চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে গতকাল ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় এক প্রীতি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক। হাজী মোঃ জাবেদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও মিজান মিয়ার সঞ্চালনায় উক্ত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাধবপুর পৌরসভার কমিশনার আব্দুল হাকিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মলাই, হেলাল মিয়া, পায়েল মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক বলেন, যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আজকের যুবসমাজ আগামী জাতির কর্ণধার। আজকের যুবসমাজ আগামী পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদেরকে শিক্ষাদীক্ষায় এবং মননশীলতাই বিশ^জয়ী হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুরতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের জন্য আমি আজীবন কাজ করতে চাই। আমি সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করতে চাই। বিনিময়ে কোনোকিছু পাবার জন্য আমি কাজ করি না। আমি শুধু সকলের দোয়া আর ভালোবাসা চাই।
উক্ত টুর্ণামেন্টে সবুজ কুঁড়ি স্পোর্টিং ক্লাব- টাইগার স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সকল অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, আমি সবসময় সকল ভালোকাজের সাথে ছিলাম আছি থাকবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছোটখাটো বিষয়ে প্রায় সময়ই ঝগড়া করেন বাবা-মা। ছয় বছরে শিশু সিয়াম তাদের কাছে আকুতি-মিনতি করেও ঝগড়া থামাতে পারে না। অবশেষে এ অভিযোগ দিতে থানায় হাজির হয় শিশু সিয়াম।
সিয়ামের চোখের সামনেই মাদকাসক্ত বাবা প্রায়ই তার মাকে মারধর করতেন। বিষয়গুলো সহ্য করতে না পেরে সে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে। পরে পুলিশ তাকে চেয়ারে বসিয়ে অভিযোগ শোনে। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে তার বাড়িতে যায়। ডেকে আনা হয় সিয়ামের বাবাকে। তাৎক্ষণিকভাবেই মা-বাবাকে তারা আর কখনও ঝগড়া না করার অঙ্গীকার করান। এতে খুশি সিয়াম পুলিশকে হাসিমুখে বিদায় দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায়।
শিশু সিয়াম প্রাতবাজার নামক এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে।
২৮ এপ্রিল রবিবার বেলা ২টার দিকে সরাইল থানায় উপস্থিত হয় সিয়াম। থানায় বসেই তার কথা শোনেন ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। শিশু সিয়ার তার বাবা-মায়ের প্রতি অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করে। বিষয়টি সমাধানে উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে নিয়ে তার বাড়িতে যান। ডেকে পাঠান তার বাবাকে। একই সঙ্গে বাড়িতে থাকা তার মাকেও থাকতে বলেন। পরে সিয়ামের উপস্থিতিতে মা-বাবাকে আর ঝগড়া না করার অঙ্গীকার করানো হয়।
ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, দুপুরে হঠাৎ করেই শিশুটি এসে থানায় হাজির হয়। সে তার বাবা মায়ের প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করে ও নানা অভিযোগ করে। তার কথা শুনে পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়। সিয়ামের বাবা মা জানিয়েছেন, তার আর কখনও ঝগড়া করবেন না। এতে তাদের সন্তানও বেশ খুশি হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জমি-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দুইজন। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিষুতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বিষুতারা গ্রামের আজাদ মিয়া (৫৫) ও তার আমানত মিয়া (৬০)। এ ঘটনায় আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিটিবাড়ি নিয়ে বিষুতারা গ্রামের আজাদ মিয়ার সাথে তার ভাতিজা ইনসান মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সকালে আজাদ মিয়া তার দোকান খোলার সময় ইনসান মিয়া ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আজাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর আজাদ মিয়ার পক্ষের লোকজন ইনসান পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ইনসান পক্ষের সমর্থক আমানতকে বল্লম দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে বালি দিয়ে কৃষি জমি ও পুকুর ভরাটের দায়ে জহিরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে এই জরিমানা করেন। জরিমানা দেয়া জহিরুল ইসলাম উপজেলার পানিশ্বর এলাকার আলি আকবরের ছেলে।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামে একদল মানুষ অবৈধভাবে বালি দিয়ে কৃষি জমি ও জমির পাশে থাকা পুকুর ভরাট করছে এমন গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে যেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ জহিরুল নামে ১জনকে আটক করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫(১) ধারায় জহিরুলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো জানান, ভরাটকৃত বালি দ্রুত অপসারণ করে জমিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মোঃ রফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রোকেয়া বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আমিন খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন।
বক্তারা বলেন, ৭১ এ ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবনের মায়া ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আর ৫৩ বছর এখন রাজাকারের উত্তরসূরি ও তাদের স্বজনদের দ্বারা বিনাকারণে অন্যায় ভাবে হেনস্থা হচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে রাজাকার হলে কোটি কোটি রোজগার করতে পারতাম। আওয়ামী লীগের বড় নেতা হতে পারতাম। কারণ এখন দেখছি সরাইলে মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে রাজাকারের উত্তরসূরিদের কদর ও সম্মান বেশী। এমন একটি গুরূত্বপূর্ণ দিবসের আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা অনুপস্থিত। তাড়াহুড়া করে ফুল দিয়ে পালিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার মতো নেতাদের দলে কোন প্রয়োজন নেই। সরাইলে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের স্বার্থে দল করেন। দলীয় জাতীয় অনুষ্ঠানের কোন গুরুত্ব উনাদের কাছে নেই। বক্তারা বলেন, ভাল না লাগলে দল ছেড়ে দিন। ষড়যন্ত্র আর কায়দা কানুন করে আওয়ামী লীগ করলে তৃণমূলে আপনাদের স্থান হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্বরোড় মোড়সহ আশপাশ এলাকা প্রদিক্ষণ করে। মহাসড়কের অবস্থান নেওয়ার কারনে উভয় পাশে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আন্দোলন চলাকালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিজিবি।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেন। তবে আন্দোলন চলাকালে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল।