চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সন্মুখে শব্দ সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মোঃ খালেদ হাসান, উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সভাপতিত্বে শব্দ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মোঃ রুহুল আমীন, উপ-পরিচালক (উপ-সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।
সভায় শব্দ দূষণের ক্ষতিকর দিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করা হয়। এছাড়াও বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আমন্ত্রিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দগণ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আমন্ত্রিত বক্তাগণ শব্দ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সহযোগিতায় শব্দদূষণের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে অনুমোদিত মাত্রার অধিক শব্দ উৎপন্ন ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করায় ২ টি পরিবহনকে ২ টি মামলায় মোট ৪,০০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং গাড়িগুলো থেকে হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়। একই সাথে প্রায় ৪০টি বাস, ট্রাক ,অটোতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত স্টিকার সেটে দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, এরূপ কার্যক্রম পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যখন যানজটে অনেকটাই নাকাল অবস্থা শহরবাসী। তখন তারা এই অবর্নীয় দুর্ভোগ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চান এবং তার জন্য প্রশাসনের কার্যকর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে “যানজট নিরসনে নাগরিক প্রস্তাবনা শীর্ষক” গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে এই আহবান জানানো হয়। মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এই গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেতা আবু কাউছার, তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নেত্রী শামীমা বাছির স্মৃতি ও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, কুমিল্লার বিভাগীয় রেজুওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার। সাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌসি, অ্যাডভোকেট খালেদা আক্তার মুন্নী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক, ইয়াং ফেলো সাঈদ হাসান সানি প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমির চক্রবর্তী।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জেলা। প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রচুর মানুষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আসেন। বর্তমানে শহরের একটি প্রধান সমস্যা যানজট। শহরের অবৈধভাবে রিকসা ও অটোরিকসা চলাচলের কারণে শহরে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই যানজটকে আরো দুর্বিসহ করে দেয় দিনের বেলা শহরে পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকে।
বক্তারা শহরের যানজট নিরসনে অবিলম্বে অবৈধ রিকসা ও অটোরিকসার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়ানো, ফুটফাত গুলো হকার মুক্ত এবং শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানের ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের দোকানের মালামাল রাস্তায় না রাখেন, দিনের বেলায় যাতে শহরের ট্রাক বা ভারী কোন যানবাহন প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্ন হত্যা ও হামলার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ঐক্যবদ্ধ কাজ করি, কুষ্ঠ মুক্ত দেশ গড়ি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ^ কুষ্ঠ দিবস আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার পালিত হয়েছে।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, এমওসিএস ডাঃ মাহামুদ হাসান, এমওসিএস ডাঃ এ.এফ. এম আশরাফুর রহমান, ডিএইচএমও ডাঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ, প্রেগ্রাম অর্গানাইজার মাহমুদা আক্তার, লেপ্রসী মিশনের পক্ষে টিএসও জুয়েল খেয়াং, আরিফুর রহমান সমরেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ। পরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ১০ কুষ্ঠ রোগীর মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠ রোগের স্টল দেওয়া হয়।
এটি উদ্বোধন করেন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ও জেলা ড্যাব কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আক্তার হোসেন।
এসময় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে নব-নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট “ভক্ত নিবাস” এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১২ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরে মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতার সাথে জড়িত তাদেরকে আমি মানুষ বলিনা, তারা মানুষ নামধারী বর্বর।
তিনি বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমিও দলের কাছে আবার মনোনয়ন চাইব। তবে এই নির্বাচনে এই আসন থেকে যে কোনো লোক নির্বাচন করলে আমার আপত্তি নেই। তবে তাকে বাঙ্গালীর প্রাণের গান ও শ্লোগান “ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি এই গান গাইতে হবে এবং “জয় বাংলা” শ্লোগান বলতে হবে। যে এই গান গাইবে না ও এই শ্লোগান বলবে না, আমি তার সাথে নেই। স্বাধীনতা ও জয় বাংলার প্রশ্নে আমি আপোষহীন। যারা এই কথায় বিশ্বাস করেন তারা আগামী নির্বাচনে আমার পাশে থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারি পরিচালক মনি শংকর কীর্তনিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, আনন্দময়ী কালী বাড়ির ট্রাস্টি কমিটির সভাপতি অরুপ সাহা, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, সদস্য বিভাষ রায়, আশিষ কুমার পাল, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, অ্যাডভোকেট রাকেশ রায় সহ সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির বর্ষপূর্তিতে ফান রান দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জেলা শহরের পৌর এলাকার লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড় থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদেরা অংশগ্রহণ করেন।
ভোরে সূর্যের আলো উঠার আগেই শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সের দৌড়বিদরা লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ে জমায়েত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দিলারা আক্তার খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির প্রধান উদ্যোক্তা সংগঠনের এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রাজন মিয়া।
শহরের লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ের প্রধান ফটক থেকে প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে শহরের তিতাস নদীর বুক চিরে বের হওয়া নতুন সড়ক সীমনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের (শেখ হাসিনা সড়ক) তৃতীয় সেতু পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও বিজয়নগর উপজেলার মনিপুর থেকে শহরের শিমরাইলকান্দি সেতু পর্যন্ত আসা-যাওয়া ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা চলে। ফান রানে দুই কিলোমিটার দৌড়ে শিশুরা, ৪৫ বছর বয়স থেকে বয়োজ্যেষ্ঠরা ৫ ও ১০ কিলোমিটার এবং নারীরা ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন। ৫ ও ১০ কিলোমিটার সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ৮৫ জন অংশ নেন।
দৌড় শেষে সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের শিমরাইলকান্দি সেতুতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান। অংশগ্রহণকারীদের একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. রাজন মিয়া বলেন, সুস্থ্য দেহ ও সবল মনের জন্য ২০২১ সালে এই সংগঠন করেছিলাম। নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় সংগঠনের ৫০ সদস্য প্রতিদিন দৌড়ান। সংগঠনটির সক্রিয় রানার সংখ্যা এখন শতাধিক। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন অন্তত আড়াই হাজার সদস্য। আগামী বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মানের বড় পরিসরে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রফেসর দিলারা আক্তার জানান, প্রথমবারের মতো শিশুরা অংশগ্রহণ করেছেন এই প্রতিযোগিতায়। সকলকে এই সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।