চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম একজন ব্যক্তির জন্য ভবিষ্যত তথা বৃদ্ধকালের স্বয়সম্পূর্ণ জীবনের একটি অংশ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একজন ব্যক্তির ভবিষ্যতে কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে এ চিন্তা করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। তিনি বলেন এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলাধীন মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন কুমার ভট্রাচার্যের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্যে রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন।
প্রধান অতিথি এসময় সকল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের চাঁদাদাতা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকগণ স্কীমে অংশ গ্রহণের তারিখ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। সকল স্কীমের জন্য চাঁদার কিস্তি প্রদানকারীর পছন্দ মাফিক মাসিক-ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতাগণ ইচ্ছে করলে অগ্রীম হিসেবে চাঁদার টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিতে পারবেন বলে অবহিত করেন। এসময় তিনি সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় সর্বজনীন স্কীম সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেন মনে করেন।
এসময় সদর উপজেলা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পর্যায়ের শিক্ষক অধ্যক্ষ কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে রেইনবো প্রি-স্কুল কাজ করছে। তিনি বলেন, আজকের এই জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি বার্তা দিচ্ছে রেইনবো প্রি স্কুল এর পরিচালক শারমিন বেগম। এ প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ আরো আলোকিত হউক এ কামনা করি। বুধবার সন্ধ্যায় রেইনবো প্রি-স্কুল এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন রেইনবো প্রি-স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শারমিন বেগম। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন এন্ড গালর্স হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন এন্ড গালর্স হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, মধ্য পাইকপাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ কবির আখন্দ, ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন মোহাম্মদ আশরাফ ও আশা মনি। মোঃ শিপনের পরিচালনায় মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুহিলপুর জিল্লুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজসহ প্রায় ১০টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকগণকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো জাতীয় সংগীত, মা-বাবাকে সম্মাননা প্রদান, কবিতা আবৃত্তি, নিত্য, অতিথিদের সম্মাননা, সাবেক ছাত্রছাত্রীদের সম্মাননা, একক নাচ, হাতের লিখা, জাদু শিল্পী, সেরা ১০ জন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সম্মাননা প্রদান, কেইক কাটা, কোমলমতি শিশুদের মাঝে সম্মানা প্রদান এবং রেফেল-ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী শতকরা এক ভাগ ভোটারের প্রায় ২৫০ স্বাক্ষরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান।
তিনি (ফিরোজুর রহমান) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। নির্বাচনে অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে ফিরোজুর রহমানকে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এখন পর্যন্ত একক এবং হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী।
ফিরোজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মোট ভোটার সংখ্যার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনস্বরূপ সাক্ষরিত একটি তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোটারদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার পথে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের খালকাটা এলাকায় আমার কর্মী মহিবুর রহমানের কাছ থেকে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরিত একটি তালিকা ছিনতাই করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি বর্তমান সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারির মদদে ভোটার তালিকা ছিনতাই করা হয়েছে। আমি যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
ফিরোজুর রহমানের কর্মী মহিবুর রহমান বলেন, আমরা ভোটারদের তালিকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে খালকাটা মোড়ের সেতুর ওপর অবুঝ নামের এক যুবকসহ সাত-আটজন আমাদের পথরোধ করে। এ সময় তারা আমার কাছ থেকে সমর্থনকারী ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারি বলেন, উনি (ফিরোজুর রহমান) একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলছেন খালকাটার লোকজন ছিনতাই করেছে, আবার বলছেন চিনাইরের লোকজন করেছে। আরেকবার বলছেন আমার লোক নিয়েছে। আমি কেন ছিনতাই করাব? উনার কথাবার্তা অসংলগ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকার কয়েকটি পাতা ছিনতাই হয়েছে বলে মৌখিকভাবে ফিরোজুর রহমান আমাকে জানিয়েছেন। তবে তার কাছে তালিকার অতিরিক্ত কপি আছে। এছাড়া তিনি নিজেই ছিনতাই হওয়া তালিকা উদ্ধার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পানির ট্যাংক থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৪ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কলেজপাড়ার ধন মিয়ার বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে ধন মিয়ার স্ত্রী বাড়ির কাজে পানির কল ছাড়লে পানির সাথে রক্ত বের হয়ে আসে। এ সময় বিষয়টি তার সন্দেহ হলে কয়েকজনকে পানির ট্যাংক দেখতে পাঠানো হয়। তারা ট্যাংকের ভেতর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে নিহত যুবক ওই এলাকার নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফর হোসেন জানান, বিকেলে স্থানীয়রা পানির ট্যাংকের পানি থেকে রক্ত বের হতে দেখেন। পরে তারা পানির ট্যাংকের ঢাকনা খুলে ভিতরে লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পানির ট্যাংক কেটে ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, পানির ট্যাংকের ভিতরে লাশ ছিল। নিহতের মুখ থেথলে গেছে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ কয়েক দিন আগের হবে, লাশে পঁচন ধরে গেছে। তার বয়স আনুমানিক ২৮-৩০ হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যা, তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জেলার শান্তি-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক সময়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে জেলা বিএনপির দুইপক্ষের নেতারা এ আহবান জানান।
দুপুর ১টার দিকে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জহিরের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি অংশ।
এসময় তারা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রেসক্লাব সকলের। প্রেসক্লাবে হামলা কারো কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা মঙ্গলবারের জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল বাতিল করেছি। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে ছাত্র সমাজ জাতিকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। সাংবাদিকদের স্বধীনভাবে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বক্তারা সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বাড়ি এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কেউ যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য জেলা বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে আসেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশ।
এ সময় তিনি বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিজয় যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যাতে সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করতে না পারে সেজন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের সকল নেতাকর্মী সজাগ থাকার আহবান জানান। জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে কেউ যাতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে না পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকের উপর হামলা ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।