায় ছুটে আসেন স্বামীকে খুঁজতে। তাতে ব্যর্থ হন। দক্ষিণখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। ওই আত্মীয়ের সহযোগিতায় এক গার্মেন্টে যোগ দেন। আয়েশা জানান, প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে কাজ শুরু করেন। দুই সন্তানের জন্য খাবার তৈরি করেন। সাড়ে ৭টার মধ্যেই কর্মস্থলে যেতে হয়। দুপুরে এক ঘণ্টার বিরতিতে হেঁটে আবার বাড়িতে যান। সন্তানদের খাইয়ে, ঘুম পাড়িয়ে আবারও ছোটেন কর্মস্থলে। বিকেলে গার্মেন্ট ছুটি হলে বাড়ি ফেরেন। সন্তানদের যত্ন নেন, লেখাপড়া করান। সব কাজ শেষে বিছানায় যান রাত ১১টায়। জীবনের টানে এভাবেই ঘোরে তাঁর ভাগ্যের চাকা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী পোশাক খাতে ২০২০ সালে নারী ও পুরুষ কর্মীর হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৬০ ও ৪০ শতাংশ। নিম্ন আয়ের নারীশ্রমিকের অধিকাংশই পারিবারিকভাবে সুখী হন না। স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে চলে যান অনেক পুরুষ। সন্তানকে নানি-খালার কাছে রেখে কাজ চালিয়ে যান নারী। কেউ কেউ সন্তানদেরও শ্রমে যুক্ত করেন। শুধু পোশাকশিল্পেই নয়, উপকূলীয় অঞ্চলেও পুরুষদের বহুবিবাহের ঘটনা বেশি ঘটে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বামী মারা গেলেও সংসারের হাল ধরেন নারী।
কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের মালা বিক্রি করে আবদুল মোতালেব (১০)। সংসারের কাজকর্ম শেষে মোতালেবের মা মালা গাঁথেন। সেই মালা সৈকতে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে মোতালেব। সে জানায়, দিনে দুই-তিনটি বিক্রি হয়। একেকটায় লাভ হয় প্রায় ৫০ টাকা। সৈকত থেকে দূরে দরিয়ানগর গ্রামে তার বাড়ি। তার বাবা পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন। দিনে যা আয় হয়, তা দিয়ে চাল-আলু কিনে বাড়ি যায় সে।
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন লাবণ্য। একমাত্র সন্তান শঙ্খনীলকে নিয়েই তাঁর সংসার। এক সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাবণ্যর স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। নীলের বয়স তখন বছর গড়ায়নি। সেই থেকে শুরু একাকী সংগ্রাম। চাকরির পাশাপাশি একজন আদর্শ মা হিসেবে সন্তানকে দেখভাল করছেন।
জেন্ডার বিশেষজ্ঞ মনজুন নাহার বলেন, ‘গর্ভে সন্তান ধারণ করলেই যে একজন মা হন, তা নয়। তাঁকে মানসিকভাবেও মা হয়ে উঠতে হয়। শত বাধা-বিপত্তিতেও মানসিকভাবে শক্ত বলেই একজন প্রকৃত অর্থে মা।’
শাশ্বত রূপের মায়েদের সম্মান জানাতেই আজ পালিত হবে ‘বিশ্ব মা দিবস’। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বাংলাদেশে মা দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালনে বিভিন্ন সংগঠন প্রস্তুতি নিয়েছে। বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে মা দিবস উদযাপন করা হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট :
শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকালে রাজধানীর লালবাগ হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনার বলেন, আগামী ২৯ জুলাই (১০ই মহরম) পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে।
হোসাইনী দালান ইমামবাড়া নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাস্তাগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আশুরার দিন অনুষ্ঠিত তাজিয়া শোক মিছিলের সামনে পিছনে ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। যেকোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পুরা এলাকা ডগ স্কোয়াড ও ম্যানুয়ালি সুইপিং করানো হবে। আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিল চলাকালীন সময় পুরো দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হবে এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তাজিয়া মিছিল উপলক্ষ্যে উচ্চস্বরে ঢাকঢোল না বাজানো, গায়ে চাদর জড়িয়ে মিছিলে না আসা ও শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম না করার জন অংশ গ্রহণকারীদের প্রতি অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, একইভাবে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব। কর্ম দিবসে জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি না করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এসব কর্মসূচি পালন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আপনারা সমাবেশ করেন, তবে এর কারণে জনগণ যেন কষ্ট না পায়। লোকজনের দুর্ভোগের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। হয়তো ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে, জনগণ অতিষ্ঠ হলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ যুগ্ম ও উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। দেশব্যাপী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আগুন সন্ত্রাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা হরতাল ও অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস ও লুটপাট করছে।
শুধু তা-ই নয়, পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে।
পোশাক শ্রমিকদের যে পরিমাণ মজুরি বাড়ানো হয়েছে তা নিয়েই কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পোশাক শ্রমিকদের জন্য যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
শতকরা ৫৬ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। যারা তাদের (শ্রমিক) উসকানি দিচ্ছে, তারাই তাদের ধ্বংস করবে। এটা শ্রমিকদের বুঝতে হবে।